দর্শন জনক কে
থার্মোমিটারের জনক হিসেবে গ্যালিলিও গ্যালিলিকেই (Galileo Galilei) ধরা হয়।
১৫৯৩ সালে তিনি প্রথম একটি থার্মোস্কোপ (thermoscope) তৈরি করেন, যা তাপমাত্রা পরিমাপের একটি প্রাথমিক যন্ত্র ছিল। যদিও এটিতে কোনো স্কেল ছিল না এবং সঠিকভাবে তাপমাত্রা পরিমাপ করতে পারত না, এটিই ছিল থার্মোমিটারের মূল ভিত্তি।
পরবর্তীকালে, বিজ্ঞানীরা এই যন্ত্রটিকে আরও উন্নত করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন ড্যানিয়েল গ্যাব্রিয়েল ফারেনহাইট (Daniel Gabriel Fahrenheit), যিনি ১৭১৪ সালে প্রথম নির্ভরযোগ্য পারদ থার্মোমিটার তৈরি করেন এবং ফারেনহাইট স্কেল আবিষ্কার করেন।
তবে, আধুনিক থার্মোমিটারের উদ্ভাবনে অনেক বিজ্ঞানীর অবদান থাকলেও, গ্যালিলিওকেই এর প্রথম ধাপের পথিকৃৎ হিসেবে গণ্য করা হয়।
দৃষ্টবাদের (Positivism) জনক হলেন ফরাসি দার্শনিক অগাস্ট কোঁৎ (Auguste Comte)। উনিশ শতকের প্রথম দিকে তিনি এই দার্শনিক তত্ত্বটি তুলে ধরেন। দৃষ্টবাদ অনুযায়ী, কোনো কিছু সম্পর্কে নিশ্চিত জ্ঞান কেবল বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি, অর্থাৎ পর্যবেক্ষণ ও যুক্তির মাধ্যমে পাওয়া যায়। কোঁৎ মনে করতেন, সমাজকেও বিজ্ঞানের মতো করেই পর্যবেক্ষণ এবং বিশ্লেষণ করা সম্ভব। এই দৃষ্টিকোণ থেকেই তিনি সমাজবিজ্ঞান (Sociology) নামক নতুন একটি বিজ্ঞানের ভিত্তি স্থাপন করেন।
কোঁৎ এর মতে, মানব সমাজের জ্ঞান তিনটি স্তরের মধ্য দিয়ে বিকশিত হয়:
ধর্মতাত্ত্বিক স্তর (Theological stage): এই স্তরে মানুষ বিশ্বাস করে যে সব ঘটনার পেছনে কোনো অতিপ্রাকৃত বা ঐশ্বরিক শক্তি রয়েছে।
অধিবিদ্যক স্তর (Metaphysical stage): এই স্তরে মানুষ ঘটনাগুলোকে কিছু বিমূর্ত শক্তি বা ধারণার মাধ্যমে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করে।
দৃষ্টবাদী বা দৃষ্টবাদি স্তর (Positive stage): এটি হলো জ্ঞানের চূড়ান্ত স্তর, যেখানে সবকিছু পর্যবেক্ষণ এবং বৈজ্ঞানিক নিয়মের সাহায্যে ব্যাখ্যা করা হয়।
কোঁৎ এর দৃষ্টবাদ মানব জ্ঞান এবং সমাজের বিবর্তনের একটি ব্যাখ্যা দেয় এবং আধুনিক সমাজবিজ্ঞানের উন্নয়নে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
What is Positivism - Auguste Comte | প্রত্যক্ষবাদ বা দৃষ্টবাদ বলতে কী বোঝো
এই ভিডিওটিতে অগাস্ট কোঁৎ এর দৃষ্টবাদ বা প্রত্যক্ষবাদ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন