ফুচকার আবিষ্কারক কে
ফুচকার কোনো একজন নির্দিষ্ট আবিষ্কারক নেই। এটি ভারতের একটি জনপ্রিয় রাস্তার খাবার, যার উৎপত্তি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কিংবদন্তি ও তত্ত্ব প্রচলিত আছে। ### ফুচকার উৎপত্তি নিয়ে প্রচলিত মতবাদ * **মহাভারতের কৃষ্টি:** সবচেয়ে জনপ্রিয় লোককথা অনুসারে, ফুচকার উৎপত্তি হয়েছে মহাভারতের দ্রৌপদীর হাত ধরে। যখন পাণ্ডবরা বনবাসে ছিলেন, তখন দ্রৌপদীকে তার শাশুড়ি কুন্তী কম সবজি ও অল্প পরিমাণ আটা দিয়ে পরিবারের জন্য খাবার বানাতে বলেন। দ্রৌপদী তখন নিজের বুদ্ধিমত্তা দিয়ে আটা থেকে ছোট ছোট গোল ও ফাঁপা রুটি তৈরি করেন এবং সেগুলোর মধ্যে আলু ও সবজি পুরে পরিবেশন করেন। এটিই আধুনিক ফুচকার পূর্বপুরুষ বলে অনেকে মনে করেন। * **উত্তর ভারতের উৎপত্তি:** অধিকাংশ খাদ্য ঐতিহাসিকদের মতে, ফুচকা বর্তমান উত্তর প্রদেশ বা বিহার অঞ্চলে উদ্ভূত হয়েছে। এটি প্রায় ৫০০ বছর আগে মগধ সাম্রাজ্যের (বর্তমান বিহার) কোনো স্থানে প্রথম তৈরি হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। প্রথমে এটি কোনো রাজকীয় বা অভিজাত খাবার ছিল না, বরং স্থানীয়ভাবে উদ্ভাবিত একটি সাধারণ খাবার ছিল। * **পুরী থেকে বিবর্তন:** ফুচকা তৈরির প্রধান উপাদান **পুরী** থেকেই এর নামকরণ হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। পুরী তেলে ভেজে ফাঁপা করা হয় এবং এর মধ্যে মশলা ও টক জল ভরে এই খাবারটি তৈরি করা হয়। সময়ের সাথে সাথে এই পুরী, যা মূলত সাধারণ তরকারি দিয়ে খাওয়া হতো, তা ফুচকার এই বিশেষ রূপে বিবর্তিত হয়েছে। ফুচকার বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন নাম প্রচলিত আছে, যেমন: উত্তর ভারতে **গোলগাপ্পা**, মহারাষ্ট্রে **পানিপুরি**, পশ্চিমবঙ্গে **ফুচকা**, এবং ওড়িশায় **গুপচুপ**। এই ভিন্ন ভিন্ন নাম এবং এর স্বাদের ভিন্নতা ইঙ্গিত দেয় যে, এটি বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের দ্বারা ধীরে ধীরে বিকশিত হয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন