মানবতাবাদের জনক কে

 মানবতাবাদের জনক কে

মানবতাবাদের জনক হলেন পেত্রার্ক (Francesco Petrarca)।

১৪শ শতকের ইতালীয় এই কবি ও পণ্ডিতকে আধুনিক মানবতাবাদের পথিকৃৎ হিসেবে গণ্য করা হয়।

মানবতাবাদে পেত্রার্কের অবদান

পেত্রার্কের আগে মধ্যযুগে মানুষের জীবন ও চিন্তাভাবনা মূলত ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে পরিচালিত হতো। পেত্রার্ক প্রথম ব্যক্তি যিনি এই ধর্মকেন্দ্রিক চিন্তাভাবনার বাইরে গিয়ে প্রাচীন গ্রিক ও রোমান সাহিত্যের জ্ঞান, শিল্প ও সংস্কৃতিকে নতুন করে আবিষ্কার করেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে, মানুষের জীবন শুধু পরকালের জন্য নয়, বরং এই ইহকালেও সৌন্দর্য, জ্ঞান এবং নৈতিকতার মাধ্যমে উন্নত হতে পারে।

তার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ:

  • প্রাচীন পাণ্ডুলিপি সংগ্রহ: তিনি বিভিন্ন মঠ ও লাইব্রেরি থেকে প্রাচীন গ্রিক ও রোমান লেখকদের হারিয়ে যাওয়া পাণ্ডুলিপিগুলো খুঁজে বের করেন।

  • শিক্ষার প্রসারে গুরুত্ব: তিনি এমন একটি শিক্ষা ব্যবস্থার পক্ষে কথা বলেছিলেন, যা শুধু ধর্মীয় তত্ত্ব নয়, বরং ভাষা, সাহিত্য, ইতিহাস এবং দর্শনকেও অন্তর্ভুক্ত করবে। এই শিক্ষা মানুষকে আরও উন্নত এবং পূর্ণাঙ্গ জীবন যাপনে সহায়তা করবে।

পেত্রার্কের এই চিন্তা ও কর্মধারা ইতালীয় রেনেসাঁর ভিত্তি স্থাপন করে, যা পরবর্তীতে সমগ্র ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে। এ কারণেই তাকে "মানবতাবাদের জনক" বলা হয়।



মানবতাবাদের জনক হিসেবে পেত্রার্ক (Francesco Petrarca)-কে বিবেচনা করা হয়।

তিনি ছিলেন একজন ইতালীয় পণ্ডিত, কবি এবং রেনেসাঁস যুগের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। ১৪শ শতাব্দীতে তিনি মানবতাবাদকে একটি স্বতন্ত্র বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন।

মানবতাবাদে পেত্রার্কের অবদান:

  • শাস্ত্রীয় জ্ঞানের পুনরুদ্ধার: পেত্রার্ক প্রাচীন গ্রিক ও রোমান সাহিত্য, দর্শন এবং ইতিহাস থেকে হারিয়ে যাওয়া পাণ্ডুলিপিগুলো পুনরুদ্ধার ও অধ্যয়ন করার ওপর জোর দেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে এই ক্লাসিক্যাল সাহিত্যগুলো মানব জীবনের মূল্যবোধ, নৈতিকতা এবং প্রজ্ঞা সম্পর্কে গভীর জ্ঞান প্রদান করে।

  • মানুষের মর্যাদা: তিনি ধর্মের পাশাপাশি মানুষের ব্যক্তিগত মর্যাদা, ক্ষমতা এবং সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। মধ্যযুগে যেখানে ধর্মীয় আধ্যাত্মিকতাকে কেন্দ্র করে সবকিছু আবর্তিত হতো, সেখানে পেত্রার্ক মানুষের ইহজাগতিক জীবন ও অর্জনকে মূল্যবান হিসেবে তুলে ধরেন।

  • ধর্ম ও যুক্তির সমন্বয়: পেত্রার্ক ধর্মবিরোধী ছিলেন না। বরং তিনি বিশ্বাস করতেন যে খ্রিস্টীয় বিশ্বাস এবং শাস্ত্রীয় জ্ঞান coexist করতে পারে এবং একে অপরের পরিপূরক হতে পারে।

তার এই চিন্তাধারা রেনেসাঁসের অন্যান্য পণ্ডিতদের অনুপ্রাণিত করে এবং পরবর্তীকালে আধুনিক মানবতাবাদের ভিত্তি স্থাপন করে। এ কারণে তাকে "রেনেসাঁস মানবতাবাদের জনক" হিসেবে সম্মান জানানো হয়।


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন