স্বামী স্ত্রীর ছোট গল্প
অবশ্যই, আপনার জন্য স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের একটি ছোট মিষ্টি গল্প নিচে দেওয়া হলো।
🏡 এক কাপ চা ও চিরদিনের বোঝাপড়া
সন্ধ্যা নেমেছে সবে। বাইরে ঝিরঝিরে বৃষ্টি। অফিস থেকে ফিরে আকাশ সোফায় গা এলিয়ে দিয়ে ক্লান্ত চোখে একবার এদিক-ওদিক তাকালো। ঘরের ভেতর নীরবতা, কেবল রান্নাঘর থেকে মৃদু খুটখাট শব্দ আসছে।
সেদিন সকালে তপতী খুব রেগে ছিল আকাশের ওপর। কারণটা সামান্য—রাতে ভুলে সে ফ্রিজে রাখা তপতীর পছন্দের আইসক্রিমটা একাই শেষ করে দিয়েছিল। তপতী মুখ ফুলিয়ে বলেছিল, "তোমার কি শুধু নিজের কথাই মনে থাকে? আমার পছন্দের জিনিসটা একটাও রাখলে না!"
আকাশ হাসি মুখে তপতীকে জড়িয়ে ধরেছিল, কিন্তু তপতী নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে মুখ ঘুরিয়ে ছিল। রাগটা তার এখনও পুরোপুরি যায়নি।
আকাশ সোফায় চোখ বুজে ভাবছিল, "আজ রাতে নির্ঘাত ঠান্ডা যুদ্ধ চলবে। হয়তো খাবার টেবিলেও কথা হবে না।"
ঠিক তখনই, পায়েসের বাটির মতো একটা ছোট কাঁচের বাটি তার সামনে এলো। বাটির ভেতর উপচে পড়া ধোঁয়া ওঠা আদা-চা।
তপতী হালকা স্বরে বলল, "ফ্রেশ হয়ে নাও। এই নাও তোমার চা। বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে এসেছ তো, তাই।"
আকাশ অবাক হয়ে চোখ খুলল। তপতীর চোখে সেই সকালের রাগ নেই, আছে এক ঝলক নরম আলো।
আকাশ চায়ে চুমুক দিতে দিতে বলল, "বাহ্! খুব সুন্দর হয়েছে। কিন্তু তোমার রাগটা..."
তপতী নরম হেসে সোফার হাতলে বসে বলল, "রাগ? সেটা তো সকালের ফ্রিজের ভেতর জমে থাকা আইসক্রিমের মতোই শেষ। বৃষ্টিতে ভেজা মানুষটাকে গরম চা না দিলে কি চলে?"
আকাশ আলতো করে তপতীর হাত ধরে বলল, "সত্যিই, তুমি আমার জীবনে এক কাপ গরম চায়ের মতোই। সামান্য ঝড়ের পরেও মুহূর্তেই সব ক্লান্তি দূর করে দাও।"
তপতী বলল, "আর তুমি? তুমি হলে আমার সেই আইসক্রিম, যেটা না থাকলে মন খারাপ হয়, কিন্তু তুমি থাকলে সেই মন খারাপের কথা ভুলে যাই।"
দুজনেই হেসে উঠল। বাইরের বৃষ্টি তখন আরও জোরে নামল, কিন্তু তাদের ছোট সংসারে নেমে এলো এক মিষ্টি শান্তি। সামান্য রাগ-অভিমান হয়তো থাকবে, কিন্তু ভালোবাসা ও বোঝাপড়ার উষ্ণতা সেই রাগ-অভিমানকে কখনোই দীর্ঘস্থায়ী হতে দেয় না।
আপনার যদি অন্য ধরনের (যেমন: আবেগপ্রবণ বা মজার) স্বামী-স্ত্রীর গল্প শুনতে ইচ্ছা করে, তবে বলতে পারেন।
অবশ্যই, আপনার জন্য স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের একটি ছোট মিষ্টি গল্প নিচে দেওয়া হলো।
🏡 এক কাপ চা ও চিরদিনের বোঝাপড়া
সন্ধ্যা নেমেছে সবে। বাইরে ঝিরঝিরে বৃষ্টি। অফিস থেকে ফিরে আকাশ সোফায় গা এলিয়ে দিয়ে ক্লান্ত চোখে একবার এদিক-ওদিক তাকালো। ঘরের ভেতর নীরবতা, কেবল রান্নাঘর থেকে মৃদু খুটখাট শব্দ আসছে।
সেদিন সকালে তপতী খুব রেগে ছিল আকাশের ওপর। কারণটা সামান্য—রাতে ভুলে সে ফ্রিজে রাখা তপতীর পছন্দের আইসক্রিমটা একাই শেষ করে দিয়েছিল। তপতী মুখ ফুলিয়ে বলেছিল, "তোমার কি শুধু নিজের কথাই মনে থাকে? আমার পছন্দের জিনিসটা একটাও রাখলে না!"
আকাশ হাসি মুখে তপতীকে জড়িয়ে ধরেছিল, কিন্তু তপতী নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে মুখ ঘুরিয়ে ছিল। রাগটা তার এখনও পুরোপুরি যায়নি।
আকাশ সোফায় চোখ বুজে ভাবছিল, "আজ রাতে নির্ঘাত ঠান্ডা যুদ্ধ চলবে। হয়তো খাবার টেবিলেও কথা হবে না।"
ঠিক তখনই, পায়েসের বাটির মতো একটা ছোট কাঁচের বাটি তার সামনে এলো। বাটির ভেতর উপচে পড়া ধোঁয়া ওঠা আদা-চা।
তপতী হালকা স্বরে বলল, "ফ্রেশ হয়ে নাও। এই নাও তোমার চা। বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে এসেছ তো, তাই।"
আকাশ অবাক হয়ে চোখ খুলল। তপতীর চোখে সেই সকালের রাগ নেই, আছে এক ঝলক নরম আলো।
আকাশ চায়ে চুমুক দিতে দিতে বলল, "বাহ্! খুব সুন্দর হয়েছে। কিন্তু তোমার রাগটা..."
তপতী নরম হেসে সোফার হাতলে বসে বলল, "রাগ? সেটা তো সকালের ফ্রিজের ভেতর জমে থাকা আইসক্রিমের মতোই শেষ। বৃষ্টিতে ভেজা মানুষটাকে গরম চা না দিলে কি চলে?"
আকাশ আলতো করে তপতীর হাত ধরে বলল, "সত্যিই, তুমি আমার জীবনে এক কাপ গরম চায়ের মতোই। সামান্য ঝড়ের পরেও মুহূর্তেই সব ক্লান্তি দূর করে দাও।"
তপতী বলল, "আর তুমি? তুমি হলে আমার সেই আইসক্রিম, যেটা না থাকলে মন খারাপ হয়, কিন্তু তুমি থাকলে সেই মন খারাপের কথা ভুলে যাই।"
দুজনেই হেসে উঠল। বাইরের বৃষ্টি তখন আরও জোরে নামল, কিন্তু তাদের ছোট সংসারে নেমে এলো এক মিষ্টি শান্তি। সামান্য রাগ-অভিমান হয়তো থাকবে, কিন্তু ভালোবাসা ও বোঝাপড়ার উষ্ণতা সেই রাগ-অভিমানকে কখনোই দীর্ঘস্থায়ী হতে দেয় না।
আপনার যদি অন্য ধরনের (যেমন: আবেগপ্রবণ বা মজার) স্বামী-স্ত্রীর গল্প শুনতে ইচ্ছা করে, তবে বলতে পারেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন