স্বামী স্ত্রীর মিষ্টি ঝগড়া
স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া মানেই যে সবসময় তিক্ততা বা অশান্তি, তা নয়। অনেক সময় সামান্য বিষয় নিয়ে হওয়া খুনসুটি বা ঝগড়া তাদের ভালোবাসার গভীরতা বাড়িয়ে দেয়। এমন একটি মিষ্টি ঝগড়ার গল্প নিচে দেওয়া হলো:
আলু সেদ্ধ বনাম ডিম ভাজা
নিলয় আর তনিমা দু'জনেই চাকরি করে। সকালটা তাই তাদের একটু তাড়াহুড়ো করেই কাটে। কিন্তু কাজের ফাঁকে সামান্য খুনসুটি তাদের নিত্যদিনের রুটিন।
আজ সকালে সেই ঝগড়ার বিষয় ছিল – টিফিনে কী নেওয়া হবে?
নিলয় তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে ড্রয়িং রুমে এসে দেখে তনিমা রান্নাঘর থেকে মুখ ভার করে আসছে।
নিলয়: "আরে বাহ! আজ আমার বউ তো মুখার্জি বাড়ির নতুন বউয়ের মতো সেজেছে। কিন্তু মুখে কেন মেঘ?"
তনিমা (ভ্রু কুঁচকে): "আর ন্যাকামি করতে হবে না। তোমার টিফিনের জন্য কাল রাতে বলেছিলাম—আলু সেদ্ধ আর রুটি করে দেব, স্বাস্থ্যকর। আর তুমি কিনা সকালে উঠে বায়না ধরলে ডিম ভাজা চাই! রোজ রোজ এই তেল-ঝাল খেলে শরীরের কী হবে?"
নিলয়: "আহা! কী বলছো! এক টুকরো ডিম ভাজায় কি পাহাড় ধসে যাবে? আলু সেদ্ধর দিকে তাকালে আমার অফিসের সব খিদে মরে যায়। ওটা তো রোগীদের খাবার! আর আমি তো দিব্যি সুস্থ মানুষ।"
তনিমা (কোমরে হাত দিয়ে): "আমিও তো সুস্থ আছি, কিন্তু রোজ রোজ তোমার এই বায়না শুনতে শুনতে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। তোমার টিফিন আমি নিজেই গোছাবো, আজ আলু সেদ্ধই খাবে!"
নিলয় তনিমার কাছে এসে তার হাত ধরে টেনে নিজের কাছে আনলো।
নিলয়: "বাবা রে বাবা! রাগ করলে তোমাকে ঠিক যেন রূপকথার সেই রাগী রাক্ষসীর মতো লাগে, যে মিষ্টি খেতে ভালোবাসে। আচ্ছা শোনো, একটা রফা করি। আজ আলু সেদ্ধই দাও, কিন্তু এর বিনিময়ে সন্ধ্যায় আমার জন্য তোমার হাতের স্পেশাল আলুর চিপস বানাতে হবে। তবেই আমি সব কষ্ট মেনে নেব।"
তনিমা প্রথমে চোখ পাকালো, তারপর হেসে ফেললো।
তনিমা: "শয়তান একটা! তুমি সবসময় এমন করো কেন? একটা অজুহাত খুঁজে বের করে আমার থেকে কিছু আদায় করবে।"
নিলয় (আলতো করে তনিমার কপালে চুমু দিয়ে): "ঝগড়া না করলে কি আর তোমার এই হাসিটা দেখতে পেতাম? আর এই সামান্য ঝগড়াগুলোই তো প্রমাণ করে, আমরা এখনও একে অপরের ছোট ছোট ইচ্ছার খেয়াল রাখি।"
তনিমা মাথা দুলিয়ে হেসে রান্নাঘরের দিকে চলে গেল, টিফিনের বাটিতে আলু সেদ্ধর সাথে ছোট করে একটি ডিম ভাজাও দিয়ে দিলো। নিলয় মুচকি হেসে টিফিন বক্সটা ব্যাগে রাখল।
আসলে, তাদের এই ঝগড়াগুলো ছিল ভালোবাসারই এক ভিন্ন রূপ, যা রাগ শেষ হওয়ার সাথে সাথেই মিষ্টি হয়ে যেত। এই টুকরো টুকরো খুনসুটিগুলোই তাদের দাম্পত্য জীবনকে আরও মজাদার ও মধুর করে তোলে।
স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া মানেই যে সবসময় তিক্ততা বা অশান্তি, তা নয়। অনেক সময় সামান্য বিষয় নিয়ে হওয়া খুনসুটি বা ঝগড়া তাদের ভালোবাসার গভীরতা বাড়িয়ে দেয়। এমন একটি মিষ্টি ঝগড়ার গল্প নিচে দেওয়া হলো:
আলু সেদ্ধ বনাম ডিম ভাজা
নিলয় আর তনিমা দু'জনেই চাকরি করে। সকালটা তাই তাদের একটু তাড়াহুড়ো করেই কাটে। কিন্তু কাজের ফাঁকে সামান্য খুনসুটি তাদের নিত্যদিনের রুটিন।
আজ সকালে সেই ঝগড়ার বিষয় ছিল – টিফিনে কী নেওয়া হবে?
নিলয় তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে ড্রয়িং রুমে এসে দেখে তনিমা রান্নাঘর থেকে মুখ ভার করে আসছে।
নিলয়: "আরে বাহ! আজ আমার বউ তো মুখার্জি বাড়ির নতুন বউয়ের মতো সেজেছে। কিন্তু মুখে কেন মেঘ?"
তনিমা (ভ্রু কুঁচকে): "আর ন্যাকামি করতে হবে না। তোমার টিফিনের জন্য কাল রাতে বলেছিলাম—আলু সেদ্ধ আর রুটি করে দেব, স্বাস্থ্যকর। আর তুমি কিনা সকালে উঠে বায়না ধরলে ডিম ভাজা চাই! রোজ রোজ এই তেল-ঝাল খেলে শরীরের কী হবে?"
নিলয়: "আহা! কী বলছো! এক টুকরো ডিম ভাজায় কি পাহাড় ধসে যাবে? আলু সেদ্ধর দিকে তাকালে আমার অফিসের সব খিদে মরে যায়। ওটা তো রোগীদের খাবার! আর আমি তো দিব্যি সুস্থ মানুষ।"
তনিমা (কোমরে হাত দিয়ে): "আমিও তো সুস্থ আছি, কিন্তু রোজ রোজ তোমার এই বায়না শুনতে শুনতে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। তোমার টিফিন আমি নিজেই গোছাবো, আজ আলু সেদ্ধই খাবে!"
নিলয় তনিমার কাছে এসে তার হাত ধরে টেনে নিজের কাছে আনলো।
নিলয়: "বাবা রে বাবা! রাগ করলে তোমাকে ঠিক যেন রূপকথার সেই রাগী রাক্ষসীর মতো লাগে, যে মিষ্টি খেতে ভালোবাসে। আচ্ছা শোনো, একটা রফা করি। আজ আলু সেদ্ধই দাও, কিন্তু এর বিনিময়ে সন্ধ্যায় আমার জন্য তোমার হাতের স্পেশাল আলুর চিপস বানাতে হবে। তবেই আমি সব কষ্ট মেনে নেব।"
তনিমা প্রথমে চোখ পাকালো, তারপর হেসে ফেললো।
তনিমা: "শয়তান একটা! তুমি সবসময় এমন করো কেন? একটা অজুহাত খুঁজে বের করে আমার থেকে কিছু আদায় করবে।"
নিলয় (আলতো করে তনিমার কপালে চুমু দিয়ে): "ঝগড়া না করলে কি আর তোমার এই হাসিটা দেখতে পেতাম? আর এই সামান্য ঝগড়াগুলোই তো প্রমাণ করে, আমরা এখনও একে অপরের ছোট ছোট ইচ্ছার খেয়াল রাখি।"
তনিমা মাথা দুলিয়ে হেসে রান্নাঘরের দিকে চলে গেল, টিফিনের বাটিতে আলু সেদ্ধর সাথে ছোট করে একটি ডিম ভাজাও দিয়ে দিলো। নিলয় মুচকি হেসে টিফিন বক্সটা ব্যাগে রাখল।
আসলে, তাদের এই ঝগড়াগুলো ছিল ভালোবাসারই এক ভিন্ন রূপ, যা রাগ শেষ হওয়ার সাথে সাথেই মিষ্টি হয়ে যেত। এই টুকরো টুকরো খুনসুটিগুলোই তাদের দাম্পত্য জীবনকে আরও মজাদার ও মধুর করে তোলে।
স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া মানেই যে সবসময় তিক্ততা বা অশান্তি, তা নয়। অনেক সময় সামান্য বিষয় নিয়ে হওয়া খুনসুটি বা ঝগড়া তাদের ভালোবাসার গভীরতা বাড়িয়ে দেয়। এমন একটি মিষ্টি ঝগড়ার গল্প নিচে দেওয়া হলো:
আলু সেদ্ধ বনাম ডিম ভাজা
নিলয় আর তনিমা দু'জনেই চাকরি করে। সকালটা তাই তাদের একটু তাড়াহুড়ো করেই কাটে। কিন্তু কাজের ফাঁকে সামান্য খুনসুটি তাদের নিত্যদিনের রুটিন।
আজ সকালে সেই ঝগড়ার বিষয় ছিল – টিফিনে কী নেওয়া হবে?
নিলয় তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে ড্রয়িং রুমে এসে দেখে তনিমা রান্নাঘর থেকে মুখ ভার করে আসছে।
নিলয়: "আরে বাহ! আজ আমার বউ তো মুখার্জি বাড়ির নতুন বউয়ের মতো সেজেছে। কিন্তু মুখে কেন মেঘ?"
তনিমা (ভ্রু কুঁচকে): "আর ন্যাকামি করতে হবে না। তোমার টিফিনের জন্য কাল রাতে বলেছিলাম—আলু সেদ্ধ আর রুটি করে দেব, স্বাস্থ্যকর। আর তুমি কিনা সকালে উঠে বায়না ধরলে ডিম ভাজা চাই! রোজ রোজ এই তেল-ঝাল খেলে শরীরের কী হবে?"
নিলয়: "আহা! কী বলছো! এক টুকরো ডিম ভাজায় কি পাহাড় ধসে যাবে? আলু সেদ্ধর দিকে তাকালে আমার অফিসের সব খিদে মরে যায়। ওটা তো রোগীদের খাবার! আর আমি তো দিব্যি সুস্থ মানুষ।"
তনিমা (কোমরে হাত দিয়ে): "আমিও তো সুস্থ আছি, কিন্তু রোজ রোজ তোমার এই বায়না শুনতে শুনতে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। তোমার টিফিন আমি নিজেই গোছাবো, আজ আলু সেদ্ধই খাবে!"
নিলয় তনিমার কাছে এসে তার হাত ধরে টেনে নিজের কাছে আনলো।
নিলয়: "বাবা রে বাবা! রাগ করলে তোমাকে ঠিক যেন রূপকথার সেই রাগী রাক্ষসীর মতো লাগে, যে মিষ্টি খেতে ভালোবাসে। আচ্ছা শোনো, একটা রফা করি। আজ আলু সেদ্ধই দাও, কিন্তু এর বিনিময়ে সন্ধ্যায় আমার জন্য তোমার হাতের স্পেশাল আলুর চিপস বানাতে হবে। তবেই আমি সব কষ্ট মেনে নেব।"
তনিমা প্রথমে চোখ পাকালো, তারপর হেসে ফেললো।
তনিমা: "শয়তান একটা! তুমি সবসময় এমন করো কেন? একটা অজুহাত খুঁজে বের করে আমার থেকে কিছু আদায় করবে।"
নিলয় (আলতো করে তনিমার কপালে চুমু দিয়ে): "ঝগড়া না করলে কি আর তোমার এই হাসিটা দেখতে পেতাম? আর এই সামান্য ঝগড়াগুলোই তো প্রমাণ করে, আমরা এখনও একে অপরের ছোট ছোট ইচ্ছার খেয়াল রাখি।"
তনিমা মাথা দুলিয়ে হেসে রান্নাঘরের দিকে চলে গেল, টিফিনের বাটিতে আলু সেদ্ধর সাথে ছোট করে একটি ডিম ভাজাও দিয়ে দিলো। নিলয় মুচকি হেসে টিফিন বক্সটা ব্যাগে রাখল।
আসলে, তাদের এই ঝগড়াগুলো ছিল ভালোবাসারই এক ভিন্ন রূপ, যা রাগ শেষ হওয়ার সাথে সাথেই মিষ্টি হয়ে যেত। এই টুকরো টুকরো খুনসুটিগুলোই তাদের দাম্পত্য জীবনকে আরও মজাদার ও মধুর করে তোলে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন