স্বামী স্ত্রীর গল্প শুনতে চাই
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক নিয়ে বিভিন্ন ধরনের গল্প রয়েছে—কিছু মিষ্টি ভালোবাসার, কিছু দুষ্টু-মিষ্টি খুনসুটির, আবার কিছু কষ্টের। আপনার জন্য তেমনই একটি মিষ্টি দাম্পত্য প্রেমের গল্প তুলে ধরছি:
ডাবের পানি আর এক পকেট ভালোবাসা
আকাশ এবং তপতী—দু'জনের ভালোবাসার সম্পর্কটি ঠিক আটপৌরে, কিন্তু গভীর ভালোবাসায় ভরা। আকাশ সারাদিন অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকায় তপতীর সঙ্গে খুব একটা কথা বলার সুযোগ হয় না। তবে অফিস শেষে বাড়ি ফেরার সময় আকাশ রোজ একবার তপতীকে ফোন করবেই।
একদিন মেঘে ঢাকা সন্ধ্যাবেলায় আকাশ তপতীকে ফোন করলো। তপতী আগে থেকেই অভিমান করে মুখ ভার করে ছিল।
তপতী: (কল রিসিভ করেই অভিমানের সুরে) আমার খোঁজ-খবর তো আর আপনার রাখতে হবে না। সারাদিন একা বাড়িতে কী করি, না করি, তাতো আপনি বুঝবেন না! থাকুন আপনি আপনার অফিস নিয়ে।
তপতীর এই কথাগুলো আকাশকে প্রায় প্রতিদিনই শুনতে হয়। ক্লান্ত হলেও হাসি চেপে আকাশ উত্তর দিলো:
আকাশ: রাগ করিস না বউ। এই তো এখনি বাড়ি ফিরবো।
তপতী: আচ্ছা। আমার জন্য কী নিয়ে আসবেন?
আকাশ: সারা শরীরের ঘাম আর এক পকেট ভালোবাসা।
খুনসুটির আলাপ শেষে তপতী বাড়ির রান্না করার জন্য টুকটাক জিনিসের নাম বললো। আকাশ খিচুড়ি আর অমলেট খুব পছন্দ করে, তপতীর মনে পড়তেই সে রান্নাঘরে গিয়ে সব গুছিয়ে রান্না সেরে টেবিলে সাজিয়ে রাখলো। তারপর নিজে একটু পরিপাটি হয়ে বারান্দায় বসে অপেক্ষা করতে লাগলো আকাশের বাড়ি ফেরার।
কিছুক্ষণ পর বাড়ির সামনে রিকশা থেকে আকাশকে নামতে দেখেই তপতী দৌড়ে নিচে চলে গেলো। আকাশের হাতের বাজারের ব্যাগটা নিয়ে দু'জনে একসাথে রুমে আসলো। বৃষ্টিতে আকাশের শার্টের কিছুটা ভিজে গেছে। শাড়ির আঁচল দিয়ে কপালের জল মুছতে মুছতে তপতী বলে:
তপতী: ছাতা তো আপনার সাথেই থাকে, তাও ভিজে আসেন কেন?
উত্তরে আকাশ বলে:
আকাশ: না ভিজলে তো তোমার আঁচলের গন্ধ এখন শরীরে লাগাতে পারতাম না।
তপতী লজ্জা পেয়ে সরে যেতে চাইলে আকাশ তার হাত চেপে ধরে বললো:
আকাশ: এখন একটু আমার পাশে বসো। সারাদিন তো বাড়ি থাকি না, এই নিয়ে তোমার অভিযোগের শেষ নেই। এখন যাচ্ছো কোথায়?
তপতী: আপনার শার্ট ভিজে গেছে, চেঞ্জ করুন, তারপর অন্য কথা। যাই দেখি বাজারের ব্যাগে কী নিয়ে আসলেন। গুছিয়ে রেখে আসি।
আকাশ 'না' বলা সত্ত্বেও তপতী যেতে চাইলে, আকাশ পকেট থেকে একটি টিপের পাতা বের করে তপতীর কপালে পরিয়ে দিয়ে বললো:
আকাশ: গত দুইদিন তোমার কপালে টিপ দেখিনি। শেষ হয়ে গেলেও আমাকে বলো না কেন?
তপতী তখন মুচকি হেসে বললো:
তপতী: আমার টিপ ছাড়া কপাল আপনার নজরে ঠিকই পড়বে, আর সময় করে নিয়ে আসবেন—তাও জানি। সেজন্যই বলি না। এবার ফ্রেশ হয়ে নিন, আমি টেবিলে খাবার রেডি করি।
স্নান করে টেবিলে গিয়ে আকাশ দেখলো, আজ তার পছন্দের খিচুড়ি আর অমলেট রান্না করে রাখা। আকাশ তখন চেয়ারে বসে থাকা তপতীকে হাত ধরে উঠিয়ে বুকে জড়িয়ে ধরলো আর ফিসফিস করে বললো:
আকাশ: এত ভালোবাসিস কেন বউ আমাকে?
তপতী: আপনার চেয়ে বেশি তো বাসতে পারি না।
আকাশ: নারে তপতী, খুব কপাল করে তোর মতো বউ পেয়েছি। সারাজীবন এভাবে বুকে আগলে রাখবো।
তপতী লাজুক হেসে বললো, "হয়েছে, হয়েছে। চলুন খেয়ে নিই এখন।"
তাদের সম্পর্কটা ছিল এমনই—ছোট্ট অভিমান, সামান্য খুনসুটি, আর গভীর ভালোবাসার বাঁধনে বাঁধা।
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক নিয়ে বিভিন্ন ধরনের গল্প রয়েছে—কিছু মিষ্টি ভালোবাসার, কিছু দুষ্টু-মিষ্টি খুনসুটির, আবার কিছু কষ্টের। আপনার জন্য তেমনই একটি মিষ্টি দাম্পত্য প্রেমের গল্প তুলে ধরছি:
ডাবের পানি আর এক পকেট ভালোবাসা
আকাশ এবং তপতী—দু'জনের ভালোবাসার সম্পর্কটি ঠিক আটপৌরে, কিন্তু গভীর ভালোবাসায় ভরা। আকাশ সারাদিন অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকায় তপতীর সঙ্গে খুব একটা কথা বলার সুযোগ হয় না। তবে অফিস শেষে বাড়ি ফেরার সময় আকাশ রোজ একবার তপতীকে ফোন করবেই।
একদিন মেঘে ঢাকা সন্ধ্যাবেলায় আকাশ তপতীকে ফোন করলো। তপতী আগে থেকেই অভিমান করে মুখ ভার করে ছিল।
তপতী: (কল রিসিভ করেই অভিমানের সুরে) আমার খোঁজ-খবর তো আর আপনার রাখতে হবে না। সারাদিন একা বাড়িতে কী করি, না করি, তাতো আপনি বুঝবেন না! থাকুন আপনি আপনার অফিস নিয়ে।
তপতীর এই কথাগুলো আকাশকে প্রায় প্রতিদিনই শুনতে হয়। ক্লান্ত হলেও হাসি চেপে আকাশ উত্তর দিলো:
আকাশ: রাগ করিস না বউ। এই তো এখনি বাড়ি ফিরবো।
তপতী: আচ্ছা। আমার জন্য কী নিয়ে আসবেন?
আকাশ: সারা শরীরের ঘাম আর এক পকেট ভালোবাসা।
খুনসুটির আলাপ শেষে তপতী বাড়ির রান্না করার জন্য টুকটাক জিনিসের নাম বললো। আকাশ খিচুড়ি আর অমলেট খুব পছন্দ করে, তপতীর মনে পড়তেই সে রান্নাঘরে গিয়ে সব গুছিয়ে রান্না সেরে টেবিলে সাজিয়ে রাখলো। তারপর নিজে একটু পরিপাটি হয়ে বারান্দায় বসে অপেক্ষা করতে লাগলো আকাশের বাড়ি ফেরার।
কিছুক্ষণ পর বাড়ির সামনে রিকশা থেকে আকাশকে নামতে দেখেই তপতী দৌড়ে নিচে চলে গেলো। আকাশের হাতের বাজারের ব্যাগটা নিয়ে দু'জনে একসাথে রুমে আসলো। বৃষ্টিতে আকাশের শার্টের কিছুটা ভিজে গেছে। শাড়ির আঁচল দিয়ে কপালের জল মুছতে মুছতে তপতী বলে:
তপতী: ছাতা তো আপনার সাথেই থাকে, তাও ভিজে আসেন কেন?
উত্তরে আকাশ বলে:
আকাশ: না ভিজলে তো তোমার আঁচলের গন্ধ এখন শরীরে লাগাতে পারতাম না।
তপতী লজ্জা পেয়ে সরে যেতে চাইলে আকাশ তার হাত চেপে ধরে বললো:
আকাশ: এখন একটু আমার পাশে বসো। সারাদিন তো বাড়ি থাকি না, এই নিয়ে তোমার অভিযোগের শেষ নেই। এখন যাচ্ছো কোথায়?
তপতী: আপনার শার্ট ভিজে গেছে, চেঞ্জ করুন, তারপর অন্য কথা। যাই দেখি বাজারের ব্যাগে কী নিয়ে আসলেন। গুছিয়ে রেখে আসি।
আকাশ 'না' বলা সত্ত্বেও তপতী যেতে চাইলে, আকাশ পকেট থেকে একটি টিপের পাতা বের করে তপতীর কপালে পরিয়ে দিয়ে বললো:
আকাশ: গত দুইদিন তোমার কপালে টিপ দেখিনি। শেষ হয়ে গেলেও আমাকে বলো না কেন?
তপতী তখন মুচকি হেসে বললো:
তপতী: আমার টিপ ছাড়া কপাল আপনার নজরে ঠিকই পড়বে, আর সময় করে নিয়ে আসবেন—তাও জানি। সেজন্যই বলি না। এবার ফ্রেশ হয়ে নিন, আমি টেবিলে খাবার রেডি করি।
স্নান করে টেবিলে গিয়ে আকাশ দেখলো, আজ তার পছন্দের খিচুড়ি আর অমলেট রান্না করে রাখা। আকাশ তখন চেয়ারে বসে থাকা তপতীকে হাত ধরে উঠিয়ে বুকে জড়িয়ে ধরলো আর ফিসফিস করে বললো:
আকাশ: এত ভালোবাসিস কেন বউ আমাকে?
তপতী: আপনার চেয়ে বেশি তো বাসতে পারি না।
আকাশ: নারে তপতী, খুব কপাল করে তোর মতো বউ পেয়েছি। সারাজীবন এভাবে বুকে আগলে রাখবো।
তপতী লাজুক হেসে বললো, "হয়েছে, হয়েছে। চলুন খেয়ে নিই এখন।"
তাদের সম্পর্কটা ছিল এমনই—ছোট্ট অভিমান, সামান্য খুনসুটি, আর গভীর ভালোবাসার বাঁধনে বাঁধা।
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক নিয়ে বিভিন্ন ধরনের গল্প রয়েছে—কিছু মিষ্টি ভালোবাসার, কিছু দুষ্টু-মিষ্টি খুনসুটির, আবার কিছু কষ্টের। আপনার জন্য তেমনই একটি মিষ্টি দাম্পত্য প্রেমের গল্প তুলে ধরছি:
ডাবের পানি আর এক পকেট ভালোবাসা
আকাশ এবং তপতী—দু'জনের ভালোবাসার সম্পর্কটি ঠিক আটপৌরে, কিন্তু গভীর ভালোবাসায় ভরা। আকাশ সারাদিন অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকায় তপতীর সঙ্গে খুব একটা কথা বলার সুযোগ হয় না। তবে অফিস শেষে বাড়ি ফেরার সময় আকাশ রোজ একবার তপতীকে ফোন করবেই।
একদিন মেঘে ঢাকা সন্ধ্যাবেলায় আকাশ তপতীকে ফোন করলো। তপতী আগে থেকেই অভিমান করে মুখ ভার করে ছিল।
তপতী: (কল রিসিভ করেই অভিমানের সুরে) আমার খোঁজ-খবর তো আর আপনার রাখতে হবে না। সারাদিন একা বাড়িতে কী করি, না করি, তাতো আপনি বুঝবেন না! থাকুন আপনি আপনার অফিস নিয়ে।
তপতীর এই কথাগুলো আকাশকে প্রায় প্রতিদিনই শুনতে হয়। ক্লান্ত হলেও হাসি চেপে আকাশ উত্তর দিলো:
আকাশ: রাগ করিস না বউ। এই তো এখনি বাড়ি ফিরবো।
তপতী: আচ্ছা। আমার জন্য কী নিয়ে আসবেন?
আকাশ: সারা শরীরের ঘাম আর এক পকেট ভালোবাসা।
খুনসুটির আলাপ শেষে তপতী বাড়ির রান্না করার জন্য টুকটাক জিনিসের নাম বললো। আকাশ খিচুড়ি আর অমলেট খুব পছন্দ করে, তপতীর মনে পড়তেই সে রান্নাঘরে গিয়ে সব গুছিয়ে রান্না সেরে টেবিলে সাজিয়ে রাখলো। তারপর নিজে একটু পরিপাটি হয়ে বারান্দায় বসে অপেক্ষা করতে লাগলো আকাশের বাড়ি ফেরার।
কিছুক্ষণ পর বাড়ির সামনে রিকশা থেকে আকাশকে নামতে দেখেই তপতী দৌড়ে নিচে চলে গেলো। আকাশের হাতের বাজারের ব্যাগটা নিয়ে দু'জনে একসাথে রুমে আসলো। বৃষ্টিতে আকাশের শার্টের কিছুটা ভিজে গেছে। শাড়ির আঁচল দিয়ে কপালের জল মুছতে মুছতে তপতী বলে:
তপতী: ছাতা তো আপনার সাথেই থাকে, তাও ভিজে আসেন কেন?
উত্তরে আকাশ বলে:
আকাশ: না ভিজলে তো তোমার আঁচলের গন্ধ এখন শরীরে লাগাতে পারতাম না।
তপতী লজ্জা পেয়ে সরে যেতে চাইলে আকাশ তার হাত চেপে ধরে বললো:
আকাশ: এখন একটু আমার পাশে বসো। সারাদিন তো বাড়ি থাকি না, এই নিয়ে তোমার অভিযোগের শেষ নেই। এখন যাচ্ছো কোথায়?
তপতী: আপনার শার্ট ভিজে গেছে, চেঞ্জ করুন, তারপর অন্য কথা। যাই দেখি বাজারের ব্যাগে কী নিয়ে আসলেন। গুছিয়ে রেখে আসি।
আকাশ 'না' বলা সত্ত্বেও তপতী যেতে চাইলে, আকাশ পকেট থেকে একটি টিপের পাতা বের করে তপতীর কপালে পরিয়ে দিয়ে বললো:
আকাশ: গত দুইদিন তোমার কপালে টিপ দেখিনি। শেষ হয়ে গেলেও আমাকে বলো না কেন?
তপতী তখন মুচকি হেসে বললো:
তপতী: আমার টিপ ছাড়া কপাল আপনার নজরে ঠিকই পড়বে, আর সময় করে নিয়ে আসবেন—তাও জানি। সেজন্যই বলি না। এবার ফ্রেশ হয়ে নিন, আমি টেবিলে খাবার রেডি করি।
স্নান করে টেবিলে গিয়ে আকাশ দেখলো, আজ তার পছন্দের খিচুড়ি আর অমলেট রান্না করে রাখা। আকাশ তখন চেয়ারে বসে থাকা তপতীকে হাত ধরে উঠিয়ে বুকে জড়িয়ে ধরলো আর ফিসফিস করে বললো:
আকাশ: এত ভালোবাসিস কেন বউ আমাকে?
তপতী: আপনার চেয়ে বেশি তো বাসতে পারি না।
আকাশ: নারে তপতী, খুব কপাল করে তোর মতো বউ পেয়েছি। সারাজীবন এভাবে বুকে আগলে রাখবো।
তপতী লাজুক হেসে বললো, "হয়েছে, হয়েছে। চলুন খেয়ে নিই এখন।"
তাদের সম্পর্কটা ছিল এমনই—ছোট্ট অভিমান, সামান্য খুনসুটি, আর গভীর ভালোবাসার বাঁধনে বাঁধা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন