মেয়েদের ধাতু দেখতে কেমন

 মেয়েদের ধাতু দেখতে কেমন


মেয়েদের 'ধাতু' বলতে সাধারণত যোনি থেকে বের হওয়া সাদা স্রাবকে বোঝানো হয়। এটি কোনো রোগ নয়, বরং মেয়েদের শরীরের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এই স্রাব দেখতে এবং তার ঘনত্ব বিভিন্ন কারণে পরিবর্তিত হতে পারে। ### স্বাভাবিক সাদা স্রাব (Leucorrhea) স্বাভাবিক অবস্থায়, এই স্রাব দেখতে স্বচ্ছ বা সামান্য সাদা, পাতলা এবং গন্ধহীন হয়ে থাকে। এর প্রধান কাজ হলো যোনিপথ পরিষ্কার এবং আর্দ্র রাখা, যাতে কোনো জীবাণু সংক্রমণ না হয়। মাসিকের চক্রের বিভিন্ন সময়ে এর ঘনত্বে পরিবর্তন আসে। যেমন: * **মাসিকের পর:** এই সময় স্রাবের পরিমাণ কম থাকে এবং এটি পাতলা ও স্বচ্ছ হয়। * **ডিম্বাণু নির্গমনের সময় (Ovulation):** এই সময় স্রাব ডিমের সাদা অংশের মতো স্বচ্ছ ও পিচ্ছিল হয় এবং এর পরিমাণ বেড়ে যায়। ### অস্বাভাবিক স্রাব যদি স্রাবের রঙ, গন্ধ বা ঘনত্বে অস্বাভাবিক পরিবর্তন আসে, তবে তা কোনো সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। এমন কিছু ক্ষেত্রে স্রাব দেখতে যেমন হয়: * **গাঢ় সাদা ও দইয়ের মতো:** যদি স্রাব খুব ঘন, সাদা এবং দই বা ছানার মতো হয়, এবং এর সাথে যোনিতে তীব্র চুলকানি থাকে, তবে এটি **ছত্রাক সংক্রমণের (Yeast Infection)** লক্ষণ হতে পারে। * **হলুদ বা সবুজ:** স্রাব যদি হলুদ, সবুজ বা ধূসর রঙের হয় এবং মাছের মতো তীব্র দুর্গন্ধ থাকে, তাহলে তা **ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস** বা **যৌনবাহিত রোগের (STD)** লক্ষণ হতে পারে। * **বাদামী বা লালচে:** মাসিকের আগে বা পরে সামান্য বাদামী বা লালচে স্রাব স্বাভাবিক। তবে যদি এটি মাসিকের মাঝখানে হয় এবং এর পরিমাণ বেশি হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। যদি আপনার স্রাবের ধরন অস্বাভাবিক মনে হয় এবং এর সাথে চুলকানি, জ্বালাপোড়া বা দুর্গন্ধের মতো অন্য কোনো উপসর্গ থাকে, তবে দ্রুত একজন গাইনি বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করা প্রয়োজন। তিনি সঠিক কারণ নির্ণয় করে উপযুক্ত চিকিৎসা দেবেন।


মেয়েদের 'ধাতু' বলতে সাধারণত যোনি থেকে বের হওয়া সাদা স্রাবকে বোঝানো হয়, যার রঙ, ঘনত্ব এবং পরিমাণ ভিন্ন হতে পারে। এটি কোনো রোগ নয়, বরং মেয়েদের শরীরের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। সাধারণত, এটি দেখতে কেমন হতে পারে তা নিচে দেওয়া হলো:

স্বাভাবিক সাদা স্রাব (Leucorrhea)

  • রঙ: সাধারণত এটি পরিষ্কার বা সামান্য সাদা রঙের হয়।

  • ঘনত্ব: এটি পাতলা এবং জলীয় থেকে শুরু করে কিছুটা আঠালো এবং ঘনও হতে পারে। মাসিকের চক্রের বিভিন্ন সময়ে এর ঘনত্বে পরিবর্তন আসে।

  • গন্ধ: স্বাভাবিক অবস্থায় এতে কোনো তীব্র বা অপ্রীতিকর গন্ধ থাকে না।

  • পরিমাণ: এটি সামান্য থেকে মাঝারি পরিমাণে হতে পারে।


অস্বাভাবিক স্রাব

যদি স্রাবের রঙ, গন্ধ বা পরিমাণে পরিবর্তন আসে, তাহলে তা কোনো স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। এমন অস্বাভাবিক স্রাব দেখতে কেমন হয়, তার কিছু উদাহরণ নিচে দেওয়া হলো:

  • সাদা, দইয়ের মতো এবং পিণ্ডাকার: এটি ইস্ট সংক্রমণের (ক্যান্ডিডিয়াসিস) লক্ষণ হতে পারে। এর সাথে তীব্র চুলকানি ও জ্বালাপোড়া থাকে।

  • হলুদ বা সবুজ: এটি ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস বা ট্রাইকোমোনিয়াসিসের মতো সংক্রমণের কারণে হতে পারে। এতে সাধারণত বাজে গন্ধ থাকে।

  • ধূসর এবং পাতলা: এটি ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস-এর লক্ষণ। এতে মাছের মতো তীব্র গন্ধ থাকতে পারে।

  • ফোলা ফোলা এবং বুদবুদযুক্ত: এটি ট্রাইকোমোনিয়াসিসের লক্ষণ হতে পারে।

যদি আপনার স্রাবের ধরন অস্বাভাবিক মনে হয়, তাহলে দ্রুত একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তিনি সঠিক কারণ নির্ণয় করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে পারবেন।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন