স্বামী স্ত্রীর জন্য দোয়া
স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য জীবনে শান্তি, ভালোবাসা ও বরকত লাভের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামিক দোয়া নিচে দেওয়া হলো। এই দোয়াগুলো কোরআন ও হাদীস থেকে নেওয়া, যা আল্লাহর কাছে সম্পর্ক মজবুত করার জন্য প্রার্থনা হিসেবে পেশ করা যায়।
১. কোরআনের শ্রেষ্ঠ দোয়া (নয়নপ্রীতির জন্য):
এই দোয়াটি পরিবারে শান্তি, ভালোবাসা এবং চক্ষু শীতলকারী নেককার সন্তান-সন্ততির জন্য করা হয়, যা স্বামী-স্ত্রী উভয়ের জন্যই প্রযোজ্য।
উচ্চারণ: রাব্বানা হাব লানা মিন আযওয়াজিনা ওয়া যুররিয়্যাতিনা ক্বুররাতা আ’য়ুনিওঁ ওয়াজ’আলনা লিলমুত্তাক্বীনা ইমামা।
অর্থ: “হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদের জন্য এমন স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান করুন, যারা হবে আমাদের চোখ জুড়ানো (নয়নপ্রীতি), আর আপনি আমাদেরকে মুত্তাকীদের (পরহেজগারদের) নেতা বানান।”
(সূরা ফুরকান, আয়াত ৭৪)
২. নতুন বিবাহিত দম্পতির জন্য দোয়া:
বিবাহের পর স্বামী তার স্ত্রীর জন্য এই দোয়াটি করতে পারেন।
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খায়রাহা ওয়া খায়রা মা জাবালতাহা আলাইহি, ওয়া আ’উযু বিকা মিন শাররিহা ওয়া শাররি মা জাবালতাহা আলাইহি।
অর্থ: “হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে এর (স্ত্রীর) কল্যাণ এবং তার স্বভাবজাত কল্যাণের প্রার্থনা করছি। আর তার অনিষ্ট এবং তার স্বভাবজাত অনিষ্ট থেকে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।”
(সুনানে আবু দাউদ)
৩. ঘর-সংসারে বরকত ও সুখের জন্য সাধারণ দোয়া:
স্বামী-স্ত্রী একে অপরের জন্য এই দোয়াগুলো আল্লাহর কাছে চাইতে পারেন:
শান্তির জন্য: “হে আল্লাহ! আমাদের দাম্পত্য জীবনে ভালোবাসা ও শান্তি বর্ষণ করো এবং আমাদের মধ্যে সব ভুল বোঝাবুঝি দূর করে দাও।”
বন্ধন মজবুত করার জন্য: “হে আল্লাহ! আমাদের সম্পর্ককে দুনিয়া ও আখিরাতে শক্তিশালী করো। আমাদের একে অপরের প্রতি সহনশীল হওয়ার তৌফিক দাও।”
ধৈর্য ও উত্তম আচরণের জন্য: “হে আল্লাহ! আমাদের উভয়কে একে অপরের প্রতি উত্তম আচরণ করার এবং সবর (ধৈর্য) করার শক্তি দাও।”
৪. অনিষ্ট থেকে বাঁচার জন্য:
বিচ্ছেদ সৃষ্টিকারী শয়তানের প্রভাব থেকে বাঁচার জন্য স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই উচিত বেশি বেশি 'আউযু বিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজীম' (বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই) পড়া এবং সবসময় আল্লাহর স্মরণ করা। কারণ, শয়তানের অন্যতম প্রধান কাজ হলো স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটানো (সহীহ মুসলিমের বর্ণনা অনুযায়ী)।
পরামর্শ: দোয়া শুধুমাত্র মুখে পড়াই যথেষ্ট নয়, এর সাথে নিজেদের আচার-আচরণে ইসলামি মূল্যবোধ মেনে চলা এবং একে অপরের প্রতি সম্মান ও দয়া বজায় রাখা একান্ত জরুরি।
স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য জীবনে শান্তি, ভালোবাসা ও বরকত লাভের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামিক দোয়া নিচে দেওয়া হলো। এই দোয়াগুলো কোরআন ও হাদীস থেকে নেওয়া, যা আল্লাহর কাছে সম্পর্ক মজবুত করার জন্য প্রার্থনা হিসেবে পেশ করা যায়।
১. কোরআনের শ্রেষ্ঠ দোয়া (নয়নপ্রীতির জন্য):
এই দোয়াটি পরিবারে শান্তি, ভালোবাসা এবং চক্ষু শীতলকারী নেককার সন্তান-সন্ততির জন্য করা হয়, যা স্বামী-স্ত্রী উভয়ের জন্যই প্রযোজ্য।
উচ্চারণ: রাব্বানা হাব লানা মিন আযওয়াজিনা ওয়া যুররিয়্যাতিনা ক্বুররাতা আ’য়ুনিওঁ ওয়াজ’আলনা লিলমুত্তাক্বীনা ইমামা।
অর্থ: “হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদের জন্য এমন স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান করুন, যারা হবে আমাদের চোখ জুড়ানো (নয়নপ্রীতি), আর আপনি আমাদেরকে মুত্তাকীদের (পরহেজগারদের) নেতা বানান।”
(সূরা ফুরকান, আয়াত ৭৪)
২. নতুন বিবাহিত দম্পতির জন্য দোয়া:
বিবাহের পর স্বামী তার স্ত্রীর জন্য এই দোয়াটি করতে পারেন।
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খায়রাহা ওয়া খায়রা মা জাবালতাহা আলাইহি, ওয়া আ’উযু বিকা মিন শাররিহা ওয়া শাররি মা জাবালতাহা আলাইহি।
অর্থ: “হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে এর (স্ত্রীর) কল্যাণ এবং তার স্বভাবজাত কল্যাণের প্রার্থনা করছি। আর তার অনিষ্ট এবং তার স্বভাবজাত অনিষ্ট থেকে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।”
(সুনানে আবু দাউদ)
৩. ঘর-সংসারে বরকত ও সুখের জন্য সাধারণ দোয়া:
স্বামী-স্ত্রী একে অপরের জন্য এই দোয়াগুলো আল্লাহর কাছে চাইতে পারেন:
শান্তির জন্য: “হে আল্লাহ! আমাদের দাম্পত্য জীবনে ভালোবাসা ও শান্তি বর্ষণ করো এবং আমাদের মধ্যে সব ভুল বোঝাবুঝি দূর করে দাও।”
বন্ধন মজবুত করার জন্য: “হে আল্লাহ! আমাদের সম্পর্ককে দুনিয়া ও আখিরাতে শক্তিশালী করো। আমাদের একে অপরের প্রতি সহনশীল হওয়ার তৌফিক দাও।”
ধৈর্য ও উত্তম আচরণের জন্য: “হে আল্লাহ! আমাদের উভয়কে একে অপরের প্রতি উত্তম আচরণ করার এবং সবর (ধৈর্য) করার শক্তি দাও।”
৪. অনিষ্ট থেকে বাঁচার জন্য:
বিচ্ছেদ সৃষ্টিকারী শয়তানের প্রভাব থেকে বাঁচার জন্য স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই উচিত বেশি বেশি 'আউযু বিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজীম' (বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই) পড়া এবং সবসময় আল্লাহর স্মরণ করা। কারণ, শয়তানের অন্যতম প্রধান কাজ হলো স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটানো (সহীহ মুসলিমের বর্ণনা অনুযায়ী)।
পরামর্শ: দোয়া শুধুমাত্র মুখে পড়াই যথেষ্ট নয়, এর সাথে নিজেদের আচার-আচরণে ইসলামি মূল্যবোধ মেনে চলা এবং একে অপরের প্রতি সম্মান ও দয়া বজায় রাখা একান্ত জরুরি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন