0 কে আবিষ্কার করেন
শূন্যের আবিষ্কার নিয়ে বিতর্ক থাকলেও বেশিরভাগ গণিতবিদ ও ঐতিহাসিক মনে করেন যে, শূন্যের আধুনিক রূপের ধারণাটি ভারতীয় উপমহাদেশে উদ্ভূত হয়েছে।
তবে, এককভাবে কাউকে শূন্যের আবিষ্কারক বলা কঠিন, কারণ এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার ফল। এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত দুজন প্রধান ভারতীয় গণিতবিদ হলেন:
আর্যভট্ট (Aryabhata): পঞ্চম শতকে আর্যভট্টই প্রথম দশমিক স্থান-নির্দেশক হিসেবে শূন্যের ব্যবহার করেন। তার কাজ ছিল শূন্যকে একটি সংখ্যার মান না দিয়ে কেবল একটি স্থান হিসেবে ব্যবহার করা।
ব্রহ্মগুপ্ত (Brahmagupta): সপ্তম শতকে ব্রহ্মগুপ্ত তাঁর 'ব্রহ্মস্ফুটসিদ্ধান্ত' গ্রন্থে শূন্যকে একটি পৃথক সংখ্যা হিসাবে সংজ্ঞায়িত করেন। তিনি শূন্যের যোগ, বিয়োগ, গুণ ও ভাগের নিয়মাবলীও নির্দিষ্ট করেন, যা আধুনিক গণিতের ভিত্তি স্থাপন করে।
এদের ছাড়াও, শূন্যের ধারণাটি প্রাচীন ব্যাবিলনীয় এবং মায়া সভ্যতায়ও বিভিন্ন প্রতীকের মাধ্যমে ব্যবহৃত হতো, তবে তা আধুনিক শূন্যের মতো পরিপূর্ণ ছিল না। শূন্যের প্রতীক এবং এর গাণিতিক নিয়মাবলী সংজ্ঞায়িত করার কারণে ব্রহ্মগুপ্তকে শূন্যের আবিষ্কারের মূল কৃতিত্ব দেওয়া হয়।
শূন্য (0) আবিষ্কারের কৃতিত্ব সাধারণত ভারতীয় গণিতবিদ আর্যভট্টকে দেওয়া হয়। তিনি খ্রিস্টীয় ৫ম শতাব্দীতে দশমিক পদ্ধতির স্থান-নির্ধারক হিসাবে শূন্যের ধারণা দেন। তবে, আর্যভট্টের আগে প্রাচীন ব্যাবিলনীয় এবং মায়া সভ্যতায়ও শূন্যের প্রতীকী ব্যবহার ছিল, কিন্তু সেগুলো আধুনিক শূন্যের মতো একটি স্বতন্ত্র সংখ্যা ছিল না।
এরপর খ্রিস্টীয় ৭ম শতাব্দীতে ভারতীয় গণিতবিদ ব্রহ্মগুপ্ত শূন্যকে একটি পূর্ণাঙ্গ সংখ্যা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি তাঁর গ্রন্থ 'ব্রহ্মস্ফুটসিদ্ধান্ত'-তে শূন্যের যোগ, বিয়োগ, গুণ ও ভাগের নিয়মাবলি বর্ণনা করেন, যা আধুনিক গণিতের ভিত্তি স্থাপন করে।
এই কারণে, আর্যভট্টকে শূন্যের ধারণার প্রথম প্রবর্তক বলা হলেও, শূন্যকে একটি স্বতন্ত্র সংখ্যা এবং এর গাণিতিক নিয়মগুলো প্রতিষ্ঠা করার জন্য ব্রহ্মগুপ্তের অবদানও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
Invention of Numeral System and the history of numbers
এই ভিডিওটিতে সংখ্যা আবিষ্কারের ইতিহাস সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, যার মধ্যে শূন্যের আবিষ্কারও অন্তর্ভুক্ত।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন