ইংরেজি
জনক কে
ইংরেজি কোনো একক ব্যক্তির দ্বারা সৃষ্ট নয়। এটি একটি বিবর্তিত ভাষা, যা বিভিন্ন জাতি, সংস্কৃতি এবং ঐতিহাসিক ঘটনার প্রভাবে বহু শতাব্দী ধরে গড়ে উঠেছে। তাই এর কোনো নির্দিষ্ট "জনক" নেই।
তবে, আধুনিক ইংরেজির বিকাশে তিনজন ব্যক্তিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে গণ্য করা হয়:
উইলিয়াম শেক্সপিয়র
শেক্সপিয়রকে প্রায়শই "ইংরেজির জনক" হিসেবে অনানুষ্ঠানিকভাবে উল্লেখ করা হয়, কারণ তার সাহিত্যকর্ম ভাষাটিকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে। তিনি প্রায় ১,৭০০টি নতুন শব্দ এবং অসংখ্য বাগধারা তৈরি করেছেন যা আজও ব্যবহৃত হয়। তার নাটক এবং কবিতা ইংরেজির শব্দভাণ্ডার এবং প্রকাশভঙ্গিকে সমৃদ্ধ করেছে।
জিওফ্রে চসার
তাকে আধুনিক ইংরেজির (বা মধ্য ইংরেজি) অন্যতম প্রধান ভিত্তি স্থাপনকারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তার বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ, "দ্য ক্যান্টারবেরি টেলস" (The Canterbury Tales), প্রথম বৃহৎ সাহিত্যকর্ম যা লাতিন বা ফরাসি ভাষার পরিবর্তে ইংরেজিতে রচিত হয়েছিল। চসারের এই কাজ ইংরেজিকে সাহিত্যের ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করে।
উইলিয়াম টিন্ডেল
টিন্ডেল ছিলেন একজন পণ্ডিত এবং ধর্মীয় সংস্কারক। তিনি প্রথম ব্যক্তি যিনি গ্রিক এবং হিব্রু ভাষা থেকে সরাসরি বাইবেলকে ইংরেজিতে অনুবাদ করেন। তার অনুবাদের ভাষা এত সহজবোধ্য এবং প্রভাবশালী ছিল যে এটি সাধারণ মানুষের মধ্যে ইংরেজির ব্যবহারকে ছড়িয়ে দেয় এবং বাইবেলের শব্দ ও বাক্যকে দৈনন্দিন ভাষার অংশ করে তোলে। টিন্ডেলের অনুবাদ পরবর্তীতে কিং জেমস বাইবেল-এর ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
এই তিনজন ব্যক্তিত্বই তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে ইংরেজিকে আজকের অবস্থানে নিয়ে আসতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
ইংরেজি কোনো একক ব্যক্তির দ্বারা সৃষ্ট নয়। এটি একটি বিবর্তিত ভাষা, যা বিভিন্ন ভাষা এবং সংস্কৃতির সংস্পর্শে এসে ধীরে ধীরে বর্তমান রূপ ধারণ করেছে। তাই ইংরেজির কোনো একক জনক নেই।
ইংরেজি ভাষার বিবর্তন
ইংরেজি ভাষার উৎপত্তির মূল তিনটি পর্যায় রয়েছে:
প্রাচীন ইংরেজি (Old English): ৫ম থেকে ১১শ শতাব্দী পর্যন্ত এই ভাষার ব্যবহার ছিল। অ্যাংলো-স্যাক্সন উপজাতিরা ব্রিটেনে আসার পর তাদের জার্মানীয় উপভাষা থেকেই প্রাচীন ইংরেজির জন্ম।
মধ্য ইংরেজি (Middle English): ১০৬৬ সালে নরম্যানরা ইংল্যান্ড জয় করার পর ফরাসি ও ল্যাটিন ভাষার ব্যাপক প্রভাব ইংরেজি ভাষার ওপর পড়ে। এই মিশ্রণের ফলে মধ্য ইংরেজির উদ্ভব হয়।
আধুনিক ইংরেজি (Modern English): ১৫০০ সালের পর থেকে আধুনিক ইংরেজির বিকাশ শুরু হয়। উইলিয়াম শেকসপিয়রের মতো সাহিত্যিকদের রচনা এবং মুদ্রণ যন্ত্রের আবিষ্কার এই ভাষাকে আরও সমৃদ্ধ করে এবং এর আধুনিক রূপ দিতে সাহায্য করে।
সুতরাং, ইংরেজি কোনো একক উদ্ভাবকের কাজ নয়, বরং হাজার বছরের বিবর্তনের ফল।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন