জলাতঙ্ক আবিষ্কারক কে
জলাতঙ্কের টিকা (rabies vaccine) আবিষ্কার করেন ফরাসি বিজ্ঞানী লুই পাস্তুর (Louis Pasteur)।
আবিষ্কারের প্রেক্ষাপট ও গুরুত্ব
লুই পাস্তুর তার সহকারী এমিল রু (Émile Roux)-এর সাথে ১৮৮৫ সালে জলাতঙ্কের টিকা আবিষ্কার করেন। এটি ছিল মানবজাতির ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ঘটনা, কারণ তখন পর্যন্ত জলাতঙ্ককে একটি নিশ্চিতভাবে মৃত্যুর কারণ হিসেবে ধরা হতো।
পাস্তুর খরগোশের মেরুদণ্ড থেকে সংক্রামক ভাইরাস আলাদা করে সেটিকে দুর্বল (attenuated) করার একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। এরপর তিনি সেই দুর্বল ভাইরাস ব্যবহার করে একটি কার্যকরী ভ্যাকসিন তৈরি করেন।
প্রথম সফল প্রয়োগ
১৮৮৫ সালের ৬ই জুলাই, ৯ বছর বয়সী জোসেফ মাইস্টার নামের এক বালককে একটি জলাতঙ্ক আক্রান্ত কুকুর কামড়ায়। তার মায়ের অনুরোধে পাস্তুর ওই বালককে তার সদ্য আবিষ্কৃত টিকাটি প্রয়োগ করেন। ধারাবাহিক কয়েক ডোজ টিকা দেওয়ার পর বালকটি সুস্থ হয়ে ওঠে এবং জলাতঙ্কের লক্ষণ তার মধ্যে আর দেখা যায়নি। এই ঘটনা পাস্তুরের আবিষ্কারের কার্যকারিতা প্রমাণ করে এবং বিশ্বজুড়ে চিকিৎসাবিজ্ঞানে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।
এই সাফল্যের পর, লুই পাস্তুরকে আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের অন্যতম পথিকৃৎ হিসেবে গণ্য করা হয়।
জলাতঙ্ক রোগের টিকা (rabies vaccine) আবিষ্কার করেন ফরাসি বিজ্ঞানী লুই পাস্তুর (Louis Pasteur)। 🧪
আবিষ্কারের সময়: ১৮৮৫ সাল।
প্রথম মানব প্রয়োগ: ১৮৮৫ সালের ৬ জুলাই, তিনি ৯ বছর বয়সী জোসেফ মাইস্টার নামের একটি ছেলেকে এই টিকা দেন, যাকে একটি জলাতঙ্ক আক্রান্ত কুকুর কামড়েছিল। এই টিকা প্রয়োগ সফল হয় এবং ছেলেটি সুস্থ হয়ে ওঠে।
লুই পাস্তুর তার গবেষণা এবং এই টিকার সফল প্রয়োগের মাধ্যমে প্রমাণ করেন যে জলাতঙ্ক রোগের চিকিৎসা সম্ভব। তার এই আবিষ্কার চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ঘটনা।
এখানে একটি ইউটিউব ভিডিও রয়েছে যা লুই পাস্তুরের জীবন ও তার যুগান্তকারী আবিষ্কার নিয়ে আলোচনা করে, যার মধ্যে জলাতঙ্ক রোগের টিকার কথাও আছে The History of Rabies Vaccine (Rabies Vaccination)।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন