ফিজিক্সের জনক কে
ফিজিক্সের জনক হিসেবে সাধারণত স্যার আইজ্যাক নিউটন (Sir Isaac Newton)-কে গণ্য করা হয়।
এর কারণ হলো, তিনি পদার্থবিজ্ঞানের মৌলিক সূত্রগুলো আবিষ্কার ও সুসংগঠিত করে একে একটি সুসংহত বিজ্ঞান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর কাজের প্রধান দিকগুলো হলো:
মহাকর্ষ সূত্র (Law of Universal Gravitation): তিনি এই সূত্রটি আবিষ্কার করেন, যা মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তু কীভাবে একে অপরকে আকর্ষণ করে তা ব্যাখ্যা করে।
গতির তিনটি সূত্র (Three Laws of Motion): এই তিনটি সূত্র আজও পদার্থবিজ্ঞানের ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হয় এবং বস্তু কেন চলে বা স্থির থাকে, তা ব্যাখ্যা করে।
ক্যালকুলাসের আবিষ্কার: তিনি গতির সূত্রগুলো বোঝার জন্য ক্যালকুলাস নামে এক নতুন গাণিতিক পদ্ধতি আবিষ্কার করেন, যা পদার্থবিজ্ঞানসহ বিজ্ঞানের অনেক ক্ষেত্রে একটি অপরিহার্য হাতিয়ার হয়ে উঠেছে।
যদিও নিউটনের আগে গ্যালিলিও গ্যালিলি (Galileo Galilei)-কে আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের জনক বলা হয়, কারণ তিনি পর্যবেক্ষণ এবং পরীক্ষামূলক পদ্ধতির ওপর জোর দিয়েছিলেন। তাঁর কাজই নিউটনের কাজের পথ প্রশস্ত করে।
তবে, সামগ্রিকভাবে, পদার্থবিজ্ঞানকে একটি পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞান হিসেবে রূপদান করার জন্য নিউটনের অবদান সবচেয়ে বেশি।
ফিজিক্সের জনক কে, তা নির্ভর করে আপনি কোন সময়ের ফিজিক্সের কথা বলছেন তার ওপর। তবে, সাধারণত তিনজন বিজ্ঞানীর নাম এই প্রসঙ্গে সবচেয়ে বেশি আসে:
আইজ্যাক নিউটন (Isaac Newton)
আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের জনক হিসেবে আইজ্যাক নিউটনকে (Isaac Newton) ধরা হয়। তাঁর প্রধান অবদানগুলো হলো:
গতিসূত্র (Laws of Motion): তাঁর তিনটি গতিসূত্রই ক্লাসিক্যাল মেকানিক্সের ভিত্তি।
মহাকর্ষ সূত্র (Law of Universal Gravitation): তিনি এই সূত্রটি আবিষ্কার করেন, যা মহাবিশ্বের বস্তুগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আকর্ষণ ব্যাখ্যা করে।
ক্যালকুলাস (Calculus): তিনি ক্যালকুলাস আবিষ্কার করেন, যা পদার্থবিজ্ঞানের জটিল সমস্যা সমাধানের জন্য একটি শক্তিশালী গাণিতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
তাঁর কাজগুলো ফিজিক্সকে একটি সুসংগঠিত, গাণিতিক ও পরীক্ষামূলক বিজ্ঞানে পরিণত করে।
গ্যালিলিও গ্যালিলি (Galileo Galilei)
তিনি পরীক্ষামূলক পদার্থবিজ্ঞানের জনক হিসেবে পরিচিত। তিনি পর্যবেক্ষণ এবং পরীক্ষার ওপর ভিত্তি করে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিকে প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজগুলো হলো:
দূরবীক্ষণ যন্ত্রের (Telescope) উন্নতি: তিনি এর মাধ্যমে জ্যোতির্বিজ্ঞানে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার করেন।
পতনশীল বস্তুর সূত্র (Laws of Falling Bodies): তিনি প্রমাণ করেন যে, বাতাসের প্রতিরোধ না থাকলে সকল বস্তু একই হারে নিচে পড়ে।
আলবার্ট আইনস্টাইন (Albert Einstein)
তিনি আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের জনক হিসেবে পরিচিত। তাঁর প্রধান অবদানগুলো হলো:
আপেক্ষিকতার তত্ত্ব (Theory of Relativity): এটি স্থান, সময়, মহাকর্ষ এবং শক্তির সম্পর্ক ব্যাখ্যা করে।
ভর-শক্তির সমীকরণ (): এটি আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের অন্যতম বিখ্যাত সূত্র।
সুতরাং, ক্লাসিক্যাল ফিজিক্সের জনক আইজ্যাক নিউটন, পরীক্ষামূলক ফিজিক্সের জনক গ্যালিলিও গ্যালিলি এবং আধুনিক ফিজিক্সের জনক আলবার্ট আইনস্টাইন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন