কোয়াসারভেট মডেলের আবিষ্কারক হলেন কে
কোয়াসারভেট মডেলের আবিষ্কারক হলেন আলেকজান্ডার ওপারিন (Alexander Oparin)।
কোয়াসারভেট মডেল কী?
কোয়াসারভেট মডেল হলো প্রাণের উৎপত্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্ব। সোভিয়েত জীববিজ্ঞানী ওপারিন ১৯২৪ সালে এই তত্ত্বটি প্রস্তাব করেন। তার মতে, পৃথিবীর আদিম পরিবেশে বিদ্যমান প্রোটিন, লিপিড, কার্বোহাইড্রেট এবং নিউক্লিক অ্যাসিডের মতো জৈব অণুগুলো পারস্পরিক আকর্ষণের ফলে একত্রিত হয়ে ছোট ছোট ফোঁটার মতো গঠন তৈরি করেছিল, যাদের তিনি নাম দেন কোয়াসারভেট (Coacervate)। এই কোয়াসারভেটগুলোই জীবনের প্রথম ধাপ বা প্রোটোবায়োন্ট হিসেবে বিবেচিত হয়।
এই মডেলের মূল ধারণাগুলো হলো:
আদিম পৃথিবীর উষ্ণ সমুদ্র ছিল জৈব অণুর এক সমৃদ্ধ মিশ্রণ, যাকে 'হট ডাইল্যুট স্যুপ' বা 'প্রিবায়োটিক স্যুপ' বলা হয়।
এই স্যুপে থাকা জৈব অণুগুলো পরস্পরের সঙ্গে রাসায়নিকভাবে যুক্ত হয়ে জটিল যৌগ গঠন করে।
এই জটিল যৌগগুলো জল থেকে পৃথক হয়ে কলয়েডাল ফোঁটা তৈরি করে, যা কোয়াসারভেট নামে পরিচিত।
কোয়াসারভেটগুলো কোষপর্দার মতো একটি পৃষ্ঠ দ্বারা আবৃত ছিল এবং ভেতরের পরিবেশে বাইরের পরিবেশ থেকে পৃথক হয়ে স্বাতন্ত্র্য লাভ করেছিল।
একসময় এই কোয়াসারভেটগুলোর মধ্যে বিপাকীয় কার্যকলাপ শুরু হয় এবং এটি জীবনের দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, বিজ্ঞানী জে. বি. এস. হ্যালডেনও প্রায় একই সময়ে স্বাধীনভাবে অনুরূপ একটি ধারণা প্রকাশ করেছিলেন, কিন্তু কোয়াসারভেট শব্দটি ওপারিনই প্রথম ব্যবহার করেন। তাই এই মডেলের প্রধান প্রবক্তা হিসেবে ওপারিনের নামই বিশেষভাবে পরিচিত।
কোয়াসারভেট মডেলের আবিষ্কারক হলেন আলেকজান্ডার ওপারিন (Alexander Oparin)। ১৯২৪ সালে তিনি তার এই মডেলটি প্রস্তাব করেন, যা পৃথিবীতে জীবনের উৎপত্তি ব্যাখ্যা করার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।
কোয়াসারভেট মডেল কী?
ওপারিনের মতে, প্রাচীন পৃথিবীর পরিবেশের উচ্চ তাপমাত্রা এবং রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতিতে প্রোটিন এবং অন্যান্য জৈব অণুগুলো একত্রিত হয়ে ক্ষুদ্র তরল বিন্দুর মতো গঠন তৈরি করেছিল, যাদের তিনি নাম দেন কোয়াসারভেট (Coacervate)। এই কোয়াসারভেটগুলো ছিল কোষের পূর্বসূরী বা প্রোটোবায়োন্ট। তাদের মধ্যে নির্দিষ্ট রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটেছিল এবং তারা পরিবেশ থেকে খাদ্য গ্রহণ ও বৃদ্ধি করতে সক্ষম ছিল। এই মডেলটি ব্যাখ্যা করে যে কীভাবে প্রাণহীন বস্তু থেকে ধীরে ধীরে জীবনের উৎপত্তি হয়েছিল।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন