অঙ্কের জনক কে
গণিতের একক কোনো জনক নেই, কারণ এটি বহু প্রাচীন সভ্যতা ও বহু গণিতবিদের অবদানে সমৃদ্ধ হয়েছে। তবে গণিতের বিভিন্ন শাখার জন্য আলাদা আলাদা জনককে চিহ্নিত করা হয়।
জ্যামিতির জনক: সাধারণত ইউক্লিড-কে জ্যামিতির জনক বলা হয়। তার রচিত "এলিমেন্টস" বইটি জ্যামিতির ভিত্তি স্থাপন করে এবং প্রায় দুই হাজার বছর ধরে গণিত শিক্ষার প্রধান গ্রন্থ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
গণিতের জনক: অনেকের মতে, গ্রিক গণিতবিদ আর্কিমিডিস-কে গণিতের জনক বলা হয়। তিনি ক্যালকুলাস (calculus), ফ্লুইড স্ট্যাটিকস (fluid statics) ও লিভারের নীতিসহ গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন।
বীজগণিতের জনক: ফারসি গণিতবিদ মুহাম্মদ ইবনে মুসা আল-খোয়ারিজমি-কে বীজগণিতের জনক হিসেবে গণ্য করা হয়। তিনি "আল-জাবর" (al-jabr) নামক একটি গ্রন্থ রচনা করেন, যা থেকে আধুনিক বীজগণিতের নামকরণ হয়েছে।
গণিত শাস্ত্রের জনক কে??? | ভিডিওটি গণিতের বিভিন্ন শাখার জনকদের সম্পর্কে আলোচনা করে।
গণিত বা অঙ্কশাস্ত্রের একক কোনো জনক নেই, কারণ এটি একটি বিশাল এবং বহু-শাখা বিশিষ্ট ক্ষেত্র। তবে, বিভিন্ন শাখার অবদানের জন্য ভিন্ন ভিন্ন গণিতবিদকে জনক হিসেবে গণ্য করা হয়।
প্রধান অবদানকারীগণ
আর্কিমিডিস (Archimedes): তাকে সাধারণত "গণিতের জনক" হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তার অবদানগুলোর মধ্যে রয়েছে পাই (
π) এর সঠিক মান নির্ণয়, লিভারের মূলনীতি, জ্যামিতি, এবং ফ্লুইড স্ট্যাটিকস।
আর্যভট্ট (Aryabhata): প্রাচীন ভারতীয় এই গণিতবিদকে অনেকে "ভারতীয় গণিতের জনক" হিসেবে মানেন। শূন্যের ধারণা এবং দশমিক পদ্ধতির বিকাশে তার ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পিথাগোরাস (Pythagoras): জ্যামিতি এবং সংখ্যাতত্ত্বে তার অবদান অনস্বীকার্য। তার বিখ্যাত পিথাগোরাসের উপপাদ্য (Pythagorean theorem) গণিতের ইতিহাসে একটি মাইলফলক।
মুহাম্মদ ইবনে মুসা আল-খাওয়ারিজমি (Al-Khwarizmi): তাকে "বীজগণিতের জনক" বলা হয়। তার রচিত গ্রন্থ থেকে 'অ্যালজেবরা' (Algebra) শব্দটি এসেছে।
গণিত শাস্ত্রের জনক কে??? এই ভিডিওটি গণিতের বিভিন্ন শাখার জনকদের সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন