ধ্বনিবাদের জনক কেধ্বনিতত্ত্ব, ভাষাবিজ্ঞানের একটি শাখা, যা মানুষের বাগযন্ত্রের সাহায্যে উচ্চারিত ধ্বনির আলোচনা ও বিশ্লেষণ নিয়ে কাজ করে। "ধ্বনিবাদ" শব্দটি ভারতীয় কাব্যতত্ত্বে একটি বিশেষ মতবাদকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যা অনুযায়ী কাব্যের মূল আত্মা হলো ধ্বনি (ব্যঞ্জনা)। এই মতবাদের জনক হলেন ভারতীয় অলঙ্কারশাস্ত্রবিদ আনন্দবর্ধন।
ধ্বনিতত্ত্ব, ভাষাবিজ্ঞানের একটি শাখা, যা মানুষের বাগযন্ত্রের সাহায্যে উচ্চারিত ধ্বনির আলোচনা ও বিশ্লেষণ নিয়ে কাজ করে। "ধ্বনিবাদ" শব্দটি ভারতীয় কাব্যতত্ত্বে একটি বিশেষ মতবাদকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যা অনুযায়ী কাব্যের মূল আত্মা হলো ধ্বনি (ব্যঞ্জনা)। এই মতবাদের জনক হলেন ভারতীয় অলঙ্কারশাস্ত্রবিদ আনন্দবর্ধন।
আনন্দবর্ধনের অবদান
আনন্দবর্ধন নবম শতাব্দীতে তার বিখ্যাত গ্রন্থ 'ধ্বন্যালোক' রচনা করেন। এই গ্রন্থে তিনি ধ্বনিবাদকে একটি সম্পূর্ণ ও সুসংগঠিত মতবাদ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। যদিও তাঁর আগেও ধ্বনির ধারণা প্রচলিত ছিল, তিনি এই ধারণাটিকে কাব্যতত্ত্বের প্রধান নীতি হিসেবে তুলে ধরেন এবং এর বিরোধী মতবাদগুলোর কঠোর সমালোচনা করেন। তাঁর মতে, কোনো কবিতার প্রকৃত সৌন্দর্য বা কাব্যরস এর স্পষ্ট অর্থ (বাচ্যার্থ) নয়, বরং তার অন্তর্নিহিত অর্থ বা ব্যঞ্জনার মধ্যেই নিহিত থাকে। এই ব্যঞ্জনাকেই তিনি 'ধ্বনি' বলে অভিহিত করেছেন।
আনন্দবর্ধনের এই তত্ত্ব ভারতীয় সাহিত্য সমালোচনার ইতিহাসে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।
ভারতীয় অলংকারশাস্ত্র | ধ্বনিবাদ পর্ব-১ | dhonibad | ধ্বনিরাত্মা কাব্যস্য | Bengali all in one
এই ভিডিওটি ভারতীয় অলঙ্কারশাস্ত্রের ধ্বনিবাদ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করে।
ধ্বনির জনক বলতে সাধারণত ভাষার উৎপত্তিতে ধ্বনির গুরুত্ব নিয়ে যারা আলোচনা করেছেন, তাদের মধ্যে কয়েকজনকে বোঝানো হয়। তবে, যদি আপনি ব্যাকরণ বা ভাষাবিজ্ঞানে একটি নির্দিষ্ট ধারণার জনক জানতে চেয়ে থাকেন, তবে সেই ক্ষেত্রে 'ধ্বনিবাদ' (Phonetics) নামক ধারণার জনক হিসেবে বিভিন্ন পণ্ডিতের নাম আসে।
সাধারণভাবে, ধ্বনিবাদের জনক হিসেবে হেনরি সুইট (Henry Sweet) এবং ড্যানিয়েল জোন্স (Daniel Jones)-কে ধরা হয়। তারা আধুনিক ধ্বনিবিজ্ঞানের ভিত্তি স্থাপন করেছেন।
হেনরি সুইট: তিনি ছিলেন একজন ইংরেজ ভাষাবিদ। তিনি বিভিন্ন ভাষার ধ্বনি সম্পর্কে বিশদ গবেষণা করেন এবং ধ্বনিবিজ্ঞানের পদ্ধতিগত ভিত্তি গড়ে তোলেন।
ড্যানিয়েল জোন্স: তিনি ব্রিটিশ ধ্বনিবিদ হিসেবে পরিচিত। তিনি 'ফোনোলজি' এবং 'ফোনেটিক্স'-এর পার্থক্য তুলে ধরেন এবং ধ্বনিবিজ্ঞানে আধুনিকতার ছোঁয়া আনেন। তিনি 'ইন্টারন্যাশনাল ফোনেটিক অ্যালফাবেট (IPA)'-এর উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
তবে, আধুনিক বাংলা ধ্বনিবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অনেক পন্ডিত এর অবদান রয়েছে।
আনন্দবর্ধন নবম শতাব্দীতে তার বিখ্যাত গ্রন্থ 'ধ্বন্যালোক' রচনা করেন। এই গ্রন্থে তিনি ধ্বনিবাদকে একটি সম্পূর্ণ ও সুসংগঠিত মতবাদ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। যদিও তাঁর আগেও ধ্বনির ধারণা প্রচলিত ছিল, তিনি এই ধারণাটিকে কাব্যতত্ত্বের প্রধান নীতি হিসেবে তুলে ধরেন এবং এর বিরোধী মতবাদগুলোর কঠোর সমালোচনা করেন। তাঁর মতে, কোনো কবিতার প্রকৃত সৌন্দর্য বা কাব্যরস এর স্পষ্ট অর্থ (বাচ্যার্থ) নয়, বরং তার অন্তর্নিহিত অর্থ বা ব্যঞ্জনার মধ্যেই নিহিত থাকে। এই ব্যঞ্জনাকেই তিনি 'ধ্বনি' বলে অভিহিত করেছেন।
আনন্দবর্ধনের এই তত্ত্ব ভারতীয় সাহিত্য সমালোচনার ইতিহাসে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।
ভারতীয় অলংকারশাস্ত্র | ধ্বনিবাদ পর্ব-১ | dhonibad | ধ্বনিরাত্মা কাব্যস্য | Bengali all in one
এই ভিডিওটি ভারতীয় অলঙ্কারশাস্ত্রের ধ্বনিবাদ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করে।
ধ্বনির জনক বলতে সাধারণত ভাষার উৎপত্তিতে ধ্বনির গুরুত্ব নিয়ে যারা আলোচনা করেছেন, তাদের মধ্যে কয়েকজনকে বোঝানো হয়। তবে, যদি আপনি ব্যাকরণ বা ভাষাবিজ্ঞানে একটি নির্দিষ্ট ধারণার জনক জানতে চেয়ে থাকেন, তবে সেই ক্ষেত্রে 'ধ্বনিবাদ' (Phonetics) নামক ধারণার জনক হিসেবে বিভিন্ন পণ্ডিতের নাম আসে।
সাধারণভাবে, ধ্বনিবাদের জনক হিসেবে হেনরি সুইট (Henry Sweet) এবং ড্যানিয়েল জোন্স (Daniel Jones)-কে ধরা হয়। তারা আধুনিক ধ্বনিবিজ্ঞানের ভিত্তি স্থাপন করেছেন।
হেনরি সুইট: তিনি ছিলেন একজন ইংরেজ ভাষাবিদ। তিনি বিভিন্ন ভাষার ধ্বনি সম্পর্কে বিশদ গবেষণা করেন এবং ধ্বনিবিজ্ঞানের পদ্ধতিগত ভিত্তি গড়ে তোলেন।
ড্যানিয়েল জোন্স: তিনি ব্রিটিশ ধ্বনিবিদ হিসেবে পরিচিত। তিনি 'ফোনোলজি' এবং 'ফোনেটিক্স'-এর পার্থক্য তুলে ধরেন এবং ধ্বনিবিজ্ঞানে আধুনিকতার ছোঁয়া আনেন। তিনি 'ইন্টারন্যাশনাল ফোনেটিক অ্যালফাবেট (IPA)'-এর উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
তবে, আধুনিক বাংলা ধ্বনিবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অনেক পন্ডিত এর অবদান রয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন