চলচ্চিত্রের জনক kayচলচ্চিত্রের জনক কে, তা নিয়ে বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন মত প্রচলিত আছে। তবে আন্তর্জাতিকভাবে এবং ভারতে আলাদা করে চলচ্চিত্রের জনকের স্বীকৃতি রয়েছে।
চলচ্চিত্রের জনক কে, তা নিয়ে বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন মত প্রচলিত আছে। তবে আন্তর্জাতিকভাবে এবং ভারতে আলাদা করে চলচ্চিত্রের জনকের স্বীকৃতি রয়েছে।
আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রের জনক
সাধারণত, চলচ্চিত্রের প্রাথমিক উদ্ভাবক এবং প্রথম প্রদর্শনকারীদেরকেই আন্তর্জাতিকভাবে চলচ্চিত্রের জনক হিসেবে ধরা হয়। এই ক্ষেত্রে দুটি নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য:
লুমিয়ের ব্রাদার্স (Lumière Brothers): অগাস্ট এবং লুই লুমিয়েরকে আধুনিক চলচ্চিত্রের জনক বলা হয়। ১৮৯৫ সালের ২৮শে ডিসেম্বর তারা প্যারিসে তাদের তৈরি সিনেমাটোগ্রাফ যন্ত্রের মাধ্যমে প্রথম বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন করেন। এটি ছিল আধুনিক চলচ্চিত্রের এক নতুন দিগন্ত।
টমাস এডিসন (Thomas Edison): যদিও লুমিয়ের ব্রাদার্সের আগে তিনি কিণেটোস্কোপ (Kinetoscope) নামক একটি যন্ত্র আবিষ্কার করেন, যা দিয়ে কেবল একজন দর্শক একবারে চলচ্চিত্র দেখতে পারতেন। তাই, তাকে প্রথম চলচ্চিত্র নির্মাতাদের মধ্যে একজন হিসেবে ধরা হলেও, লুমিয়ের ব্রাদার্সকে সাধারণত চলচ্চিত্রের জনক হিসেবেই বেশি স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
সাধারণত, চলচ্চিত্রের প্রাথমিক উদ্ভাবক এবং প্রথম প্রদর্শনকারীদেরকেই আন্তর্জাতিকভাবে চলচ্চিত্রের জনক হিসেবে ধরা হয়। এই ক্ষেত্রে দুটি নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য:
লুমিয়ের ব্রাদার্স (Lumière Brothers): অগাস্ট এবং লুই লুমিয়েরকে আধুনিক চলচ্চিত্রের জনক বলা হয়। ১৮৯৫ সালের ২৮শে ডিসেম্বর তারা প্যারিসে তাদের তৈরি সিনেমাটোগ্রাফ যন্ত্রের মাধ্যমে প্রথম বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন করেন। এটি ছিল আধুনিক চলচ্চিত্রের এক নতুন দিগন্ত।
টমাস এডিসন (Thomas Edison): যদিও লুমিয়ের ব্রাদার্সের আগে তিনি কিণেটোস্কোপ (Kinetoscope) নামক একটি যন্ত্র আবিষ্কার করেন, যা দিয়ে কেবল একজন দর্শক একবারে চলচ্চিত্র দেখতে পারতেন। তাই, তাকে প্রথম চলচ্চিত্র নির্মাতাদের মধ্যে একজন হিসেবে ধরা হলেও, লুমিয়ের ব্রাদার্সকে সাধারণত চলচ্চিত্রের জনক হিসেবেই বেশি স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
ভারতীয় চলচ্চিত্রের জনক
ভারতে, দাদাসাহেব ফালকে (Dadasaheb Phalke)-কে "ভারতীয় চলচ্চিত্রের জনক" হিসেবে সম্মান জানানো হয়। তার কারণ হলো:
১৯১৩ সালে তিনি ভারতের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনীচিত্র "রাজা হরিশচন্দ্র" নির্মাণ করেন।
তিনি শুধু একজন পরিচালকই ছিলেন না, বরং একজন প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার এবং পরিবেশকও ছিলেন। তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ভারত সরকার ১৯১৯ সাল থেকে তার নামে "দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার" প্রদান করে, যা ভারতীয় চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মান।
ভারতে, দাদাসাহেব ফালকে (Dadasaheb Phalke)-কে "ভারতীয় চলচ্চিত্রের জনক" হিসেবে সম্মান জানানো হয়। তার কারণ হলো:
১৯১৩ সালে তিনি ভারতের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনীচিত্র "রাজা হরিশচন্দ্র" নির্মাণ করেন।
তিনি শুধু একজন পরিচালকই ছিলেন না, বরং একজন প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার এবং পরিবেশকও ছিলেন। তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ভারত সরকার ১৯১৯ সাল থেকে তার নামে "দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার" প্রদান করে, যা ভারতীয় চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মান।
বাংলা চলচ্চিত্রের জনক
বাংলা চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে হীরালাল সেন-কে পথিকৃৎ এবং অনেক সময় "বাংলা চলচ্চিত্রের জনক" বলা হয়। যদিও তার নির্মিত বেশিরভাগ ছবিই নষ্ট হয়ে গেছে, তবুও তিনি ছিলেন প্রথম দিকের ভারতীয় ও বাঙালি চলচ্চিত্র নির্মাতাদের মধ্যে অন্যতম। ১৯০৩ সালে তিনি প্রথম কাহিনীচিত্র নির্ভর চলচ্চিত্র "আলী বাবা ও চল্লিশ চোর" তৈরি করেছিলেন বলে মনে করা হয়।
চলচ্চিত্র বা সিনেমার জনক কে, এই প্রশ্নের সরাসরি একটি উত্তর দেওয়া কঠিন। কারণ, এটি কোনো একক ব্যক্তির আবিষ্কার ছিল না, বরং বিভিন্ন বিজ্ঞানীর উদ্ভাবন এবং প্রচেষ্টার ফসল। তবে, বিশ্বব্যাপী চলচ্চিত্রের ইতিহাসে দু'টি নাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং তাদেরকেই চলচ্চিত্রের জনক হিসেবে গণ্য করা হয়:
১. লুমিয়ের ভ্রাতৃদ্বয় (Auguste and Louis Lumière):
তারা ১৮৯৫ সালের ২৮শে ডিসেম্বর প্যারিসের গ্র্যান্ড ক্যাফেতে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে টিকিট কেটে দর্শকদের জন্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করেন।
তাদের তৈরি যন্ত্রের নাম ছিল 'সিনেমাটোগ্রাফ' (Cinematograph), যা একই সাথে ক্যামেরা, প্রিন্টার এবং প্রজেক্টর হিসেবে কাজ করত।
এই কারণে অনেক ইতিহাসবিদ লুমিয়ের ভ্রাতৃদ্বয়কে আধুনিক চলচ্চিত্রের জনক হিসেবে বিবেচনা করেন।
২. টমাস এডিসন (Thomas Edison):
লুমিয়ের ভ্রাতৃদ্বয়ের আগে টমাস এডিসন তার সহকারী উইলিয়াম কেনেডি ডিকসনের (William Kennedy Dickson) সহায়তায় ১৮৯০-এর দশকে একটি যন্ত্র তৈরি করেন, যার নাম ছিল 'কাইনেটোস্কোপ' (Kinetoscope)।
এটি ছিল এক ধরণের ব্যক্তিগত দেখার যন্ত্র, যেখানে একজন দর্শক বাক্সের মধ্যে দিয়ে একটি ছোট চলমান ছবি দেখতে পারতেন। এটি প্রজেক্টর ছিল না, তাই বৃহৎ পরিসরে দর্শকদের দেখানোর ব্যবস্থা ছিল না।
সুতরাং, যদি আধুনিক পাবলিক প্রদর্শনের দিক থেকে বিবেচনা করা হয়, তাহলে লুমিয়ের ভ্রাতৃদ্বয়কে চলচ্চিত্রের জনক বলা হয়।
ভারতীয় চলচ্চিত্রের জনক:
ভারতীয় চলচ্চিত্রের জনক হিসেবে দাদাসাহেব ফালকে (Dadasaheb Phalke) কে গণ্য করা হয়।
তিনি ১৯১৩ সালে ভারতের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনিচিত্র 'রাজা হরিশচন্দ্র' নির্মাণ করেন। তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ভারত সরকার তার নামে 'দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার' প্রদান করে, যা ভারতীয় চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মাননা।
বাংলা চলচ্চিত্রের জনক:
অনেক বিশেষজ্ঞ বাংলা চলচ্চিত্রের জনক হিসেবে হীরালাল সেনকে বিবেচনা করেন। যদিও তার নির্মিত বেশিরভাগ চলচ্চিত্র হারিয়ে গেছে, তবে তিনি ১৯০০ সালের দশকের প্রথম দিকে ভারতে প্রথম কাহিনিচিত্র নির্ভর শর্ট ফিল্ম এবং বিজ্ঞাপনচিত্র তৈরি করেছিলেন।
বাংলা চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে হীরালাল সেন-কে পথিকৃৎ এবং অনেক সময় "বাংলা চলচ্চিত্রের জনক" বলা হয়। যদিও তার নির্মিত বেশিরভাগ ছবিই নষ্ট হয়ে গেছে, তবুও তিনি ছিলেন প্রথম দিকের ভারতীয় ও বাঙালি চলচ্চিত্র নির্মাতাদের মধ্যে অন্যতম। ১৯০৩ সালে তিনি প্রথম কাহিনীচিত্র নির্ভর চলচ্চিত্র "আলী বাবা ও চল্লিশ চোর" তৈরি করেছিলেন বলে মনে করা হয়।
চলচ্চিত্র বা সিনেমার জনক কে, এই প্রশ্নের সরাসরি একটি উত্তর দেওয়া কঠিন। কারণ, এটি কোনো একক ব্যক্তির আবিষ্কার ছিল না, বরং বিভিন্ন বিজ্ঞানীর উদ্ভাবন এবং প্রচেষ্টার ফসল। তবে, বিশ্বব্যাপী চলচ্চিত্রের ইতিহাসে দু'টি নাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং তাদেরকেই চলচ্চিত্রের জনক হিসেবে গণ্য করা হয়:
১. লুমিয়ের ভ্রাতৃদ্বয় (Auguste and Louis Lumière):
তারা ১৮৯৫ সালের ২৮শে ডিসেম্বর প্যারিসের গ্র্যান্ড ক্যাফেতে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে টিকিট কেটে দর্শকদের জন্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করেন।
তাদের তৈরি যন্ত্রের নাম ছিল 'সিনেমাটোগ্রাফ' (Cinematograph), যা একই সাথে ক্যামেরা, প্রিন্টার এবং প্রজেক্টর হিসেবে কাজ করত।
এই কারণে অনেক ইতিহাসবিদ লুমিয়ের ভ্রাতৃদ্বয়কে আধুনিক চলচ্চিত্রের জনক হিসেবে বিবেচনা করেন।
২. টমাস এডিসন (Thomas Edison):
লুমিয়ের ভ্রাতৃদ্বয়ের আগে টমাস এডিসন তার সহকারী উইলিয়াম কেনেডি ডিকসনের (William Kennedy Dickson) সহায়তায় ১৮৯০-এর দশকে একটি যন্ত্র তৈরি করেন, যার নাম ছিল 'কাইনেটোস্কোপ' (Kinetoscope)।
এটি ছিল এক ধরণের ব্যক্তিগত দেখার যন্ত্র, যেখানে একজন দর্শক বাক্সের মধ্যে দিয়ে একটি ছোট চলমান ছবি দেখতে পারতেন। এটি প্রজেক্টর ছিল না, তাই বৃহৎ পরিসরে দর্শকদের দেখানোর ব্যবস্থা ছিল না।
সুতরাং, যদি আধুনিক পাবলিক প্রদর্শনের দিক থেকে বিবেচনা করা হয়, তাহলে লুমিয়ের ভ্রাতৃদ্বয়কে চলচ্চিত্রের জনক বলা হয়।
ভারতীয় চলচ্চিত্রের জনক:
ভারতীয় চলচ্চিত্রের জনক হিসেবে দাদাসাহেব ফালকে (Dadasaheb Phalke) কে গণ্য করা হয়।
তিনি ১৯১৩ সালে ভারতের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনিচিত্র 'রাজা হরিশচন্দ্র' নির্মাণ করেন। তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ভারত সরকার তার নামে 'দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার' প্রদান করে, যা ভারতীয় চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মাননা।
বাংলা চলচ্চিত্রের জনক:
অনেক বিশেষজ্ঞ বাংলা চলচ্চিত্রের জনক হিসেবে হীরালাল সেনকে বিবেচনা করেন। যদিও তার নির্মিত বেশিরভাগ চলচ্চিত্র হারিয়ে গেছে, তবে তিনি ১৯০০ সালের দশকের প্রথম দিকে ভারতে প্রথম কাহিনিচিত্র নির্ভর শর্ট ফিল্ম এবং বিজ্ঞাপনচিত্র তৈরি করেছিলেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন