ঙ্গ লেখার নিয়ম
'ঙ' লেখার নিয়ম বলতে আপনি সম্ভবত এর উচ্চারণ এবং এর সঙ্গে অন্যান্য বর্ণ যুক্ত হয়ে যে শব্দ তৈরি হয়, তা জানতে চেয়েছেন।
'ঙ' একটি কণ্ঠধ্বনি। এর উচ্চারণ অনেকটা নাকের সাহায্যে হয়। এটি কোনো শব্দের প্রথমে বসে না। এটি সাধারণত ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শব্দ গঠন করে।
'ঙ'-এর ব্যবহার:
অনুস্বার (ং): 'ঙ'-এর একটি সংক্ষিপ্ত রূপ হলো অনুস্বার (ং)। এটি সাধারণত কোনো শব্দের শেষে ব্যবহৃত হয়। যেমন: বাংলা, রঙ, সং।
যুক্তাক্ষর: 'ঙ' সাধারণত 'ক', 'গ', 'খ', 'ঘ'-এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে শব্দ গঠন করে।
কিছু উদাহরণ:
ক + ঙ = ঙ্ক (অঙ্ক, শঙ্কা)
গ + ঙ = ঙ্গ (মঙ্গল, অঙ্গ, বঙ্গ)
ঘ + ঙ = ঙ্ঘ (সঙ্ঘ, লঙ্ঘন)
চ + ঙ = ঞ্চ (অঞ্চ, সঞ্চয়)
জ + ঙ = ঞ্জ (গঞ্জ, গুঞ্জ)
সাধারণ ভুল এবং সঠিক ব্যবহার:
অনেকে 'ঙ' এবং 'ং'-এর ব্যবহারে ভুল করে থাকেন।
'বাংলা' লিখতে 'বাংলা' সঠিক, 'বাংল' ভুল।
'অঙ্ক' লিখতে 'অঙ্ক' সঠিক, 'অংক' ভুল।
'রঙ' লিখতে 'রঙ' সঠিক, 'রং' ভুল।
তবে বর্তমানে অনেক ক্ষেত্রে 'ং'-এর ব্যবহার সরলীকৃত হয়েছে এবং 'ঙ'-এর পরিবর্তে এটি ব্যবহৃত হচ্ছে।
'ঙ' লেখার জন্য, প্রথমে একটি ছোট বৃত্ত থেকে শুরু করে একটি বাঁকানো রেখা দিয়ে 'ন' এর মতো দেখতে একটি আকৃতি তৈরি করতে হয়, এবং শেষে উপরে একটি মাত্রা দিতে হয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন