\কিস্তিতে ইলেকট্রিক বাইক কেনার জন্য বেশ কিছু উপায় আছে। এখানে কিছু জনপ্রিয় পদ্ধতি নিচে উল্লেখ করা হলো:
শোরুমের নিজস্ব কিস্তি সুবিধা: কিছু কিছু ইলেকট্রিক বাইক প্রস্তুতকারক বা তাদের অনুমোদিত শোরুম নিজস্ব কিস্তি সুবিধা দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ডাউন পেমেন্ট এবং মাসিক কিস্তির পরিমাণ তাদের নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত হয়।
ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ: বিভিন্ন ব্যাংক ইলেকট্রিক বাইক কেনার জন্য পার্সোনাল লোন বা ভেহিকল লোন দিয়ে থাকে। এই ঋণের মাধ্যমে আপনি বাইকের পুরো দাম পরিশোধ করতে পারেন এবং পরবর্তীতে মাসিক কিস্তিতে ব্যাংককে টাকা ফেরত দিতে পারেন।
ফিন্যান্স কোম্পানি: অনেক ফিন্যান্স কোম্পানি বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান আছে যারা এই ধরনের পণ্যের জন্য কিস্তির সুবিধা দেয়। যেমন - কিছু ব্যাংক বা নন-ব্যাংকিং ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন (NBFI)।
অনলাইন মার্কেটপ্লেস: কিছু অনলাইন মার্কেটপ্লেস বা ই-কমার্স সাইট যেমন, দারাজ, অথবা bikroy.com কিস্তির সুবিধা দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে নির্দিষ্ট ব্যাংকের কার্ড ব্যবহার করে কিস্তিতে বাইক কেনা যায়।
কিস্তিতে বাইক কেনার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খেয়াল রাখুন:
ডাউন পেমেন্ট: কিস্তির জন্য আপনাকে প্রাথমিকভাবে কিছু টাকা জমা দিতে হবে। এই টাকার পরিমাণ যত বেশি হবে, মাসিক কিস্তির পরিমাণ তত কম হবে।
সুদের হার: কিস্তিতে বাইক কেনার সময় সুদের হার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের সুদের হার ভিন্ন ভিন্ন করে থাকে, তাই সব থেকে কম সুদের হারটি খুঁজে বের করা উচিত।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: কিস্তিতে বাইক কেনার জন্য সাধারণত জাতীয় পরিচয়পত্র, ছবি, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, এবং আয়ের উৎস প্রমাণপত্র জমা দিতে হয়।
বিক্রয় পরবর্তী সেবা (After-sales Service): বাইক কেনার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন যে, বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানটি ভালো বিক্রয় পরবর্তী সেবা দিয়ে থাকে।
আপনি যদি নির্দিষ্ট কোনো ব্র্যান্ডের বাইক বা নির্দিষ্ট কোনো এলাকার ব্যাপারে জানতে চান, তাহলে আরও বিস্তারিত তথ্য দেওয়া সম্ভব হবে।
বাংলাদেশের বিভিন্ন কোম্পানি এবং ডিলারশিপ কিস্তিতে ইলেকট্রিক বাইক কেনার সুযোগ দিচ্ছে। এটি গ্রাহকদের জন্য বেশ সুবিধাজনক, কারণ একবারে পুরো টাকা পরিশোধ করার চাপ থাকে না।
কিস্তিতে ইলেকট্রিক বাইক কেনার ক্ষেত্রে সাধারণত কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখতে হয়:
ডাউন পেমেন্ট: কিস্তির সুবিধা পেতে হলে প্রথমে বাইকের মোট মূল্যের একটি নির্দিষ্ট অংশ ডাউন পেমেন্ট হিসেবে দিতে হয়। এটি সাধারণত মোট দামের ২০% থেকে ৫০% পর্যন্ত হতে পারে।
মাসিক কিস্তি (EMI): বাকি টাকা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করতে হয়। কিস্তির মেয়াদ ৩ মাস থেকে ২৪ মাস বা তার বেশিও হতে পারে।
সুদের হার: কিছু কোম্পানি ০% সুদে কিস্তির সুবিধা দেয়, বিশেষ করে যদি আপনি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন। আবার কিছু ক্ষেত্রে সামান্য সুদের হার যোগ হতে পারে।
যে কোম্পানিগুলো কিস্তির সুবিধা দেয়
বাংলাদেশের বাজারে অনেক জনপ্রিয় ইলেকট্রিক বাইক ব্র্যান্ড আছে যারা কিস্তিতে বাইক কেনার সুযোগ দেয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো:
আকিজ (Akij): আকিজ ইলেকট্রিক বাইক বেশ জনপ্রিয় এবং তারা বিভিন্ন মডেলের বাইকের জন্য কিস্তির সুবিধা দিয়ে থাকে।
ওয়ালটন (Walton): ওয়ালটন প্লাজা তাদের নিজস্ব ব্র্যান্ডের ইলেকট্রিক বাইক, যেমন Takyoun মডেলের জন্য কিস্তিতে কেনার সুযোগ দেয়।
গ্রিন টাইগার (Green Tiger): এই কোম্পানিটিও বাংলাদেশে বেশ পরিচিত এবং তাদের নির্দিষ্ট ডিলারশিপগুলোতে কিস্তির সুবিধা পাওয়া যায়।
ই-স্মার্ট (eSmart): বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ইলেকট্রিক বাইক এবং সাইকেল কিস্তিতে বিক্রির সুবিধা দেয় ই-স্মার্ট।
কিস্তিতে কেনার প্রক্রিয়া
সাধারণত, কিস্তিতে ইলেকট্রিক বাইক কেনার জন্য আপনাকে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হয়, যেমন:
জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
সাম্প্রতিক সময়ের ছবি।
ট্রেড লাইসেন্স বা আয়ের প্রমাণপত্র (চাকরিজীবী হলে স্যালারি স্লিপ)।
ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা ক্রেডিট কার্ডের তথ্য।
আপনি যে কোম্পানির বাইক কিনতে ইচ্ছুক, তাদের অনুমোদিত শোরুম বা ডিলারশিপের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে কিস্তির শর্তাবলী এবং বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে পারেন।
বাইক কেনার আগে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মডেল, দাম, মাইলেজ এবং কিস্তির শর্তগুলো তুলনা করে দেখুন। এতে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সেরা বাইকটি বেছে নেওয়া সহজ হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন