উদ্ভাসের প্রতিষ্ঠাতা কে
উদ্ভাসের প্রতিষ্ঠাতা হলেন মাহমুদুল হাসান সোহাগ।
তিনি একজন বাংলাদেশী উদ্যোক্তা এবং অন্যরকম গ্রুপের চেয়ারম্যান। উদ্ভাস ছাড়াও তিনি আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন, যার মধ্যে জনপ্রিয় বই কেনার ওয়েবসাইট রকমারি.কম অন্যতম।
উদ্ভাসের প্রতিষ্ঠাতা হলেন মাহমুদুল হাসান সোহাগ।
তিনি একজন বাংলাদেশী উদ্যোক্তা এবং বিভিন্ন শিক্ষামূলক উদ্যোগের জন্য পরিচিত। উদ্ভাস ছাড়াও তিনি রকমারি ডট কম-এর মতো আরও অনেক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা।ইসরায়েল কোনো একক ব্যক্তির হাতে প্রতিষ্ঠিত হয়নি, বরং এর পেছনে দীর্ঘ সময়ের রাজনৈতিক আন্দোলন এবং একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির অবদান রয়েছে। তবে, ইসরায়েল রাষ্ট্রের আধুনিক প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে সবচেয়ে বেশি যার নাম উল্লেখ করা হয় তিনি হলেন ডেভিড বেন-গুরিয়ন।
ডেভিড বেন-গুরিয়নের ভূমিকা
প্রথম প্রধানমন্ত্রী: ১৯৪৮ সালের ১৪ই মে ইসরায়েল স্বাধীনতা ঘোষণা করার পর তিনি দেশটির প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন এবং এই পদটি তিনি দীর্ঘ সময় ধরে (১৯৪৮-১৯৫৪ এবং ১৯৫৫-১৯৬৩) পালন করেন।
স্বাধীনতার ঘোষণা: তিনিই সেই ব্যক্তি যিনি তেল আবিবে ইসরায়েলের স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন এবং দেশটির স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে প্রথম স্বাক্ষর করেন।
নেতৃত্ব: তিনি ব্রিটিশ ম্যান্ডেট শাসনের অধীনে থাকা সময় থেকেই ইহুদি সম্প্রদায়ের (যিশুব) একজন প্রধান নেতা ছিলেন। তার নেতৃত্বেই বিভিন্ন ইহুদি সশস্ত্র বাহিনীকে একত্রিত করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) গঠন করা হয়, যা ১৯৪৮ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও পটভূমি
ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠায় ডেভিড বেন-গুরিয়ন ছাড়াও আরও কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির অবদান রয়েছে:
থিওডোর হার্জল: ১৯ শতকের শেষ দিকে জায়নবাদ আন্দোলনের জনক হিসেবে পরিচিত। তিনিই প্রথম ইহুদিদের জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ধারণা দেন এবং ১৮৯৬ সালে তার বিখ্যাত বই "ডের জুডেনস্টাট" (Der Judenstaat) প্রকাশ করেন।
চেইম ওয়াইজম্যান: তিনি একজন বিজ্ঞানী এবং জায়নবাদী নেতা ছিলেন, যিনি ১৯১৭ সালের বালফোর ঘোষণার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এই ঘোষণায় ব্রিটিশ সরকার ফিলিস্তিনে ইহুদিদের জন্য একটি 'জাতীয় আবাসভূমি' প্রতিষ্ঠার পক্ষে সমর্থন জানায়। ওয়াইজম্যান পরে ইসরায়েলের প্রথম রাষ্ট্রপতি হন।
আর্থার জেমস বালফোর: তিনি ছিলেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী, যার নামে বালফোর ঘোষণাটি পরিচিত। এই ঘোষণা ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি তৈরি করে।
মূলত, জায়নবাদী আন্দোলন, ব্রিটিশ সরকারের সমর্থন এবং সর্বোপরি ডেভিড বেন-গুরিয়নের মতো দূরদর্শী নেতাদের রাজনৈতিক ও সামরিক প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ ইসরায়েল রাষ্ট্র গঠিত হয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন