জামা ইস্ত্রি করার নিয়ম
জামা বা কাপড় ইস্ত্রি করার সঠিক নিয়ম জানা থাকলে আপনার পোশাক পরিপাটি থাকবে এবং কাপড় পুড়ে যাওয়ার বা নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি কমবে। নিচে ধাপে ধাপে ইস্ত্রি করার নিয়ম দেওয়া হলো:
১. প্রাথমিক প্রস্তুতি
ইস্ত্রি করার স্থান: একটি শক্ত, মসৃণ এবং তাপ নিরোধক স্থানে (যেমন: আয়রন বোর্ড বা ফ্লোরে মোটা তোয়ালে বা কাপড় বিছিয়ে) কাপড় রাখুন।
কাপড়ের ধরন নির্বাচন: ইস্ত্রি করার আগে দেখুন কাপড়টি কীসের তৈরি (সুতি, সিল্ক, সিনথেটিক, উল ইত্যাদি)।
তাপমাত্রা নির্ধারণ: ইস্ত্রির গায়ে সাধারণত কাপড়ের ধরন অনুযায়ী তাপমাত্রার সেটিং দেওয়া থাকে। কাপড়ের ধরন অনুযায়ী সঠিক তাপমাত্রা সেট করুন।
কম তাপমাত্রা (Low/Cool): সিল্ক, সিনথেটিক (পলিয়েস্টার, নাইলন), অ্যাক্রিলিক।
মাঝারি তাপমাত্রা (Medium/Warm): উল, রেয়ন।
উচ্চ তাপমাত্রা (High/Hot): সুতি (কটন), লিনেন।
বাষ্প (Steam) ব্যবহার: সুতির মতো মোটা বা বেশি কুঁচকানো কাপড়ের জন্য ইস্ত্রির বাষ্প (Steam) অপশন ব্যবহার করুন বা সামান্য পানি ছিটিয়ে নিন।
২. ইস্ত্রি করার সঠিক পদ্ধতি (শার্ট বা জামার ক্ষেত্রে)
জামা ইস্ত্রি করার সময় সাধারণত ছোট এবং মোটা অংশগুলি দিয়ে শুরু করে বড় অংশে যেতে হয়।
ধাপ ১: কলার (Collar)
জামা উল্টো করে ধরুন। কলারের নিচের দিক থেকে ইস্ত্রি করা শুরু করুন। তারপর কলারের বাইরের দিকটি ইস্ত্রি করুন। মনে রাখবেন, সব সময় লম্বালম্বিভাবে ইস্ত্রি টানুন, গোল করে নয়।
ধাপ ২: হাতার কাফ (Cuff)
প্রথমে কাফের ভেতরের দিক এবং তারপর বাইরের দিক ইস্ত্রি করুন। কাফের মাঝখানের ভাঁজ যেন স্পষ্ট থাকে।
ধাপ ৩: হাতা (Sleeve)
হাতা সমান করে বিছিয়ে দিন। শার্টের হাতার মাঝ বরাবর লম্বাভাবে ইস্ত্রি করুন। ভাঁজ যেন সমান হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। অনেকে হাতায় দুটি ভাঁজ তৈরির জন্য কাফের কাছ থেকে কাঁধ পর্যন্ত ইস্ত্রি করেন।
ধাপ ৪: সামনের অংশ (Front Panel)
শার্টের সামনের অংশ বা প্লেট (যেখানে বোতাম বা বোতামের ঘর থাকে) সমান করে টেবিলের উপর রাখুন। প্রথমে বোতামের দিকটা সাবধানে ইস্ত্রি করুন। বোতামের ওপর সরাসরি ইস্ত্রি টানবেন না, এতে বোতাম গলে যেতে পারে বা ভেঙে যেতে পারে। তারপর বাকি অংশ ইস্ত্রি করুন।
ধাপ ৫: পেছনের অংশ (Back)
শার্টের পেছনের অংশটি সমান করে বিছিয়ে দিন। কাঁধের অংশ থেকে শুরু করে নিচের দিকে লম্বাভাবে ইস্ত্রি করুন।
৩. বিশেষ টিপস
উল্টো দিক থেকে ইস্ত্রি: সিল্ক, প্রিন্টের কাপড় (ব্লক, হ্যান্ডপেইন্ট) বা গাঢ় রঙের কাপড় সব সময় উল্টো দিক থেকে ইস্ত্রি করুন। এতে কাপড়ের রং বা নকশা নষ্ট হবে না এবং কাপড় ঝলসে যাবে না।
ভেজা কাপড় দিয়ে ইস্ত্রি: যদি কাপড় খুব সংবেদনশীল হয় বা ইস্ত্রি বেশি গরম হয়ে যায়, তবে সেই কাপড়ের উপরে একটি পাতলা পরিষ্কার ভেজা সুতির কাপড় বা রুমাল রেখে তারপর ইস্ত্রি করুন।
পোশাক সংরক্ষণ: ইস্ত্রি করা শেষ হলে জামাটি কিছুটা ঠান্ডা হওয়ার জন্য ঝুলিয়ে রাখুন। গরম অবস্থায় ভাঁজ করলে কুঁচকে যেতে পারে।
সঠিক নিয়মে ইস্ত্রি করলে আপনার পছন্দের পোশাক থাকবে দীর্ঘস্থায়ী এবং পরিপাটি।
জামা বা কাপড় ইস্ত্রি করার সঠিক নিয়ম জানা থাকলে আপনার পোশাক পরিপাটি থাকবে এবং কাপড় পুড়ে যাওয়ার বা নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি কমবে। নিচে ধাপে ধাপে ইস্ত্রি করার নিয়ম দেওয়া হলো:
১. প্রাথমিক প্রস্তুতি
ইস্ত্রি করার স্থান: একটি শক্ত, মসৃণ এবং তাপ নিরোধক স্থানে (যেমন: আয়রন বোর্ড বা ফ্লোরে মোটা তোয়ালে বা কাপড় বিছিয়ে) কাপড় রাখুন।
কাপড়ের ধরন নির্বাচন: ইস্ত্রি করার আগে দেখুন কাপড়টি কীসের তৈরি (সুতি, সিল্ক, সিনথেটিক, উল ইত্যাদি)।
তাপমাত্রা নির্ধারণ: ইস্ত্রির গায়ে সাধারণত কাপড়ের ধরন অনুযায়ী তাপমাত্রার সেটিং দেওয়া থাকে। কাপড়ের ধরন অনুযায়ী সঠিক তাপমাত্রা সেট করুন।
কম তাপমাত্রা (Low/Cool): সিল্ক, সিনথেটিক (পলিয়েস্টার, নাইলন), অ্যাক্রিলিক।
মাঝারি তাপমাত্রা (Medium/Warm): উল, রেয়ন।
উচ্চ তাপমাত্রা (High/Hot): সুতি (কটন), লিনেন।
বাষ্প (Steam) ব্যবহার: সুতির মতো মোটা বা বেশি কুঁচকানো কাপড়ের জন্য ইস্ত্রির বাষ্প (Steam) অপশন ব্যবহার করুন বা সামান্য পানি ছিটিয়ে নিন।
২. ইস্ত্রি করার সঠিক পদ্ধতি (শার্ট বা জামার ক্ষেত্রে)
জামা ইস্ত্রি করার সময় সাধারণত ছোট এবং মোটা অংশগুলি দিয়ে শুরু করে বড় অংশে যেতে হয়।
ধাপ ১: কলার (Collar)
জামা উল্টো করে ধরুন। কলারের নিচের দিক থেকে ইস্ত্রি করা শুরু করুন। তারপর কলারের বাইরের দিকটি ইস্ত্রি করুন। মনে রাখবেন, সব সময় লম্বালম্বিভাবে ইস্ত্রি টানুন, গোল করে নয়।
ধাপ ২: হাতার কাফ (Cuff)
প্রথমে কাফের ভেতরের দিক এবং তারপর বাইরের দিক ইস্ত্রি করুন। কাফের মাঝখানের ভাঁজ যেন স্পষ্ট থাকে।
ধাপ ৩: হাতা (Sleeve)
হাতা সমান করে বিছিয়ে দিন। শার্টের হাতার মাঝ বরাবর লম্বাভাবে ইস্ত্রি করুন। ভাঁজ যেন সমান হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। অনেকে হাতায় দুটি ভাঁজ তৈরির জন্য কাফের কাছ থেকে কাঁধ পর্যন্ত ইস্ত্রি করেন।
ধাপ ৪: সামনের অংশ (Front Panel)
শার্টের সামনের অংশ বা প্লেট (যেখানে বোতাম বা বোতামের ঘর থাকে) সমান করে টেবিলের উপর রাখুন। প্রথমে বোতামের দিকটা সাবধানে ইস্ত্রি করুন। বোতামের ওপর সরাসরি ইস্ত্রি টানবেন না, এতে বোতাম গলে যেতে পারে বা ভেঙে যেতে পারে। তারপর বাকি অংশ ইস্ত্রি করুন।
ধাপ ৫: পেছনের অংশ (Back)
শার্টের পেছনের অংশটি সমান করে বিছিয়ে দিন। কাঁধের অংশ থেকে শুরু করে নিচের দিকে লম্বাভাবে ইস্ত্রি করুন।
৩. বিশেষ টিপস
উল্টো দিক থেকে ইস্ত্রি: সিল্ক, প্রিন্টের কাপড় (ব্লক, হ্যান্ডপেইন্ট) বা গাঢ় রঙের কাপড় সব সময় উল্টো দিক থেকে ইস্ত্রি করুন। এতে কাপড়ের রং বা নকশা নষ্ট হবে না এবং কাপড় ঝলসে যাবে না।
ভেজা কাপড় দিয়ে ইস্ত্রি: যদি কাপড় খুব সংবেদনশীল হয় বা ইস্ত্রি বেশি গরম হয়ে যায়, তবে সেই কাপড়ের উপরে একটি পাতলা পরিষ্কার ভেজা সুতির কাপড় বা রুমাল রেখে তারপর ইস্ত্রি করুন।
পোশাক সংরক্ষণ: ইস্ত্রি করা শেষ হলে জামাটি কিছুটা ঠান্ডা হওয়ার জন্য ঝুলিয়ে রাখুন। গরম অবস্থায় ভাঁজ করলে কুঁচকে যেতে পারে।
সঠিক নিয়মে ইস্ত্রি করলে আপনার পছন্দের পোশাক থাকবে দীর্ঘস্থায়ী এবং পরিপাটি।
জামা বা কাপড় ইস্ত্রি করার সঠিক নিয়ম জানা থাকলে আপনার পোশাক পরিপাটি থাকবে এবং কাপড় পুড়ে যাওয়ার বা নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি কমবে। নিচে ধাপে ধাপে ইস্ত্রি করার নিয়ম দেওয়া হলো:
১. প্রাথমিক প্রস্তুতি
ইস্ত্রি করার স্থান: একটি শক্ত, মসৃণ এবং তাপ নিরোধক স্থানে (যেমন: আয়রন বোর্ড বা ফ্লোরে মোটা তোয়ালে বা কাপড় বিছিয়ে) কাপড় রাখুন।
কাপড়ের ধরন নির্বাচন: ইস্ত্রি করার আগে দেখুন কাপড়টি কীসের তৈরি (সুতি, সিল্ক, সিনথেটিক, উল ইত্যাদি)।
তাপমাত্রা নির্ধারণ: ইস্ত্রির গায়ে সাধারণত কাপড়ের ধরন অনুযায়ী তাপমাত্রার সেটিং দেওয়া থাকে। কাপড়ের ধরন অনুযায়ী সঠিক তাপমাত্রা সেট করুন।
কম তাপমাত্রা (Low/Cool): সিল্ক, সিনথেটিক (পলিয়েস্টার, নাইলন), অ্যাক্রিলিক।
মাঝারি তাপমাত্রা (Medium/Warm): উল, রেয়ন।
উচ্চ তাপমাত্রা (High/Hot): সুতি (কটন), লিনেন।
বাষ্প (Steam) ব্যবহার: সুতির মতো মোটা বা বেশি কুঁচকানো কাপড়ের জন্য ইস্ত্রির বাষ্প (Steam) অপশন ব্যবহার করুন বা সামান্য পানি ছিটিয়ে নিন।
২. ইস্ত্রি করার সঠিক পদ্ধতি (শার্ট বা জামার ক্ষেত্রে)
জামা ইস্ত্রি করার সময় সাধারণত ছোট এবং মোটা অংশগুলি দিয়ে শুরু করে বড় অংশে যেতে হয়।
ধাপ ১: কলার (Collar)
জামা উল্টো করে ধরুন। কলারের নিচের দিক থেকে ইস্ত্রি করা শুরু করুন। তারপর কলারের বাইরের দিকটি ইস্ত্রি করুন। মনে রাখবেন, সব সময় লম্বালম্বিভাবে ইস্ত্রি টানুন, গোল করে নয়।
ধাপ ২: হাতার কাফ (Cuff)
প্রথমে কাফের ভেতরের দিক এবং তারপর বাইরের দিক ইস্ত্রি করুন। কাফের মাঝখানের ভাঁজ যেন স্পষ্ট থাকে।
ধাপ ৩: হাতা (Sleeve)
হাতা সমান করে বিছিয়ে দিন। শার্টের হাতার মাঝ বরাবর লম্বাভাবে ইস্ত্রি করুন। ভাঁজ যেন সমান হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। অনেকে হাতায় দুটি ভাঁজ তৈরির জন্য কাফের কাছ থেকে কাঁধ পর্যন্ত ইস্ত্রি করেন।
ধাপ ৪: সামনের অংশ (Front Panel)
শার্টের সামনের অংশ বা প্লেট (যেখানে বোতাম বা বোতামের ঘর থাকে) সমান করে টেবিলের উপর রাখুন। প্রথমে বোতামের দিকটা সাবধানে ইস্ত্রি করুন। বোতামের ওপর সরাসরি ইস্ত্রি টানবেন না, এতে বোতাম গলে যেতে পারে বা ভেঙে যেতে পারে। তারপর বাকি অংশ ইস্ত্রি করুন।
ধাপ ৫: পেছনের অংশ (Back)
শার্টের পেছনের অংশটি সমান করে বিছিয়ে দিন। কাঁধের অংশ থেকে শুরু করে নিচের দিকে লম্বাভাবে ইস্ত্রি করুন।
৩. বিশেষ টিপস
উল্টো দিক থেকে ইস্ত্রি: সিল্ক, প্রিন্টের কাপড় (ব্লক, হ্যান্ডপেইন্ট) বা গাঢ় রঙের কাপড় সব সময় উল্টো দিক থেকে ইস্ত্রি করুন। এতে কাপড়ের রং বা নকশা নষ্ট হবে না এবং কাপড় ঝলসে যাবে না।
ভেজা কাপড় দিয়ে ইস্ত্রি: যদি কাপড় খুব সংবেদনশীল হয় বা ইস্ত্রি বেশি গরম হয়ে যায়, তবে সেই কাপড়ের উপরে একটি পাতলা পরিষ্কার ভেজা সুতির কাপড় বা রুমাল রেখে তারপর ইস্ত্রি করুন।
পোশাক সংরক্ষণ: ইস্ত্রি করা শেষ হলে জামাটি কিছুটা ঠান্ডা হওয়ার জন্য ঝুলিয়ে রাখুন। গরম অবস্থায় ভাঁজ করলে কুঁচকে যেতে পারে।
সঠিক নিয়মে ইস্ত্রি করলে আপনার পছন্দের পোশাক থাকবে দীর্ঘস্থায়ী এবং পরিপাটি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন