শূন্যের জনক কে

 শূন্যের জনক কে

শূন্যের জনক হিসেবে সাধারণত ভারতীয় গণিতজ্ঞ আর্যভট্ট-কে গণ্য করা হয়।

যদিও শূন্যের ধারণাটি প্রাচীন মেসোপটেমিয়া, গ্রিস এবং রোমান সভ্যতায় বিভিন্ন সময়ে ব্যবহৃত হয়েছে, কিন্তু সেগুলোতে শূন্যের নিজস্ব কোনো মান ছিল না, কেবল একটি স্থানধারক (placeholder) হিসেবে ব্যবহৃত হত।

আর্যভট্টই প্রথম ব্যক্তি যিনি শূন্যকে একটি সংখ্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেন এবং তার গাণিতিক কাজে এটিকে ব্যবহার করেন। তার পরে, আরেক ভারতীয় গণিতজ্ঞ ব্রহ্মগুপ্ত শূন্যের ওপর গাণিতিক নিয়মাবলি (যেমন, শূন্য দিয়ে যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ) প্রণয়ন করেন। এই কারণেই আর্যভট্ট এবং ব্রহ্মগুপ্ত উভয়কেই শূন্যের ধারণার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য কৃতিত্ব দেওয়া হয়।

সুতরাং, শূন্যের ধারণাটি প্রাচীন ভারতে উদ্ভূত হয়েছিল এবং আর্যভট্ট ও ব্রহ্মগুপ্তের মতো গণিতবিদদের হাত ধরে এটি একটি পূর্ণাঙ্গ সংখ্যা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।

শূন্য (০) এর জনক হিসেবে ভারতীয় গণিতবিদ ও জ্যোতির্বিদ আর্যভট্ট-কে গণ্য করা হয়।

যদিও শূন্যের ধারণা প্রাচীন মেসোপটেমীয় ও মায়া সভ্যতায় স্থান-নির্দেশক (placeholder) হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল, তবুও আর্যভট্টই সর্বপ্রথম শূন্যকে একটি পূর্ণ সংখ্যা হিসেবে চিহ্নিত করেন এবং এর ব্যবহারকে গণনার কাজে প্রতিষ্ঠিত করেন। তার এই আবিষ্কার দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, যা আধুনিক গণিতের ভিত্তি স্থাপন করে।


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন