জনক মানে কি

 জনক মানে কি

জনক (Jonok) মানে হলো কোনো কিছু শুরু করা, প্রতিষ্ঠা করা বা কোনো কিছুর উৎস হওয়া এমন একজন ব্যক্তি। সহজ কথায়, যিনি কোনো কিছুর **সৃষ্টিকর্তা**, **প্রবর্তক** বা **প্রতিষ্ঠাতা**।

যেমন:

* **জাতির জনক:** যিনি কোনো একটি জাতির স্বাধীনতা বা আত্মপরিচয় গঠনে প্রধান ভূমিকা পালন করেন। যেমন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের জাতির জনক।
* **ইতিহাসের জনক:** যিনি ইতিহাসচর্চার ধারা শুরু করেছিলেন। যেমন, হেরোডোটাসকে ইতিহাসের জনক বলা হয়।
* **গণিত বা বিজ্ঞানের জনক:** যিনি কোনো নির্দিষ্ট শাখা বা তত্ত্বের ভিত্তি স্থাপন করেন। যেমন, নিউটনকে আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের জনক বলা হয়।

অর্থাৎ, 'জনক' শব্দটি সেই ব্যক্তিকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যিনি কোনো একটি ক্ষেত্র বা ধারণার **অগ্রদূত** বা **পথপ্রদর্শক** হিসেবে কাজ করেছেন।


জনক (Jonok) মানে হলো **পিতা** বা **উৎপত্তির মূল কারণ**।

এই শব্দটি দুটি প্রধান অর্থে ব্যবহার করা হয়:

১. **পিতা বা জন্মদাতা:** যখন আমরা কোনো ব্যক্তির জন্মদাতার কথা বলি, তখন তাকে 'জনক' বলা হয়। যেমন, 'আমার জনক একজন কৃষক'। এই অর্থে 'জনক' শব্দের সমার্থক শব্দ হলো বাবা, পিতা বা আব্বা।

২. **প্রতিষ্ঠাতা বা প্রবর্তক:** কোনো নতুন জিনিস, তত্ত্ব, বা ধারণার যিনি প্রথম প্রবর্তন করেন, তাকেও 'জনক' বলা হয়। যেমন, **হেরোডোটাস**-কে **ইতিহাসের জনক** বলা হয়, কারণ তিনিই প্রথম ঐতিহাসিক গবেষণা ও লেখার ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। আবার, **আধুনিক বিজ্ঞানের জনক** বলা হয় **গ্যালিলিও গ্যালিলি**-কে, কারণ তিনিই আধুনিক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির সূচনা করেছিলেন। এই অর্থে 'জনক' শব্দের সমার্থক শব্দ হলো প্রতিষ্ঠাতা, প্রবর্তক, বা সৃষ্টিকর্তা।

সাধারণভাবে, 'জনক' শব্দটি কোনো কিছু সৃষ্টির পেছনে থাকা মূল ব্যক্তি বা সত্তাকে বোঝায়।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন