স্বামী স্ত্রীর রোজা

 স্বামী স্ত্রীর রোজা


স্বামী-স্ত্রীর রোজা সম্পর্কিত বিধানাবলী মূলত রমজান মাসের দিনের বেলায় তাদের পারস্পরিক আচরণের ওপর গুরুত্ব দেয়। ইসলামে রোজা কেবল পানাহার থেকে বিরত থাকা নয়, বরং সব ধরনের কামনা-বাসনা থেকেও বিরত থাকার নির্দেশ দেয়।

নিচে কুরআন ও হাদীসের আলোকে স্বামী-স্ত্রীর রোজা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ মাসায়েল তুলে ধরা হলো:

১. রমজানের দিনের বেলায় সহবাসের বিধান

রমজানের দিনের বেলায় (সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত) স্বামী-স্ত্রীর সহবাস কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

  • রোজা ভঙ্গ: দিনের বেলায় সহবাস করলে রোজা ভেঙে যায়।

  • কাযা ও কাফফারা: ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা অবস্থায় সহবাস করলে সেই রোজাটির কাযা (পরে একটি রোজা পালন) করতে হবে এবং সাথে ভারী কাফফারা আদায় করতে হবে।

ভারী কাফফারার নিয়ম (ধারাবাহিকতা অনুযায়ী):

১. একটি দাস/দাসী মুক্ত করা (বর্তমানে অপ্রচলিত)।

২. একটানা ষাটটি (৬০) রোজা পালন করা।

৩. যদি তা সম্ভব না হয়, তবে ষাটজন মিসকিনকে (গরীব/অসহায়) পেট ভরে খাওয়ানো।

  • জোরপূর্বক সহবাস: যদি স্বামী জোরপূর্বক সহবাস করেন এবং স্ত্রী তা প্রতিহত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন, তবে শুধু স্বামীর ওপর কাযা ও কাফফারা বর্তাবে, স্ত্রীর ওপর নয়। তবে স্ত্রী যদি স্বেচ্ছায় সম্মতি দেন, তবে উভয়ের ওপরই কাযা ও কাফফারা ওয়াজিব হবে।

২. রমজানের রাতের বেলায় সহবাসের বিধান

রমজানে ইফতারের পর থেকে শুরু করে সুবহে সাদিক (সেহরির শেষ সময়) পর্যন্ত স্বামী-স্ত্রীর সহবাস সম্পূর্ণভাবে বৈধ

  • কুরআনের ঘোষণা: আল্লাহ তাআলা বলেছেন,

    "সিয়ামের রাতে তোমাদের জন্য তোমাদের স্ত্রীদের নিকট গমন হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের জন্য পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের জন্য পরিচ্ছদ..." (সূরা বাকারা: ১৮৭)।

৩. রোজা অবস্থায় ঘনিষ্ঠতা (চুম্বন, আলিঙ্গন ইত্যাদি)

দিনের বেলায় রোজা রেখে স্বামী-স্ত্রীর সাধারণ ঘনিষ্ঠতা যেমন— স্পর্শ করা, চুম্বন করা বা আলিঙ্গন করার ক্ষেত্রে বিধান হলো:

  • বৈধতা: যদি স্বামী-স্ত্রীর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকে এবং তাদের বীর্যপাত বা সহবাসে লিপ্ত হওয়ার কোনো আশঙ্কা না থাকে, তবে চুম্বন বা আলিঙ্গন করা বৈধ। মহানবী (সা.) রোজা অবস্থায়ও স্ত্রীকে চুম্বন করতেন।

  • বর্জনীয়: যদি স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যে উত্তেজনা বেশি থাকে এবং বীর্যপাত বা সহবাসে লিপ্ত হওয়ার সামান্যতমও আশঙ্কা থাকে, তবে তা বর্জন করা আবশ্যক। এ ক্ষেত্রে যুবক বা বৃদ্ধের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই, ব্যক্তিগত আত্মনিয়ন্ত্রণের ক্ষমতাই মূল বিবেচ্য।

  • বীর্যপাত ঘটলে: যদি ঘনিষ্ঠতার কারণে বীর্যপাত ঘটে যায় (সহবাস না হলেও), তবে রোজা ভেঙে যাবে এবং সেই রোজাটি কাযা করতে হবে (কাফফারা দেওয়া লাগবে না)।

৪. সহবাসের পর সেহরি ও রোজা

  • পবিত্রতা: রাতে সহবাসের পর যদি গোসল ফরজ হয়, তবে সেহরি খাওয়ার আগে গোসল করা জরুরি নয়। গোসল ফরজ অবস্থায়ও সেহরি খাওয়া যায়।

  • গোসল: তবে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য অবশ্যই গোসল করে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে। গোসল না করে নামাজ আদায় করা জায়েজ নয়। নবীজি (সা.) কখনো কখনো নাপাক অবস্থায় সেহরি করতেন এবং পরে গোসল করে নামাজ আদায় করতেন।



স্বামী-স্ত্রীর রোজা সম্পর্কিত বিধানাবলী মূলত রমজান মাসের দিনের বেলায় তাদের পারস্পরিক আচরণের ওপর গুরুত্ব দেয়। ইসলামে রোজা কেবল পানাহার থেকে বিরত থাকা নয়, বরং সব ধরনের কামনা-বাসনা থেকেও বিরত থাকার নির্দেশ দেয়।

নিচে কুরআন ও হাদীসের আলোকে স্বামী-স্ত্রীর রোজা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ মাসায়েল তুলে ধরা হলো:

১. রমজানের দিনের বেলায় সহবাসের বিধান

রমজানের দিনের বেলায় (সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত) স্বামী-স্ত্রীর সহবাস কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

  • রোজা ভঙ্গ: দিনের বেলায় সহবাস করলে রোজা ভেঙে যায়।

  • কাযা ও কাফফারা: ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা অবস্থায় সহবাস করলে সেই রোজাটির কাযা (পরে একটি রোজা পালন) করতে হবে এবং সাথে ভারী কাফফারা আদায় করতে হবে।

ভারী কাফফারার নিয়ম (ধারাবাহিকতা অনুযায়ী):

১. একটি দাস/দাসী মুক্ত করা (বর্তমানে অপ্রচলিত)।

২. একটানা ষাটটি (৬০) রোজা পালন করা।

৩. যদি তা সম্ভব না হয়, তবে ষাটজন মিসকিনকে (গরীব/অসহায়) পেট ভরে খাওয়ানো।

  • জোরপূর্বক সহবাস: যদি স্বামী জোরপূর্বক সহবাস করেন এবং স্ত্রী তা প্রতিহত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন, তবে শুধু স্বামীর ওপর কাযা ও কাফফারা বর্তাবে, স্ত্রীর ওপর নয়। তবে স্ত্রী যদি স্বেচ্ছায় সম্মতি দেন, তবে উভয়ের ওপরই কাযা ও কাফফারা ওয়াজিব হবে।

২. রমজানের রাতের বেলায় সহবাসের বিধান

রমজানে ইফতারের পর থেকে শুরু করে সুবহে সাদিক (সেহরির শেষ সময়) পর্যন্ত স্বামী-স্ত্রীর সহবাস সম্পূর্ণভাবে বৈধ

  • কুরআনের ঘোষণা: আল্লাহ তাআলা বলেছেন,

    "সিয়ামের রাতে তোমাদের জন্য তোমাদের স্ত্রীদের নিকট গমন হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের জন্য পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের জন্য পরিচ্ছদ..." (সূরা বাকারা: ১৮৭)।

৩. রোজা অবস্থায় ঘনিষ্ঠতা (চুম্বন, আলিঙ্গন ইত্যাদি)

দিনের বেলায় রোজা রেখে স্বামী-স্ত্রীর সাধারণ ঘনিষ্ঠতা যেমন— স্পর্শ করা, চুম্বন করা বা আলিঙ্গন করার ক্ষেত্রে বিধান হলো:

  • বৈধতা: যদি স্বামী-স্ত্রীর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকে এবং তাদের বীর্যপাত বা সহবাসে লিপ্ত হওয়ার কোনো আশঙ্কা না থাকে, তবে চুম্বন বা আলিঙ্গন করা বৈধ। মহানবী (সা.) রোজা অবস্থায়ও স্ত্রীকে চুম্বন করতেন।

  • বর্জনীয়: যদি স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যে উত্তেজনা বেশি থাকে এবং বীর্যপাত বা সহবাসে লিপ্ত হওয়ার সামান্যতমও আশঙ্কা থাকে, তবে তা বর্জন করা আবশ্যক। এ ক্ষেত্রে যুবক বা বৃদ্ধের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই, ব্যক্তিগত আত্মনিয়ন্ত্রণের ক্ষমতাই মূল বিবেচ্য।

  • বীর্যপাত ঘটলে: যদি ঘনিষ্ঠতার কারণে বীর্যপাত ঘটে যায় (সহবাস না হলেও), তবে রোজা ভেঙে যাবে এবং সেই রোজাটি কাযা করতে হবে (কাফফারা দেওয়া লাগবে না)।

৪. সহবাসের পর সেহরি ও রোজা

  • পবিত্রতা: রাতে সহবাসের পর যদি গোসল ফরজ হয়, তবে সেহরি খাওয়ার আগে গোসল করা জরুরি নয়। গোসল ফরজ অবস্থায়ও সেহরি খাওয়া যায়।

  • গোসল: তবে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য অবশ্যই গোসল করে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে। গোসল না করে নামাজ আদায় করা জায়েজ নয়। নবীজি (সা.) কখনো কখনো নাপাক অবস্থায় সেহরি করতেন এবং পরে গোসল করে নামাজ আদায় করতেন।


স্বামী-স্ত্রীর রোজা সম্পর্কিত বিধানাবলী মূলত রমজান মাসের দিনের বেলায় তাদের পারস্পরিক আচরণের ওপর গুরুত্ব দেয়। ইসলামে রোজা কেবল পানাহার থেকে বিরত থাকা নয়, বরং সব ধরনের কামনা-বাসনা থেকেও বিরত থাকার নির্দেশ দেয়।

নিচে কুরআন ও হাদীসের আলোকে স্বামী-স্ত্রীর রোজা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ মাসায়েল তুলে ধরা হলো:

১. রমজানের দিনের বেলায় সহবাসের বিধান

রমজানের দিনের বেলায় (সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত) স্বামী-স্ত্রীর সহবাস কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

  • রোজা ভঙ্গ: দিনের বেলায় সহবাস করলে রোজা ভেঙে যায়।

  • কাযা ও কাফফারা: ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা অবস্থায় সহবাস করলে সেই রোজাটির কাযা (পরে একটি রোজা পালন) করতে হবে এবং সাথে ভারী কাফফারা আদায় করতে হবে।

ভারী কাফফারার নিয়ম (ধারাবাহিকতা অনুযায়ী):

১. একটি দাস/দাসী মুক্ত করা (বর্তমানে অপ্রচলিত)।

২. একটানা ষাটটি (৬০) রোজা পালন করা।

৩. যদি তা সম্ভব না হয়, তবে ষাটজন মিসকিনকে (গরীব/অসহায়) পেট ভরে খাওয়ানো।

  • জোরপূর্বক সহবাস: যদি স্বামী জোরপূর্বক সহবাস করেন এবং স্ত্রী তা প্রতিহত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন, তবে শুধু স্বামীর ওপর কাযা ও কাফফারা বর্তাবে, স্ত্রীর ওপর নয়। তবে স্ত্রী যদি স্বেচ্ছায় সম্মতি দেন, তবে উভয়ের ওপরই কাযা ও কাফফারা ওয়াজিব হবে।

২. রমজানের রাতের বেলায় সহবাসের বিধান

রমজানে ইফতারের পর থেকে শুরু করে সুবহে সাদিক (সেহরির শেষ সময়) পর্যন্ত স্বামী-স্ত্রীর সহবাস সম্পূর্ণভাবে বৈধ

  • কুরআনের ঘোষণা: আল্লাহ তাআলা বলেছেন,

    "সিয়ামের রাতে তোমাদের জন্য তোমাদের স্ত্রীদের নিকট গমন হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের জন্য পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের জন্য পরিচ্ছদ..." (সূরা বাকারা: ১৮৭)।

৩. রোজা অবস্থায় ঘনিষ্ঠতা (চুম্বন, আলিঙ্গন ইত্যাদি)

দিনের বেলায় রোজা রেখে স্বামী-স্ত্রীর সাধারণ ঘনিষ্ঠতা যেমন— স্পর্শ করা, চুম্বন করা বা আলিঙ্গন করার ক্ষেত্রে বিধান হলো:

  • বৈধতা: যদি স্বামী-স্ত্রীর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকে এবং তাদের বীর্যপাত বা সহবাসে লিপ্ত হওয়ার কোনো আশঙ্কা না থাকে, তবে চুম্বন বা আলিঙ্গন করা বৈধ। মহানবী (সা.) রোজা অবস্থায়ও স্ত্রীকে চুম্বন করতেন।

  • বর্জনীয়: যদি স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যে উত্তেজনা বেশি থাকে এবং বীর্যপাত বা সহবাসে লিপ্ত হওয়ার সামান্যতমও আশঙ্কা থাকে, তবে তা বর্জন করা আবশ্যক। এ ক্ষেত্রে যুবক বা বৃদ্ধের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই, ব্যক্তিগত আত্মনিয়ন্ত্রণের ক্ষমতাই মূল বিবেচ্য।

  • বীর্যপাত ঘটলে: যদি ঘনিষ্ঠতার কারণে বীর্যপাত ঘটে যায় (সহবাস না হলেও), তবে রোজা ভেঙে যাবে এবং সেই রোজাটি কাযা করতে হবে (কাফফারা দেওয়া লাগবে না)।

৪. সহবাসের পর সেহরি ও রোজা

  • পবিত্রতা: রাতে সহবাসের পর যদি গোসল ফরজ হয়, তবে সেহরি খাওয়ার আগে গোসল করা জরুরি নয়। গোসল ফরজ অবস্থায়ও সেহরি খাওয়া যায়।

  • গোসল: তবে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য অবশ্যই গোসল করে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে। গোসল না করে নামাজ আদায় করা জায়েজ নয়। নবীজি (সা.) কখনো কখনো নাপাক অবস্থায় সেহরি করতেন এবং পরে গোসল করে নামাজ আদায় করতেন।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন