দূরবীনের আবিষ্কারক কে
দূরবীনের আবিষ্কারক হিসেবে মূলত হ্যান্স লিপারশে-কে বিবেচনা করা হয়। তিনি একজন ডাচ চশমা প্রস্তুতকারক ছিলেন। ১৬০৮ সালে তিনি দূরবীনের পেটেন্টের জন্য আবেদন করেন, যা এই যন্ত্রের প্রথম পরিচিত লিখিত দলিল।
তবে, লিপারশের আবিষ্কারের খবর শুনে ইতালীয় বিজ্ঞানী গ্যালিলিও গ্যালিলি নিজের হাতে আরও উন্নতমানের দূরবীন তৈরি করেন। ১৬০৯ সালে তিনি এই দূরবীন ব্যবহার করে জ্যোতির্বিজ্ঞানে যুগান্তকারী সব পর্যবেক্ষণ করেন, যেমন—বৃহস্পতির উপগ্রহ, চাঁদের গায়ে পাহাড় ইত্যাদি।
এই কারণে, হ্যান্স লিপারশেকে দূরবীনের প্রাথমিক উদ্ভাবক ধরা হলেও, জ্যোতির্বিজ্ঞানে এর ব্যবহার ও উন্নতি সাধনের জন্য গ্যালিলিওকে আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের জনক হিসেবে সম্মান জানানো হয়।
দূরবীন বা টেলিস্কোপের আবিষ্কারক হিসেবে মূলত হ্যান্স লিপারশে-কে বিবেচনা করা হয়। তিনি ১৬০৮ সালে নেদারল্যান্ডসের একজন চশমা প্রস্তুতকারক ছিলেন এবং তিনিই দূরবীনের জন্য সর্বপ্রথম পেটেন্ট বা স্বত্বাধিকারের আবেদন করেন।
তবে, দূরবীনের আবিষ্কারের ইতিহাসে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ নাম ও অবদান রয়েছে:
হ্যান্স লিপারশে (Hans Lippershey): ১৬০৮ সালে তিনি একটি যন্ত্রের জন্য পেটেন্টের আবেদন করেন, যা দূরের জিনিসকে কাছে দেখাতো। তার এই আবিষ্কারের খবর দ্রুত ইউরোপ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।
গ্যালিলিও গ্যালিলি (Galileo Galilei): লিপারশের আবিষ্কারের খবর শুনে ইতালীয় বিজ্ঞানী গ্যালিলিও নিজে হাতে আরও উন্নতমানের দূরবীন তৈরি করেন। তিনি এর বিবর্ধন ক্ষমতা প্রায় ২০ গুণ পর্যন্ত বাড়াতে সক্ষম হন। গ্যালিলিও প্রথম ব্যক্তি যিনি এই যন্ত্রটি দিয়ে মহাকাশ পর্যবেক্ষণ শুরু করেন এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানে যুগান্তকারী সব আবিষ্কার করেন, যেমন - বৃহস্পতির উপগ্রহ, চাঁদের গায়ে পাহাড়, সূর্যের গায়ে দাগ ইত্যাদি। একারণে, অনেক সময় গ্যালিলিওকে জ্যোতির্বিজ্ঞানের জনক হিসেবেও গণ্য করা হয়।
জাকারিয়াস জেনসেন (Zacharias Janssen) ও ইয়াকব মেটিয়াস (Jacob Metius): লিপারশের পাশাপাশি এই দুজনও প্রায় একই সময়ে দূরবীন আবিষ্কারের দাবি করেছিলেন।
সুতরাং, হ্যান্স লিপারশে প্রথম দূরবীন আবিষ্কারের জন্য পরিচিতি লাভ করেন, কিন্তু গ্যালিলিও গ্যালিলি তার উন্নত সংস্করণ তৈরি করেন এবং এটি জ্যোতির্বিজ্ঞানে ব্যবহারের মাধ্যমে এর প্রকৃত সম্ভাবনাকে উন্মোচন করেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন