১ কে আবিষ্কার করেন
১-এর ধারণা কোনো একক ব্যক্তি আবিষ্কার করেননি। এটি মূলত মানব সভ্যতার সংখ্যা গণনা পদ্ধতির বিবর্তনের একটি অংশ।
প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন সভ্যতায় মানুষ ১-এর মতো প্রতীক ব্যবহার করত। যেমন:
মিশরীয় হায়ারোগ্লিফ: প্রাচীন মিশরীয়রা লম্বা দাগ দিয়ে ১ বোঝাতো।
রোমান সংখ্যা: রোমানরা I প্রতীক দিয়ে ১ বোঝাতো।
চীনা সংখ্যা: চীনারা এক আনুভূমিক দাগ দিয়ে ১ বোঝাতো।
তবে, আধুনিক সংখ্যা পদ্ধতি, অর্থাৎ ভারতীয়-আরবি সংখ্যা পদ্ধতি (যেখানে ০ থেকে ৯ পর্যন্ত সংখ্যা ব্যবহৃত হয়), সেটির প্রচলন শুরু হয় ভারতে। এই পদ্ধতিটি পরবর্তীতে আরবদের মাধ্যমে ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে। এই পদ্ধতির বিকাশে ভারতীয় গণিতবিদদের বড় অবদান ছিল।
সুতরাং, ১-এর ব্যবহার এবং ধারণার উৎপত্তি মানব সভ্যতার বিভিন্ন যুগে বিভিন্ন স্থানে ঘটেছে, এবং এটি কোনো একক আবিষ্কারকের অবদান নয়।
১-এর মতো সংখ্যাগুলো আবিষ্কারের কোনো একক ঘটনা বা ব্যক্তি নেই। মানব সভ্যতার শুরুতে যখন গণনা করার প্রয়োজন হয়, তখনই ১-এর মতো সংখ্যাগুলোর ধারণা জন্ম নেয়। এটি মানুষের মৌলিক গণনার প্রথম ধাপ।
প্রাচীন সভ্যতাগুলোতে, যেমন মেসোপটেমিয়া, মিশর, এবং রোমান সাম্রাজ্যে, ১-কে বোঝাতে বিভিন্ন প্রতীক ব্যবহার করা হতো। যেমন:
রোমান সংখ্যা পদ্ধতি: এখানে ১-কে বোঝাতে 'I' প্রতীকটি ব্যবহার করা হয়।
মিশরীয় সংখ্যা পদ্ধতি: এখানেও ১-কে বোঝাতে একটি একক লম্বা দাগ ব্যবহার করা হতো।
অর্থাৎ, ১ কোনো একক ব্যক্তি দ্বারা আবিষ্কৃত হয়নি, বরং এটি মানবজাতির গণনার প্রয়োজনের সঙ্গে সঙ্গে প্রাকৃতিকভাবেই বিকশিত হয়েছে। এটি দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির একটি মৌলিক অংশ, যা ভারতীয় গণিতবিদদের হাত ধরে পরিপূর্ণতা লাভ করেছে এবং বর্তমানে বিশ্বব্যাপী প্রচলিত।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন