মেয়েদের দুধ কেন ব্যথা করে

মেয়েদের দুধ কেন ব্যথা করে



মেয়েদের বুকে বা স্তনে ব্যথা হওয়ার বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে। এই ব্যথাকে ডাক্তারি ভাষায় বলা হয় মাস্টালজিয়া (Mastalgia)। এটি একটি সাধারণ সমস্যা এবং সাধারণত তেমন গুরুতর কিছু নয়। ব্যথার কারণগুলো হলো:

হরমোনের পরিবর্তন

এটি স্তন ব্যথার সবচেয়ে সাধারণ কারণ। মেয়েদের মাসিক চক্রের সময় হরমোনের মাত্রার ওঠানামা হয়। এস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন হরমোন স্তনের টিস্যুকে প্রভাবিত করে, যার ফলে স্তন ফুলে যায়, ভারী লাগে বা ব্যথা করে। সাধারণত মাসিক শুরুর কয়েকদিন আগে এই ব্যথা শুরু হয় এবং মাসিক শেষ হলে কমে যায়।

ফাইব্রোসিস্টিক ব্রেস্ট চেঞ্জ

অনেক মেয়ের স্তনে ফাইব্রোসিস্টিক পরিবর্তন থাকে। এর অর্থ হলো, স্তনের টিস্যুতে কিছু নিরীহ বা নন-ক্যানসারাস পিণ্ড বা সিস্ট তৈরি হয়। এই সিস্টগুলো মাসিক চক্রের সময় বড় হতে পারে এবং ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।


অন্যান্য কারণ

  • গর্ভাবস্থা: গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে স্তন ভারী ও সংবেদনশীল হতে পারে।

  • ব্রেস্ট ফিডিং (শিশুকে দুধ খাওয়ানো): দুধ খাওয়ানোর সময় স্তনবৃন্ত ফেটে গেলে বা স্তনে ইনফেকশন হলে (ম্যাস্টাইটিস) তীব্র ব্যথা হতে পারে।

  • সাইজ ও সাপোর্ট: বড় স্তনের ক্ষেত্রে সঠিক মাপের ব্রা ব্যবহার না করলে পেশি ও লিগামেন্টে টান পড়ে ব্যথা হতে পারে।

  • ওষুধ: কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ, যেমন জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল বা অ্যান্টি-ডিপ্রেস্যান্ট, স্তনে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।

  • আঘাত: স্তনে আঘাত লাগলে বা কোনো কারণে চাপ পড়লেও ব্যথা হতে পারে।

যদি ব্যথা খুব তীব্র হয়, শুধুমাত্র একটি স্তনে হয়, ব্যথার সাথে স্তনে কোনো পিণ্ড বা লালচে ভাব দেখা যায়, অথবা স্তনবৃন্ত থেকে অস্বাভাবিক কিছু বের হয়, তাহলে দ্রুত একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ, কিছু ক্ষেত্রে স্তন ব্যথা গুরুতর রোগের লক্ষণও হতে পারে। তবে বেশিরভাগ সময়ই এটি একটি স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া।


মেয়েদের বুকে বা স্তনে ব্যথা হওয়ার বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে। এর মধ্যে কিছু কারণ স্বাভাবিক এবং কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন হতে পারে। এখানে কিছু সম্ভাব্য কারণ নিচে আলোচনা করা হলো:

  • মাসিক চক্র (Menstrual Cycle): এটি মেয়েদের স্তনে ব্যথা হওয়ার সবচেয়ে সাধারণ কারণ। মাসিক শুরু হওয়ার আগের দিনগুলোতে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে স্তন ফুলে যেতে পারে, ভারী লাগতে পারে এবং ব্যথা করতে পারে। মাসিক শুরু হলে এই ব্যথা সাধারণত কমে যায়।

  • গর্ভাবস্থা: গর্ভাবস্থার প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে একটি হলো স্তনে সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি এবং ব্যথা অনুভব করা। গর্ভধারণের প্রথম দিকে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে এমনটা হয়।

  • স্তনে আঘাত (Injury): কোনো কারণে স্তনে আঘাত লাগলে যেমন খেলাধুলার সময়, দুর্ঘটনার কারণে বা টাইট ব্রা পরার কারণে ব্যথা হতে পারে।

  • সিস্ট বা ফাইব্রোসিস (Cysts or Fibrosis): স্তনে ছোট, তরল-ভর্তি সিস্ট তৈরি হলে বা তন্তুময় টিস্যু (fibrous tissue) বৃদ্ধি পেলে ব্যথা হতে পারে। এগুলো সাধারণত নিরীহ এবং ক্যানসার নয়।

  • সংক্রমণ (Infection): স্তনে সংক্রমণ হলে, যাকে মাসটাইটিস (mastitis) বলা হয়, ব্যথা, ফোলা, লালভাব এবং গরম অনুভব হতে পারে। এই সংক্রমণ সাধারণত স্তন্যদানকারী মায়েদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।

  • ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (Medication Side Effects): কিছু কিছু ওষুধ যেমন জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল বা কিছু অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট স্তনে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।

  • ক্যানসার (Breast Cancer): যদিও স্তনে ব্যথা ক্যানসারের একটি বিরল লক্ষণ, তবে যদি ব্যথার সাথে স্তনে কোনো পিণ্ড, ত্বকের পরিবর্তন বা নিপল থেকে অস্বাভাবিক নিঃসরণ দেখা যায়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

যদি আপনার স্তনে ব্যথা হয় এবং এটি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি মনে হয়, বা যদি ব্যথার সাথে অন্য কোনো লক্ষণ দেখা যায়, তাহলে একজন চিকিৎসকের সাথে কথা বলা জরুরি। তিনি সঠিক কারণ নির্ণয় করতে এবং প্রয়োজনে উপযুক্ত চিকিৎসার পরামর্শ দিতে পারবেন।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন