ভারতের জনক কে
ভারতের জাতির জনক হিসেবে মহাত্মা গান্ধী-কে (Mohandas Karamchand Gandhi) বিবেচনা করা হয়। যদিও সরকারিভাবে ভারতের সংবিধানে বা অন্য কোনো নথিতে এই উপাধিটি তাকে দেওয়া হয়নি, তবুও ভারতীয় জনগণের কাছে তিনি এই নামেই পরিচিত।
মহাত্মা গান্ধীর পরিচিতি
জাতির জনক: ১৯৪৪ সালে সুভাষ চন্দ্র বসু সর্বপ্রথম তাকে "জাতির জনক" হিসেবে সম্বোধন করেন। তার অহিংস আন্দোলন (সত্যাগ্রহ) এবং ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার সংগ্রামে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য এই উপাধিটি তাকে দেওয়া হয়েছে।
বাপু: ভারতের জনগণ তাকে শ্রদ্ধাভরে "বাপু" বলেও ডাকে, যার অর্থ "বাবা"।
সংবিধানের জনক
ভারতের সংবিধানের জনক হিসেবে ড. বি. আর. আম্বেদকর (Dr. B. R. Ambedkar)-কে বিবেচনা করা হয়। তিনি সংবিধানের খসড়া কমিটির সভাপতি ছিলেন এবং ভারতের সংবিধান প্রণয়নে তার অবদান অনস্বীকার্য।
ভারতের জনক বা "জাতির জনক" হিসেবে মহাত্মা গান্ধী-কে (মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী) সম্মান জানানো হয়।
কেন মহাত্মা গান্ধীকে জাতির জনক বলা হয়?
মহাত্মা গান্ধী ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং তাঁর অহিংসা ও সত্যাগ্রহের নীতি ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে এক বিশাল গণআন্দোলন গড়ে তুলেছিল। তাঁর নেতৃত্বেই বিভিন্ন ধর্ম ও শ্রেণির মানুষ একত্রিত হয়ে ভারতের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করে।
অহিংস আন্দোলন: গান্ধীজি সশস্ত্র বিপ্লবের পরিবর্তে অহিংস অসহযোগ, সত্যাগ্রহ (সত্যের পথে আন্দোলন) এবং শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনের পথ দেখিয়েছিলেন। এই পদ্ধতি শুধু ভারতে নয়, বিশ্বজুড়ে অনেক স্বাধীনতা আন্দোলনকে অনুপ্রাণিত করেছে।
গণআন্দোলন: তিনি সাধারণ মানুষকে এই আন্দোলনে যুক্ত করেছিলেন, যা আগে শুধুমাত্র শিক্ষিত বা এলিট শ্রেণির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। তাঁর সরল জীবনযাপন এবং সাধারণ মানুষের সাথে মিশে যাওয়ার ক্ষমতা তাকে সবার কাছে "বাপু" (বাবা) হিসেবে পরিচিত করে তোলে।
প্রথম উপাধি প্রদান: ১৯৪৪ সালে, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু সর্বপ্রথম মহাত্মা গান্ধীকে "জাতির জনক" হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি সিঙ্গাপুর থেকে আজাদ হিন্দ রেডিওতে এক বক্তৃতায় এই উপাধি ব্যবহার করেন।
যদিও ভারতীয় সংবিধানে আনুষ্ঠানিকভাবে এই উপাধিটি ঘোষণা করা হয়নি, তবুও জনগণ এবং সরকার উভয়ই মহাত্মা গান্ধীকে ভারতের জাতির জনক হিসেবে শ্রদ্ধা জানায়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন