হকি খেলার জনক কে
হকি খেলার উৎপত্তি এবং এর আধুনিক রূপ নিয়ে বিভিন্ন মতবাদ প্রচলিত আছে। তাই, নির্দিষ্টভাবে একজন ব্যক্তিকে "হকি খেলার জনক" হিসেবে চিহ্নিত করা কঠিন।
ঐতিহাসিকভাবে, হকি সদৃশ খেলার উৎপত্তি প্রাচীন গ্রিসে হয়েছিল বলে মনে করা হয়। প্রত্নতাত্ত্বিকরা খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতকের একটি চিত্র খুঁজে পেয়েছেন যেখানে বাঁকানো লাঠি দিয়ে একটি খেলা দেখানো হয়েছে।
তবে, হকি খেলার আধুনিক নিয়মকানুনগুলো প্রধানত ইংল্যান্ডে গড়ে ওঠে। ১৮৭৫ সালে এখানে "দ্য হকি অ্যাসোসিয়েশন" গঠিত হয়, যা খেলার নিয়মগুলোকে আরও সুশৃঙ্খল করে।
আইস হকির ক্ষেত্রে (যেটি বরফের উপর খেলা হয়), কানাডিয়ান আইনজীবী এবং সাংবাদিক জেমস জি. এ. ক্রেটন-কে (James G. A. Creighton) "অর্গানাইজড আইস হকির জনক" হিসেবে ধরা হয়। ১৮৭৫ সালে তিনি মন্ট্রিলে প্রথম ইন্ডোর আইস হকি ম্যাচের আয়োজন করেন এবং নিয়মাবলি তৈরি করেন।
অনেক সময় ভারতীয় ফিল্ড হকি খেলোয়াড় ধ্যান চাঁদ-কে "হকির জাদুকর" বা "হকির পিতা" হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তবে এটি খেলার উদ্ভাবক হিসেবে নয়, বরং হকিতে তার অসাধারণ দক্ষতা এবং ভারতীয় হকিকে বিশ্ব দরবারে নিয়ে যাওয়ার অবদানের জন্য। তিনি ১৯২৮, ১৯৩২ এবং ১৯৩৬ সালের অলিম্পিকে ভারতকে তিনটি স্বর্ণপদক জিততে সাহায্য করেন।
হকি খেলার নির্দিষ্ট কোনো একজন জনক নেই, কারণ এটি একটি প্রাচীন খেলা যার উৎপত্তি বিভিন্ন সময়ে এবং বিভিন্ন সংস্কৃতিতে হয়েছে। তবে আধুনিক হকি খেলার উন্নয়নে কিছু ব্যক্তির এবং স্থানের অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
ফিল্ড হকি:
ইতিহাসবিদদের মতে, হকির উৎপত্তি প্রাচীন গ্রিসে। খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতকে গ্রিকরা বাঁকানো লাঠি দিয়ে একটি গোলাকার বস্তু নিয়ে খেলত, যা আধুনিক হকির প্রাথমিক রূপ।
তবে, বর্তমানের প্রচলিত নিয়ম-কানুন, যেমন স্ট্রাইকিং সার্কেল বা গোল করার নিয়ম, মূলত ১৯শ শতাব্দীতে ইংল্যান্ডে তৈরি হয়। ১৮৬১ সালে লন্ডনে প্রথম হকি ক্লাব (Blackheath Hockey Club) গঠিত হয়।
আইস হকি (Ice Hockey):
আইস হকির জনক হিসেবে প্রায়শই জেমস জি.এ. ক্রেইটন (James G. A. Creighton)-কে বিবেচনা করা হয়। তিনি একজন কানাডিয়ান আইনজীবী, প্রকৌশলী এবং সাংবাদিক ছিলেন।
১৮৭৫ সালে তিনি কুইবেকের মন্ট্রিয়লে প্রথম সংগঠিত আইস হকি ম্যাচের আয়োজন করেন এবং খেলার কিছু নিয়মও তৈরি করেন। এ কারণে তাকে "সংগঠিত হকির জনক" বলা হয়।
সুতরাং, হকি খেলার উৎপত্তির ইতিহাস বেশ জটিল এবং এর কোনো একক জনক নেই। তবে, আধুনিক খেলার নিয়ম ও কাঠামো গঠনে ইংল্যান্ড এবং কানাডার অবদান সবচেয়ে বেশি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন