জনক
"জনক" শব্দটি একটি বাংলা শব্দ, যার অর্থ হলো পিতা, সৃষ্টিকর্তা, উৎপাদক বা প্রতিষ্ঠাতা। এটি সাধারণত কোনো ব্যক্তি, ধারণা, পদ্ধতি বা বিষয়ের সূচনাকারী বা প্রবর্তককে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণস্বরূপ:
রাষ্ট্রপিতা: একটি দেশের প্রতিষ্ঠাতা বা স্বাধীনতার মূল স্থপতিকে "রাষ্ট্রপিতা" বলা হয়। যেমন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের জাতির পিতা বলা হয়।
বিষয় বা ধারণার জনক: কোনো নির্দিষ্ট জ্ঞান বা পদ্ধতির প্রথম প্রবর্তককে "জনক" বলা হয়। যেমন, আর্কিমিডিসকে আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের জনক বলা হয়।
প্রতিষ্ঠাতা: কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতাকেও "জনক" হিসেবে অভিহিত করা হয়। যেমন, স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুকে আধুনিক বাংলা বিজ্ঞানের জনক বলা হয়।
শব্দটি মূলত কোনো কিছুর উৎপত্তি বা সূত্রপাতের সঙ্গে সম্পর্কিত।
'জনক' শব্দের একাধিক অর্থ রয়েছে। এটি নির্ভর করে আপনি কোন প্রসঙ্গে শব্দটি ব্যবহার করছেন।
প্রধান অর্থসমূহ
পিতা: এটি 'জনক'-এর সবচেয়ে সাধারণ অর্থ। যেমন: 'রামের জনক হলেন দশরথ'।
উৎপাদনকারী বা সৃষ্টিকারী: যিনি কোনো কিছুর সৃষ্টি বা জন্ম দিয়েছেন। যেমন: 'শিল্পের জনক'।
প্রবর্তক বা প্রতিষ্ঠাতা: যিনি কোনো নতুন ধারা, মতবাদ, বা পদ্ধতির সূচনা করেছেন। এই অর্থে শব্দটি সাধারণত ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ:
কম্পিউটারের জনক: চার্লস ব্যাবেজ।
গণিতের জনক: পিথাগোরাস।
অর্থনীতিবিদ্যার জনক: অ্যাডাম স্মিথ।
বাংলা গদ্যের জনক: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
রাজা: পৌরাণিক কাহিনিতে, জনক বলতে মিথিলার রাজা জনককে বোঝানো হয়, যিনি সীতার পিতা ছিলেন।
সুতরাং, আপনি যদি কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে 'জনক' সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে সেই বিষয়টি উল্লেখ করলে আমি আপনাকে আরও সঠিক তথ্য দিতে পারব।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন