গণনার জনক
গণনার জনক হিসেবে সাধারণত চার্লস ব্যাবেজকে (Charles Babbage) ধরা হয়।
যদিও গণনার ধারণাটি মানব ইতিহাসের মতোই প্রাচীন, তবে আধুনিক গণনা বা কম্পিউটিং-এর ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন চার্লস ব্যাবেজ। তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি একটি প্রোগ্রামযোগ্য যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর বা কম্পিউটার তৈরির পরিকল্পনা করেছিলেন।
চার্লস ব্যাবেজের অবদান
ডিফারেন্স ইঞ্জিন (Difference Engine): ১৮২২ সালে তিনি এই যন্ত্রটি তৈরির কাজ শুরু করেন। এর উদ্দেশ্য ছিল গাণিতিক সারণিগুলো (mathematical tables) স্বয়ংক্রিয়ভাবে গণনা করা।
অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন (Analytical Engine): এটি ছিল তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারের ধারণা। এটিই প্রথম যন্ত্র যা আধুনিক কম্পিউটারের অনেক মৌলিক উপাদান যেমন - অ্যারিথমেটিক লজিক ইউনিট, কন্ট্রোল ফ্লো (Control flow) এবং মেমরি ধারণার জন্ম দেয়। এই যন্ত্রটিকে পৃথিবীর প্রথম জেনারেল-পারপাস কম্পিউটার হিসেবে ধরা হয়।
এই যুগান্তকারী ধারণার জন্যই চার্লস ব্যাবেজকে কম্পিউটারের জনক বা আধুনিক গণনার জনক বলা হয়।
গণনার কোনো একক জনক নেই, কারণ এটি একটি দীর্ঘ ঐতিহাসিক বিবর্তনের ফল। মানুষ যখন থেকে সংখ্যা এবং হিসাব করা শিখেছে, তখন থেকেই গণনা পদ্ধতির জন্ম হয়েছে। তবে গণনা বা কম্পিউটারের আধুনিক যন্ত্রগুলোর বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন এমন কিছু ব্যক্তিত্ব আছেন:
### কম্পিউটারের জনক
আধুনিক গণনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র, অর্থাৎ কম্পিউটারের জনক হলেন **চার্লস ব্যাবেজ**।
* ১৯ শতকে তিনি "ডিফারেন্স ইঞ্জিন" (Difference Engine) এবং "অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন" (Analytical Engine) নামে দুটি যান্ত্রিক কম্পিউটারের নকশা করেন।
* যদিও তিনি এই মেশিনগুলো সম্পূর্ণ তৈরি করে যেতে পারেননি, তার নকশাগুলোই আধুনিক কম্পিউটারের ধারণার মূল ভিত্তি ছিল।
### অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অবদানকারী
* **জন নেপিয়ার:** তিনি ১৬১৪ সালে লগারিদম আবিষ্কার করেন, যা জটিল গুণ ও ভাগকে সহজ করে তোলে। তিনি "নেপিয়ারের অস্থি" (Napier's Bones) নামে একটি গণনার যন্ত্রও তৈরি করেন।
* **ব্লেইজ পাস্কাল:** ১৬৪২ সালে তিনি প্রথম যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর "পাস্কালিন" (Pascaline) আবিষ্কার করেন, যা যোগ ও বিয়োগ করতে পারতো।
সুতরাং, যদিও গণনার ধারণার জন্ম বহু আগে, আধুনিক গণনা যন্ত্রের জনক হিসেবে **চার্লস ব্যাবেজকে** সবচেয়ে বেশি স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন