পাই এর আবিষ্কারক কে
পাই (π) কোনো একক আবিষ্কারকের আবিষ্কার নয়। এটি একটি গাণিতিক ধ্রুবক যা মানব ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সভ্যতা এবং গণিতবিদদের দ্বারা বিকশিত হয়েছে। পাই হলো একটি বৃত্তের পরিধিকে তার ব্যাস দ্বারা ভাগ করলে যে ধ্রুবক সংখ্যা পাওয়া যায়, তা।
পাই এর বিবর্তন
প্রাচীন সভ্যতা: প্রাচীন বাবিলীয়, মিশরীয় এবং হিব্রু সভ্যতাগুলোর গণিতবিদরা পাই এর একটি আনুমানিক মান ব্যবহার করত। তারা প্রায় ৩ বা তার কাছাকাছি কোনো একটি মান ধরে গণনা করত।
আর্কিমিডিস (Archimedes, খ্রিস্টপূর্ব ২৮৭ - ২১২): গ্রিক গণিতবিদ আর্কিমিডিস প্রথম পাই এর মান বের করার জন্য একটি জ্যামিতিক পদ্ধতি ব্যবহার করেন। তিনি একটি বৃত্তের বাইরে এবং ভেতরে বহুভুজ এঁকে এর পরিধি গণনা করেন। এই পদ্ধতির মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেন যে, পাই এর মান 37110 এবং 371 এর মাঝে অবস্থিত। এই মানটি প্রায় ৩.১৪১।
আর্যভট্ট (Aryabhata, ৪৭৬ - ৫৫০ খ্রিষ্টাব্দ): ভারতীয় গণিতবিদ আর্যভট্ট পাই এর মানকে আরও সূক্ষ্মভাবে নির্ণয় করেন। তিনি তার কাজে পাই এর মানকে 3.1416 হিসেবে উল্লেখ করেন।
উইলিয়াম জোনস (William Jones, ১৬৭৫ - ১৭৪৯): এই ওয়েলশ গণিতবিদই প্রথম ১৭০৬ সালে গ্রিক অক্ষর π ব্যবহার করে এই ধ্রুবকটিকে প্রকাশ করেন। তার এই প্রতীক ব্যবহারের পর এটি খুব দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করে, বিশেষ করে লিওনার্দ ইউলারের (Leonhard Euler) মতো বিখ্যাত গণিতবিদদের ব্যবহারের ফলে।
সুতরাং, যদিও অনেক গণিতবিদ পাই এর মান নির্ণয়ে অবদান রেখেছেন, এর আধুনিক প্রতীক π এর ব্যবহার শুরু করেছিলেন উইলিয়াম জোনস।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন