স্বামী স্ত্রীর গোপনীয়তা নিয়ে হাদিস
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক হলো পবিত্রতা, ভালোবাসা এবং আস্থার প্রতীক। ইসলাম এই সম্পর্কের গোপনীয়তা রক্ষার ওপর অত্যন্ত গুরুত্বারোপ করেছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়, বিশেষ করে দাম্পত্য জীবনের অন্তরঙ্গ মুহূর্তগুলোর কথা, অন্য কারও কাছে প্রকাশ করাকে ইসলামে জঘন্যতম পাপ হিসেবে গণ্য করা হয়।
স্বামী-স্ত্রীর গোপনীয়তা নিয়ে দুটি গুরুত্বপূর্ণ হাদিস নিচে দেওয়া হলো:
১. গোপনীয়তা ফাঁসকারী নিকৃষ্টতম ব্যক্তি
আবূ সাঈদ আল খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
"কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্টতম মানুষ হবে ওই ব্যক্তি, যে তার স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হয় এবং স্ত্রীও তার সঙ্গে মিলিত হয়, অতঃপর সে তার স্ত্রীর গোপনীয়তা ফাঁস করে দেয়।"
(সহীহ মুসলিম, হাদিস: ৩৪৩৪; অন্য বর্ণনায়: ৩৪৩৫)
এই হাদিসে স্বামী-স্ত্রীর একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়, বিশেষ করে শারীরিক সম্পর্কের বিবরণ, অন্যদের কাছে প্রকাশ করার ভয়ানক পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে। এই আমানতের খিয়ানতকারীকে কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে রাখা হবে।
২. গোপন কথা প্রকাশ শয়তানী কাজ
আসমা বিনতে ইয়াযীদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) পুরুষ ও মহিলাদের সামনে জিজ্ঞাসা করেন:
"সম্ভবতঃ কোনো পুরুষ নিজ স্ত্রীর সাথে যা করে, তা অন্যের কাছে প্রকাশ করে দেয়। আর সম্ভবতঃ কোনো স্ত্রী নিজ স্বামীর সাথে যা কিছু করে, তা অন্যের কাছে বর্ণনা করে দেয়!?"
একথা শুনে লোকেরা চুপ থাকল, কেউ জবাব দিল না। আমি (আসমা) বললাম, আল্লাহর শপথ, হে আল্লাহর রাসূল! নারীরা এরূপ করে থাকে এবং পুরুষরাও এরূপ করে থাকে।
তখন তিনি বললেন, "তোমরা এরূপ করো না। কারণ এটা শয়তানী ব্যবহার।"
(আবু দাউদ, হাদিস: ২১৭৪; মুসনাদে আহমাদ)
এই হাদিসটিতে রাসূল (সা.) খোলাখুলিভাবে স্বামী-স্ত্রী উভয়কেই এই ধরনের আলোচনা করা থেকে কঠোরভাবে বারণ করেছেন এবং এটিকে শয়তানী কাজ বা শয়তানের স্বভাব বলে উল্লেখ করেছেন।
সংক্ষিপ্ত সারকথা
ইসলামে স্বামী-স্ত্রী একে অপরের জন্য "পোশাকস্বরূপ" (সূরা বাকারা: ১৮৭)। পোশাক যেমন মানুষের দোষত্রুটি ও গোপনীয়তা ঢেকে রাখে, তেমনি স্বামী-স্ত্রীর উচিত একে অপরের গোপন বিষয়গুলো রক্ষা করা। দাম্পত্য জীবনের গোপনীয়তা রক্ষা করা আমানতদারীর অন্তর্ভুক্ত এবং এর লঙ্ঘন মারাত্মক গুনাহ ও চারিত্রিক দুর্বলতার লক্ষণ।
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক হলো পবিত্রতা, ভালোবাসা এবং আস্থার প্রতীক। ইসলাম এই সম্পর্কের গোপনীয়তা রক্ষার ওপর অত্যন্ত গুরুত্বারোপ করেছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়, বিশেষ করে দাম্পত্য জীবনের অন্তরঙ্গ মুহূর্তগুলোর কথা, অন্য কারও কাছে প্রকাশ করাকে ইসলামে জঘন্যতম পাপ হিসেবে গণ্য করা হয়।
স্বামী-স্ত্রীর গোপনীয়তা নিয়ে দুটি গুরুত্বপূর্ণ হাদিস নিচে দেওয়া হলো:
১. গোপনীয়তা ফাঁসকারী নিকৃষ্টতম ব্যক্তি
আবূ সাঈদ আল খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
"কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্টতম মানুষ হবে ওই ব্যক্তি, যে তার স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হয় এবং স্ত্রীও তার সঙ্গে মিলিত হয়, অতঃপর সে তার স্ত্রীর গোপনীয়তা ফাঁস করে দেয়।"
(সহীহ মুসলিম, হাদিস: ৩৪৩৪; অন্য বর্ণনায়: ৩৪৩৫)
এই হাদিসে স্বামী-স্ত্রীর একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়, বিশেষ করে শারীরিক সম্পর্কের বিবরণ, অন্যদের কাছে প্রকাশ করার ভয়ানক পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে। এই আমানতের খিয়ানতকারীকে কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে রাখা হবে।
২. গোপন কথা প্রকাশ শয়তানী কাজ
আসমা বিনতে ইয়াযীদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) পুরুষ ও মহিলাদের সামনে জিজ্ঞাসা করেন:
"সম্ভবতঃ কোনো পুরুষ নিজ স্ত্রীর সাথে যা করে, তা অন্যের কাছে প্রকাশ করে দেয়। আর সম্ভবতঃ কোনো স্ত্রী নিজ স্বামীর সাথে যা কিছু করে, তা অন্যের কাছে বর্ণনা করে দেয়!?"
একথা শুনে লোকেরা চুপ থাকল, কেউ জবাব দিল না। আমি (আসমা) বললাম, আল্লাহর শপথ, হে আল্লাহর রাসূল! নারীরা এরূপ করে থাকে এবং পুরুষরাও এরূপ করে থাকে।
তখন তিনি বললেন, "তোমরা এরূপ করো না। কারণ এটা শয়তানী ব্যবহার।"
(আবু দাউদ, হাদিস: ২১৭৪; মুসনাদে আহমাদ)
এই হাদিসটিতে রাসূল (সা.) খোলাখুলিভাবে স্বামী-স্ত্রী উভয়কেই এই ধরনের আলোচনা করা থেকে কঠোরভাবে বারণ করেছেন এবং এটিকে শয়তানী কাজ বা শয়তানের স্বভাব বলে উল্লেখ করেছেন।
সংক্ষিপ্ত সারকথা
ইসলামে স্বামী-স্ত্রী একে অপরের জন্য "পোশাকস্বরূপ" (সূরা বাকারা: ১৮৭)। পোশাক যেমন মানুষের দোষত্রুটি ও গোপনীয়তা ঢেকে রাখে, তেমনি স্বামী-স্ত্রীর উচিত একে অপরের গোপন বিষয়গুলো রক্ষা করা। দাম্পত্য জীবনের গোপনীয়তা রক্ষা করা আমানতদারীর অন্তর্ভুক্ত এবং এর লঙ্ঘন মারাত্মক গুনাহ ও চারিত্রিক দুর্বলতার লক্ষণ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন