ছন্দের জনক কে
বাংলা কবিতার ছন্দের কোনো একক জনক নেই, কারণ ছন্দ একটি স্বাভাবিক সাহিত্যিক ধারা যা যুগ যুগ ধরে বিকশিত হয়েছে। তবে, ছন্দ নিয়ে সবচেয়ে বেশি গবেষণা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং বাংলা ছন্দের প্রমিতকরণে যিনি প্রধান ভূমিকা রেখেছেন, তিনি হলেন সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত।
তাকে "ছন্দোরাজ" বা "ছন্দের যাদুকর" বলা হয়। বাংলা কবিতার প্রায় প্রতিটি ছন্দে তিনি সফলভাবে কবিতা রচনা করেছেন। বিশেষত, বাংলা মাত্রাবৃত্ত ছন্দকে তিনি একটি নতুন মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিলেন এবং তাঁর হাতেই এটি পূর্ণাঙ্গতা লাভ করে।
ছন্দ নিয়ে তাঁর কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ:
মাত্রাবৃত্ত ছন্দের ব্যবহার: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরে তিনিই মাত্রাবৃত্ত ছন্দের সফল প্রয়োগ করেন এবং এর মাধ্যমে নতুন নতুন সুর ও বৈচিত্র্য আনেন।
বিভিন্ন বিদেশি ছন্দের অনুকরণ: সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত সংস্কৃত, ফারসি, আরবি এবং ইংরেজি ছন্দের অনেক বৈশিষ্ট্য বাংলায় নিয়ে আসেন।
ছন্দ বিষয়ক গবেষণা: তাঁর কবিতায় ছন্দের এই ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষা পরবর্তী প্রজন্মের কবিদের জন্য এক নতুন দিগন্ত খুলে দেয়।
সুতরাং, যদিও ছন্দের কোনো একক জনক নেই, তবে বাংলা ছন্দের বিবর্তনে এবং এটিকে একটি স্বতন্ত্র শৈলী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের অবদান অনস্বীকার্য।
ছন্দের কোনো একক জনক নেই, কারণ এটি ভাষা ও সাহিত্যের একটি অত্যন্ত প্রাচীন এবং স্বতঃস্ফূর্ত অংশ। বিভিন্ন ভাষায় এবং বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন কবি ও পন্ডিত ছন্দের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
বাংলা ছন্দের জনক
বাংলা ছন্দের আলোচনায় দুজন প্রধান ব্যক্তিত্বের নাম আসে:
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত: বাংলা সাহিত্যে তাকে 'ছন্দোরাজ' বা 'ছন্দের জাদুকর' বলা হয়। তিনি বাংলা ছন্দের বিভিন্ন রূপ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন এবং প্রচলিত ছন্দের বাইরে নতুন ছন্দ তৈরি করেছেন। তার হাত ধরেই বাংলা ছন্দ বৈচিত্র্যময় রূপ লাভ করে। বিশেষ করে মাত্রাবৃত্ত, স্বরবৃত্ত ও অক্ষরবৃত্ত ছন্দের ব্যবহারে তিনি দক্ষতা দেখিয়েছেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর: তিনি বাংলা ছন্দের ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেন। তার 'ছন্দ' নামক গ্রন্থটি বাংলা ছন্দের ওপর একটি মৌলিক আলোচনা। তিনি ছন্দের যে বৈচিত্র্য দেখিয়েছেন, তা বাংলা সাহিত্যে অদ্বিতীয়।
সুতরাং, যদি একজন ব্যক্তির নাম বলতে হয়, তাহলে সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত-কে বাংলা ছন্দের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য এই সম্মান দেওয়া হয়।
ছন্দের সংজ্ঞা
ছন্দ হলো কবিতার ভাষা বা পংক্তিতে এক ধরনের ধ্বনিপ্রবাহ, যা একটি নির্দিষ্ট তাল বা সুর সৃষ্টি করে। এটি কবিতার অভ্যন্তরীণ কাঠামো এবং শ্রুতিমাধুর্যকে প্রভাবিত করে। ছন্দ মূলত শব্দ ও পংক্তির ধ্বনিগত সামঞ্জস্য থেকে তৈরি হয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন