জামাই ষষ্ঠীর নিয়ম

 জামাই ষষ্ঠীর নিয়ম


জামাই ষষ্ঠী একটি জনপ্রিয় বাঙালি হিন্দু আচার, যা সাধারণত জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে পালিত হয়। এই দিনে জামাতাকে (মেয়ের স্বামীকে) শ্বশুরবাড়িতে আদর-আপ্যায়ন করা হয় এবং তার দীর্ঘায়ু ও মঙ্গল কামনা করা হয়।

জামাই ষষ্ঠীর মূল নিয়ম ও আচারগুলি নিচে দেওয়া হলো:


👨‍👩‍👧 জামাই ষষ্ঠীর মূল নিয়ম ও আচার

১. তিথি ও প্রস্তুতি

  • তিথি: জামাই ষষ্ঠী জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে অনুষ্ঠিত হয়।

  • ষষ্ঠীর ব্রত: এই দিনে শাশুড়ি বা বাড়ির অন্য নারীরা (যিনি ব্রত পালন করেন) 'মা ষষ্ঠী' বা 'অরণ্য ষষ্ঠী'-র ব্রত পালন করেন। এই ব্রত পালনের উদ্দেশ্য হলো জামাতার মঙ্গল এবং সন্তানের মঙ্গল কামনা করা।

  • সাজসজ্জা: এই দিনে জামাতা তার স্ত্রীসহ শ্বশুরবাড়িতে যান। জামাতাকে সাধারণত নতুন পোশাক দেওয়া হয়।

২. পূজার আয়োজন

ষষ্ঠী পূজা মূলত শাশুড়িরাই করেন।

  • পূজার উপকরণ:

    • একটি থালায় নতুন পৈতে বা হলুদ সুতো (যেটি মা ষষ্ঠীর প্রতীক)।

    • দই, দুধ, কলা, আম, লিচু ইত্যাদি মরসুমি ফল।

    • সাধারণত ১৩টি ফল বা মিষ্টি দেওয়ার নিয়ম থাকে।

    • পান, সুপারি, ধানের শীষ ও দূর্বা ঘাস

    • আমের পল্লব (আম ডাল) এবং কুলো।

  • পূজা পদ্ধতি: শাশুড়ি একটি আসনে বা ঘটে মা ষষ্ঠীর প্রতীকী পূজা করেন। তিনি ধান, দূর্বা, এবং পৈতে/সুতো দিয়ে পূজার কাজটি সম্পন্ন করেন। এই সুতোটিকে 'ষষ্ঠীর সুতো' বলা হয়।

৩. জামাতাকে আশীর্বাদ ও ষষ্ঠীর সুতো বাঁধা

এটিই জামাই ষষ্ঠীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আচার।

  • আশীর্বাদ: পূজা শেষে শাশুড়ি জামাতাকে সামনে বসান। তিনি তার কপালে দই ও হলুদ বা চন্দনের ফোঁটা দেন।

  • ষষ্ঠীর সুতো বাঁধা: শাশুড়ি হাতে হলুদ দিয়ে মাখানো একটি ষষ্ঠীর সুতো জামাতার ডান হাতের কব্জিতে বেঁধে দেন। এটি জামাতার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে বাঁধা হয়। কিছু অঞ্চলে সুতোতে পাঁচটি বা সাতটি গিঁট দেওয়ার নিয়ম আছে।

  • উপহার: আশীর্বাদের পর জামাতাকে নতুন পোশাক, ফল এবং অন্যান্য উপহার দেওয়া হয়।

৪. ভোজ ও আপ্যায়ন

জামাই ষষ্ঠী মানেই জমকালো ভোজ।

  • পাঁচ পদ: ঐতিহ্যগতভাবে জামাইকে অন্তত পাঁচটি পদ দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়, তবে আধুনিক সময়ে এর সংখ্যা অনেক বেশি হয়।

  • মেন্যু: মেনুতে ইলিশ বা চিংড়ি মাছ, মাংস, নানা ধরনের ভাজা, ডাল, চাটনি এবং মরসুমি ফল ও মিষ্টি (বিশেষত আম) থাকা আবশ্যিক।

  • আদর-আপ্যায়ন: দিনের মূল উদ্দেশ্য হলো জামাই এবং মেয়েকে একসঙ্গে কাছে পাওয়া ও তাদের যত্ন করে খাওয়ানো।

৫. জামাইয়ের কর্তব্য

  • জামাইকে শ্বশুরবাড়ি থেকে ফেরার সময় শাশুড়ি এবং অন্যান্য গুরুজনদের জন্য অবশ্যই কিছু উপহার বা মিষ্টি নিয়ে যেতে হয়।

জামাই ষষ্ঠী মূলত একটি পারিবারিক উৎসব, যা আত্মীয়তার বন্ধনকে দৃঢ় করার এবং জামাতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর একটি সুন্দর উপলক্ষ।






জামাই ষষ্ঠী একটি জনপ্রিয় বাঙালি হিন্দু আচার, যা সাধারণত জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে পালিত হয়। এই দিনে জামাতাকে (মেয়ের স্বামীকে) শ্বশুরবাড়িতে আদর-আপ্যায়ন করা হয় এবং তার দীর্ঘায়ু ও মঙ্গল কামনা করা হয়।

জামাই ষষ্ঠীর মূল নিয়ম ও আচারগুলি নিচে দেওয়া হলো:


👨‍👩‍👧 জামাই ষষ্ঠীর মূল নিয়ম ও আচার

১. তিথি ও প্রস্তুতি

  • তিথি: জামাই ষষ্ঠী জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে অনুষ্ঠিত হয়।

  • ষষ্ঠীর ব্রত: এই দিনে শাশুড়ি বা বাড়ির অন্য নারীরা (যিনি ব্রত পালন করেন) 'মা ষষ্ঠী' বা 'অরণ্য ষষ্ঠী'-র ব্রত পালন করেন। এই ব্রত পালনের উদ্দেশ্য হলো জামাতার মঙ্গল এবং সন্তানের মঙ্গল কামনা করা।

  • সাজসজ্জা: এই দিনে জামাতা তার স্ত্রীসহ শ্বশুরবাড়িতে যান। জামাতাকে সাধারণত নতুন পোশাক দেওয়া হয়।

২. পূজার আয়োজন

ষষ্ঠী পূজা মূলত শাশুড়িরাই করেন।

  • পূজার উপকরণ:

    • একটি থালায় নতুন পৈতে বা হলুদ সুতো (যেটি মা ষষ্ঠীর প্রতীক)।

    • দই, দুধ, কলা, আম, লিচু ইত্যাদি মরসুমি ফল।

    • সাধারণত ১৩টি ফল বা মিষ্টি দেওয়ার নিয়ম থাকে।

    • পান, সুপারি, ধানের শীষ ও দূর্বা ঘাস

    • আমের পল্লব (আম ডাল) এবং কুলো।

  • পূজা পদ্ধতি: শাশুড়ি একটি আসনে বা ঘটে মা ষষ্ঠীর প্রতীকী পূজা করেন। তিনি ধান, দূর্বা, এবং পৈতে/সুতো দিয়ে পূজার কাজটি সম্পন্ন করেন। এই সুতোটিকে 'ষষ্ঠীর সুতো' বলা হয়।

৩. জামাতাকে আশীর্বাদ ও ষষ্ঠীর সুতো বাঁধা

এটিই জামাই ষষ্ঠীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আচার।

  • আশীর্বাদ: পূজা শেষে শাশুড়ি জামাতাকে সামনে বসান। তিনি তার কপালে দই ও হলুদ বা চন্দনের ফোঁটা দেন।

  • ষষ্ঠীর সুতো বাঁধা: শাশুড়ি হাতে হলুদ দিয়ে মাখানো একটি ষষ্ঠীর সুতো জামাতার ডান হাতের কব্জিতে বেঁধে দেন। এটি জামাতার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে বাঁধা হয়। কিছু অঞ্চলে সুতোতে পাঁচটি বা সাতটি গিঁট দেওয়ার নিয়ম আছে।

  • উপহার: আশীর্বাদের পর জামাতাকে নতুন পোশাক, ফল এবং অন্যান্য উপহার দেওয়া হয়।

৪. ভোজ ও আপ্যায়ন

জামাই ষষ্ঠী মানেই জমকালো ভোজ।

  • পাঁচ পদ: ঐতিহ্যগতভাবে জামাইকে অন্তত পাঁচটি পদ দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়, তবে আধুনিক সময়ে এর সংখ্যা অনেক বেশি হয়।

  • মেন্যু: মেনুতে ইলিশ বা চিংড়ি মাছ, মাংস, নানা ধরনের ভাজা, ডাল, চাটনি এবং মরসুমি ফল ও মিষ্টি (বিশেষত আম) থাকা আবশ্যিক।

  • আদর-আপ্যায়ন: দিনের মূল উদ্দেশ্য হলো জামাই এবং মেয়েকে একসঙ্গে কাছে পাওয়া ও তাদের যত্ন করে খাওয়ানো।

৫. জামাইয়ের কর্তব্য

  • জামাইকে শ্বশুরবাড়ি থেকে ফেরার সময় শাশুড়ি এবং অন্যান্য গুরুজনদের জন্য অবশ্যই কিছু উপহার বা মিষ্টি নিয়ে যেতে হয়।

জামাই ষষ্ঠী মূলত একটি পারিবারিক উৎসব, যা আত্মীয়তার বন্ধনকে দৃঢ় করার এবং জামাতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর একটি সুন্দর উপলক্ষ।




জামাই ষষ্ঠী একটি জনপ্রিয় বাঙালি হিন্দু আচার, যা সাধারণত জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে পালিত হয়। এই দিনে জামাতাকে (মেয়ের স্বামীকে) শ্বশুরবাড়িতে আদর-আপ্যায়ন করা হয় এবং তার দীর্ঘায়ু ও মঙ্গল কামনা করা হয়।

জামাই ষষ্ঠীর মূল নিয়ম ও আচারগুলি নিচে দেওয়া হলো:


👨‍👩‍👧 জামাই ষষ্ঠীর মূল নিয়ম ও আচার

১. তিথি ও প্রস্তুতি

  • তিথি: জামাই ষষ্ঠী জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে অনুষ্ঠিত হয়।

  • ষষ্ঠীর ব্রত: এই দিনে শাশুড়ি বা বাড়ির অন্য নারীরা (যিনি ব্রত পালন করেন) 'মা ষষ্ঠী' বা 'অরণ্য ষষ্ঠী'-র ব্রত পালন করেন। এই ব্রত পালনের উদ্দেশ্য হলো জামাতার মঙ্গল এবং সন্তানের মঙ্গল কামনা করা।

  • সাজসজ্জা: এই দিনে জামাতা তার স্ত্রীসহ শ্বশুরবাড়িতে যান। জামাতাকে সাধারণত নতুন পোশাক দেওয়া হয়।

২. পূজার আয়োজন

ষষ্ঠী পূজা মূলত শাশুড়িরাই করেন।

  • পূজার উপকরণ:

    • একটি থালায় নতুন পৈতে বা হলুদ সুতো (যেটি মা ষষ্ঠীর প্রতীক)।

    • দই, দুধ, কলা, আম, লিচু ইত্যাদি মরসুমি ফল।

    • সাধারণত ১৩টি ফল বা মিষ্টি দেওয়ার নিয়ম থাকে।

    • পান, সুপারি, ধানের শীষ ও দূর্বা ঘাস

    • আমের পল্লব (আম ডাল) এবং কুলো।

  • পূজা পদ্ধতি: শাশুড়ি একটি আসনে বা ঘটে মা ষষ্ঠীর প্রতীকী পূজা করেন। তিনি ধান, দূর্বা, এবং পৈতে/সুতো দিয়ে পূজার কাজটি সম্পন্ন করেন। এই সুতোটিকে 'ষষ্ঠীর সুতো' বলা হয়।

৩. জামাতাকে আশীর্বাদ ও ষষ্ঠীর সুতো বাঁধা

এটিই জামাই ষষ্ঠীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আচার।

  • আশীর্বাদ: পূজা শেষে শাশুড়ি জামাতাকে সামনে বসান। তিনি তার কপালে দই ও হলুদ বা চন্দনের ফোঁটা দেন।

  • ষষ্ঠীর সুতো বাঁধা: শাশুড়ি হাতে হলুদ দিয়ে মাখানো একটি ষষ্ঠীর সুতো জামাতার ডান হাতের কব্জিতে বেঁধে দেন। এটি জামাতার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে বাঁধা হয়। কিছু অঞ্চলে সুতোতে পাঁচটি বা সাতটি গিঁট দেওয়ার নিয়ম আছে।

  • উপহার: আশীর্বাদের পর জামাতাকে নতুন পোশাক, ফল এবং অন্যান্য উপহার দেওয়া হয়।

৪. ভোজ ও আপ্যায়ন

জামাই ষষ্ঠী মানেই জমকালো ভোজ।

  • পাঁচ পদ: ঐতিহ্যগতভাবে জামাইকে অন্তত পাঁচটি পদ দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়, তবে আধুনিক সময়ে এর সংখ্যা অনেক বেশি হয়।

  • মেন্যু: মেনুতে ইলিশ বা চিংড়ি মাছ, মাংস, নানা ধরনের ভাজা, ডাল, চাটনি এবং মরসুমি ফল ও মিষ্টি (বিশেষত আম) থাকা আবশ্যিক।

  • আদর-আপ্যায়ন: দিনের মূল উদ্দেশ্য হলো জামাই এবং মেয়েকে একসঙ্গে কাছে পাওয়া ও তাদের যত্ন করে খাওয়ানো।

৫. জামাইয়ের কর্তব্য

  • জামাইকে শ্বশুরবাড়ি থেকে ফেরার সময় শাশুড়ি এবং অন্যান্য গুরুজনদের জন্য অবশ্যই কিছু উপহার বা মিষ্টি নিয়ে যেতে হয়।

জামাই ষষ্ঠী মূলত একটি পারিবারিক উৎসব, যা আত্মীয়তার বন্ধনকে দৃঢ় করার এবং জামাতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর একটি সুন্দর উপলক্ষ।




জামাই ষষ্ঠী একটি জনপ্রিয় বাঙালি হিন্দু আচার, যা সাধারণত জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে পালিত হয়। এই দিনে জামাতাকে (মেয়ের স্বামীকে) শ্বশুরবাড়িতে আদর-আপ্যায়ন করা হয় এবং তার দীর্ঘায়ু ও মঙ্গল কামনা করা হয়।

জামাই ষষ্ঠীর মূল নিয়ম ও আচারগুলি নিচে দেওয়া হলো:


👨‍👩‍👧 জামাই ষষ্ঠীর মূল নিয়ম ও আচার

১. তিথি ও প্রস্তুতি

  • তিথি: জামাই ষষ্ঠী জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে অনুষ্ঠিত হয়।

  • ষষ্ঠীর ব্রত: এই দিনে শাশুড়ি বা বাড়ির অন্য নারীরা (যিনি ব্রত পালন করেন) 'মা ষষ্ঠী' বা 'অরণ্য ষষ্ঠী'-র ব্রত পালন করেন। এই ব্রত পালনের উদ্দেশ্য হলো জামাতার মঙ্গল এবং সন্তানের মঙ্গল কামনা করা।

  • সাজসজ্জা: এই দিনে জামাতা তার স্ত্রীসহ শ্বশুরবাড়িতে যান। জামাতাকে সাধারণত নতুন পোশাক দেওয়া হয়।

২. পূজার আয়োজন

ষষ্ঠী পূজা মূলত শাশুড়িরাই করেন।

  • পূজার উপকরণ:

    • একটি থালায় নতুন পৈতে বা হলুদ সুতো (যেটি মা ষষ্ঠীর প্রতীক)।

    • দই, দুধ, কলা, আম, লিচু ইত্যাদি মরসুমি ফল।

    • সাধারণত ১৩টি ফল বা মিষ্টি দেওয়ার নিয়ম থাকে।

    • পান, সুপারি, ধানের শীষ ও দূর্বা ঘাস

    • আমের পল্লব (আম ডাল) এবং কুলো।

  • পূজা পদ্ধতি: শাশুড়ি একটি আসনে বা ঘটে মা ষষ্ঠীর প্রতীকী পূজা করেন। তিনি ধান, দূর্বা, এবং পৈতে/সুতো দিয়ে পূজার কাজটি সম্পন্ন করেন। এই সুতোটিকে 'ষষ্ঠীর সুতো' বলা হয়।

৩. জামাতাকে আশীর্বাদ ও ষষ্ঠীর সুতো বাঁধা

এটিই জামাই ষষ্ঠীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আচার।

  • আশীর্বাদ: পূজা শেষে শাশুড়ি জামাতাকে সামনে বসান। তিনি তার কপালে দই ও হলুদ বা চন্দনের ফোঁটা দেন।

  • ষষ্ঠীর সুতো বাঁধা: শাশুড়ি হাতে হলুদ দিয়ে মাখানো একটি ষষ্ঠীর সুতো জামাতার ডান হাতের কব্জিতে বেঁধে দেন। এটি জামাতার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে বাঁধা হয়। কিছু অঞ্চলে সুতোতে পাঁচটি বা সাতটি গিঁট দেওয়ার নিয়ম আছে।

  • উপহার: আশীর্বাদের পর জামাতাকে নতুন পোশাক, ফল এবং অন্যান্য উপহার দেওয়া হয়।

৪. ভোজ ও আপ্যায়ন

জামাই ষষ্ঠী মানেই জমকালো ভোজ।

  • পাঁচ পদ: ঐতিহ্যগতভাবে জামাইকে অন্তত পাঁচটি পদ দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়, তবে আধুনিক সময়ে এর সংখ্যা অনেক বেশি হয়।

  • মেন্যু: মেনুতে ইলিশ বা চিংড়ি মাছ, মাংস, নানা ধরনের ভাজা, ডাল, চাটনি এবং মরসুমি ফল ও মিষ্টি (বিশেষত আম) থাকা আবশ্যিক।

  • আদর-আপ্যায়ন: দিনের মূল উদ্দেশ্য হলো জামাই এবং মেয়েকে একসঙ্গে কাছে পাওয়া ও তাদের যত্ন করে খাওয়ানো।

৫. জামাইয়ের কর্তব্য

  • জামাইকে শ্বশুরবাড়ি থেকে ফেরার সময় শাশুড়ি এবং অন্যান্য গুরুজনদের জন্য অবশ্যই কিছু উপহার বা মিষ্টি নিয়ে যেতে হয়।

জামাই ষষ্ঠী মূলত একটি পারিবারিক উৎসব, যা আত্মীয়তার বন্ধনকে দৃঢ় করার এবং জামাতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর একটি সুন্দর উপলক্ষ।




জামাই ষষ্ঠী একটি জনপ্রিয় বাঙালি হিন্দু আচার, যা সাধারণত জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে পালিত হয়। এই দিনে জামাতাকে (মেয়ের স্বামীকে) শ্বশুরবাড়িতে আদর-আপ্যায়ন করা হয় এবং তার দীর্ঘায়ু ও মঙ্গল কামনা করা হয়।

জামাই ষষ্ঠীর মূল নিয়ম ও আচারগুলি নিচে দেওয়া হলো:


👨‍👩‍👧 জামাই ষষ্ঠীর মূল নিয়ম ও আচার

১. তিথি ও প্রস্তুতি

  • তিথি: জামাই ষষ্ঠী জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে অনুষ্ঠিত হয়।

  • ষষ্ঠীর ব্রত: এই দিনে শাশুড়ি বা বাড়ির অন্য নারীরা (যিনি ব্রত পালন করেন) 'মা ষষ্ঠী' বা 'অরণ্য ষষ্ঠী'-র ব্রত পালন করেন। এই ব্রত পালনের উদ্দেশ্য হলো জামাতার মঙ্গল এবং সন্তানের মঙ্গল কামনা করা।

  • সাজসজ্জা: এই দিনে জামাতা তার স্ত্রীসহ শ্বশুরবাড়িতে যান। জামাতাকে সাধারণত নতুন পোশাক দেওয়া হয়।

২. পূজার আয়োজন

ষষ্ঠী পূজা মূলত শাশুড়িরাই করেন।

  • পূজার উপকরণ:

    • একটি থালায় নতুন পৈতে বা হলুদ সুতো (যেটি মা ষষ্ঠীর প্রতীক)।

    • দই, দুধ, কলা, আম, লিচু ইত্যাদি মরসুমি ফল।

    • সাধারণত ১৩টি ফল বা মিষ্টি দেওয়ার নিয়ম থাকে।

    • পান, সুপারি, ধানের শীষ ও দূর্বা ঘাস

    • আমের পল্লব (আম ডাল) এবং কুলো।

  • পূজা পদ্ধতি: শাশুড়ি একটি আসনে বা ঘটে মা ষষ্ঠীর প্রতীকী পূজা করেন। তিনি ধান, দূর্বা, এবং পৈতে/সুতো দিয়ে পূজার কাজটি সম্পন্ন করেন। এই সুতোটিকে 'ষষ্ঠীর সুতো' বলা হয়।

৩. জামাতাকে আশীর্বাদ ও ষষ্ঠীর সুতো বাঁধা

এটিই জামাই ষষ্ঠীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আচার।

  • আশীর্বাদ: পূজা শেষে শাশুড়ি জামাতাকে সামনে বসান। তিনি তার কপালে দই ও হলুদ বা চন্দনের ফোঁটা দেন।

  • ষষ্ঠীর সুতো বাঁধা: শাশুড়ি হাতে হলুদ দিয়ে মাখানো একটি ষষ্ঠীর সুতো জামাতার ডান হাতের কব্জিতে বেঁধে দেন। এটি জামাতার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে বাঁধা হয়। কিছু অঞ্চলে সুতোতে পাঁচটি বা সাতটি গিঁট দেওয়ার নিয়ম আছে।

  • উপহার: আশীর্বাদের পর জামাতাকে নতুন পোশাক, ফল এবং অন্যান্য উপহার দেওয়া হয়।

৪. ভোজ ও আপ্যায়ন

জামাই ষষ্ঠী মানেই জমকালো ভোজ।

  • পাঁচ পদ: ঐতিহ্যগতভাবে জামাইকে অন্তত পাঁচটি পদ দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়, তবে আধুনিক সময়ে এর সংখ্যা অনেক বেশি হয়।

  • মেন্যু: মেনুতে ইলিশ বা চিংড়ি মাছ, মাংস, নানা ধরনের ভাজা, ডাল, চাটনি এবং মরসুমি ফল ও মিষ্টি (বিশেষত আম) থাকা আবশ্যিক।

  • আদর-আপ্যায়ন: দিনের মূল উদ্দেশ্য হলো জামাই এবং মেয়েকে একসঙ্গে কাছে পাওয়া ও তাদের যত্ন করে খাওয়ানো।

৫. জামাইয়ের কর্তব্য

  • জামাইকে শ্বশুরবাড়ি থেকে ফেরার সময় শাশুড়ি এবং অন্যান্য গুরুজনদের জন্য অবশ্যই কিছু উপহার বা মিষ্টি নিয়ে যেতে হয়।

জামাই ষষ্ঠী মূলত একটি পারিবারিক উৎসব, যা আত্মীয়তার বন্ধনকে দৃঢ় করার এবং জামাতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর একটি সুন্দর উপলক্ষ।




জামাই ষষ্ঠী একটি জনপ্রিয় বাঙালি হিন্দু আচার, যা সাধারণত জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে পালিত হয়। এই দিনে জামাতাকে (মেয়ের স্বামীকে) শ্বশুরবাড়িতে আদর-আপ্যায়ন করা হয় এবং তার দীর্ঘায়ু ও মঙ্গল কামনা করা হয়।

জামাই ষষ্ঠীর মূল নিয়ম ও আচারগুলি নিচে দেওয়া হলো:


👨‍👩‍👧 জামাই ষষ্ঠীর মূল নিয়ম ও আচার

১. তিথি ও প্রস্তুতি

  • তিথি: জামাই ষষ্ঠী জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে অনুষ্ঠিত হয়।

  • ষষ্ঠীর ব্রত: এই দিনে শাশুড়ি বা বাড়ির অন্য নারীরা (যিনি ব্রত পালন করেন) 'মা ষষ্ঠী' বা 'অরণ্য ষষ্ঠী'-র ব্রত পালন করেন। এই ব্রত পালনের উদ্দেশ্য হলো জামাতার মঙ্গল এবং সন্তানের মঙ্গল কামনা করা।

  • সাজসজ্জা: এই দিনে জামাতা তার স্ত্রীসহ শ্বশুরবাড়িতে যান। জামাতাকে সাধারণত নতুন পোশাক দেওয়া হয়।

২. পূজার আয়োজন

ষষ্ঠী পূজা মূলত শাশুড়িরাই করেন।

  • পূজার উপকরণ:

    • একটি থালায় নতুন পৈতে বা হলুদ সুতো (যেটি মা ষষ্ঠীর প্রতীক)।

    • দই, দুধ, কলা, আম, লিচু ইত্যাদি মরসুমি ফল।

    • সাধারণত ১৩টি ফল বা মিষ্টি দেওয়ার নিয়ম থাকে।

    • পান, সুপারি, ধানের শীষ ও দূর্বা ঘাস

    • আমের পল্লব (আম ডাল) এবং কুলো।

  • পূজা পদ্ধতি: শাশুড়ি একটি আসনে বা ঘটে মা ষষ্ঠীর প্রতীকী পূজা করেন। তিনি ধান, দূর্বা, এবং পৈতে/সুতো দিয়ে পূজার কাজটি সম্পন্ন করেন। এই সুতোটিকে 'ষষ্ঠীর সুতো' বলা হয়।

৩. জামাতাকে আশীর্বাদ ও ষষ্ঠীর সুতো বাঁধা

এটিই জামাই ষষ্ঠীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আচার।

  • আশীর্বাদ: পূজা শেষে শাশুড়ি জামাতাকে সামনে বসান। তিনি তার কপালে দই ও হলুদ বা চন্দনের ফোঁটা দেন।

  • ষষ্ঠীর সুতো বাঁধা: শাশুড়ি হাতে হলুদ দিয়ে মাখানো একটি ষষ্ঠীর সুতো জামাতার ডান হাতের কব্জিতে বেঁধে দেন। এটি জামাতার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে বাঁধা হয়। কিছু অঞ্চলে সুতোতে পাঁচটি বা সাতটি গিঁট দেওয়ার নিয়ম আছে।

  • উপহার: আশীর্বাদের পর জামাতাকে নতুন পোশাক, ফল এবং অন্যান্য উপহার দেওয়া হয়।

৪. ভোজ ও আপ্যায়ন

জামাই ষষ্ঠী মানেই জমকালো ভোজ।

  • পাঁচ পদ: ঐতিহ্যগতভাবে জামাইকে অন্তত পাঁচটি পদ দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়, তবে আধুনিক সময়ে এর সংখ্যা অনেক বেশি হয়।

  • মেন্যু: মেনুতে ইলিশ বা চিংড়ি মাছ, মাংস, নানা ধরনের ভাজা, ডাল, চাটনি এবং মরসুমি ফল ও মিষ্টি (বিশেষত আম) থাকা আবশ্যিক।

  • আদর-আপ্যায়ন: দিনের মূল উদ্দেশ্য হলো জামাই এবং মেয়েকে একসঙ্গে কাছে পাওয়া ও তাদের যত্ন করে খাওয়ানো।

৫. জামাইয়ের কর্তব্য

  • জামাইকে শ্বশুরবাড়ি থেকে ফেরার সময় শাশুড়ি এবং অন্যান্য গুরুজনদের জন্য অবশ্যই কিছু উপহার বা মিষ্টি নিয়ে যেতে হয়।

জামাই ষষ্ঠী মূলত একটি পারিবারিক উৎসব, যা আত্মীয়তার বন্ধনকে দৃঢ় করার এবং জামাতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর একটি সুন্দর উপলক্ষ।




জামাই ষষ্ঠী একটি জনপ্রিয় বাঙালি হিন্দু আচার, যা সাধারণত জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে পালিত হয়। এই দিনে জামাতাকে (মেয়ের স্বামীকে) শ্বশুরবাড়িতে আদর-আপ্যায়ন করা হয় এবং তার দীর্ঘায়ু ও মঙ্গল কামনা করা হয়।

জামাই ষষ্ঠীর মূল নিয়ম ও আচারগুলি নিচে দেওয়া হলো:


👨‍👩‍👧 জামাই ষষ্ঠীর মূল নিয়ম ও আচার

১. তিথি ও প্রস্তুতি

  • তিথি: জামাই ষষ্ঠী জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে অনুষ্ঠিত হয়।

  • ষষ্ঠীর ব্রত: এই দিনে শাশুড়ি বা বাড়ির অন্য নারীরা (যিনি ব্রত পালন করেন) 'মা ষষ্ঠী' বা 'অরণ্য ষষ্ঠী'-র ব্রত পালন করেন। এই ব্রত পালনের উদ্দেশ্য হলো জামাতার মঙ্গল এবং সন্তানের মঙ্গল কামনা করা।

  • সাজসজ্জা: এই দিনে জামাতা তার স্ত্রীসহ শ্বশুরবাড়িতে যান। জামাতাকে সাধারণত নতুন পোশাক দেওয়া হয়।

২. পূজার আয়োজন

ষষ্ঠী পূজা মূলত শাশুড়িরাই করেন।

  • পূজার উপকরণ:

    • একটি থালায় নতুন পৈতে বা হলুদ সুতো (যেটি মা ষষ্ঠীর প্রতীক)।

    • দই, দুধ, কলা, আম, লিচু ইত্যাদি মরসুমি ফল।

    • সাধারণত ১৩টি ফল বা মিষ্টি দেওয়ার নিয়ম থাকে।

    • পান, সুপারি, ধানের শীষ ও দূর্বা ঘাস

    • আমের পল্লব (আম ডাল) এবং কুলো।

  • পূজা পদ্ধতি: শাশুড়ি একটি আসনে বা ঘটে মা ষষ্ঠীর প্রতীকী পূজা করেন। তিনি ধান, দূর্বা, এবং পৈতে/সুতো দিয়ে পূজার কাজটি সম্পন্ন করেন। এই সুতোটিকে 'ষষ্ঠীর সুতো' বলা হয়।

৩. জামাতাকে আশীর্বাদ ও ষষ্ঠীর সুতো বাঁধা

এটিই জামাই ষষ্ঠীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আচার।

  • আশীর্বাদ: পূজা শেষে শাশুড়ি জামাতাকে সামনে বসান। তিনি তার কপালে দই ও হলুদ বা চন্দনের ফোঁটা দেন।

  • ষষ্ঠীর সুতো বাঁধা: শাশুড়ি হাতে হলুদ দিয়ে মাখানো একটি ষষ্ঠীর সুতো জামাতার ডান হাতের কব্জিতে বেঁধে দেন। এটি জামাতার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে বাঁধা হয়। কিছু অঞ্চলে সুতোতে পাঁচটি বা সাতটি গিঁট দেওয়ার নিয়ম আছে।

  • উপহার: আশীর্বাদের পর জামাতাকে নতুন পোশাক, ফল এবং অন্যান্য উপহার দেওয়া হয়।

৪. ভোজ ও আপ্যায়ন

জামাই ষষ্ঠী মানেই জমকালো ভোজ।

  • পাঁচ পদ: ঐতিহ্যগতভাবে জামাইকে অন্তত পাঁচটি পদ দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়, তবে আধুনিক সময়ে এর সংখ্যা অনেক বেশি হয়।

  • মেন্যু: মেনুতে ইলিশ বা চিংড়ি মাছ, মাংস, নানা ধরনের ভাজা, ডাল, চাটনি এবং মরসুমি ফল ও মিষ্টি (বিশেষত আম) থাকা আবশ্যিক।

  • আদর-আপ্যায়ন: দিনের মূল উদ্দেশ্য হলো জামাই এবং মেয়েকে একসঙ্গে কাছে পাওয়া ও তাদের যত্ন করে খাওয়ানো।

৫. জামাইয়ের কর্তব্য

  • জামাইকে শ্বশুরবাড়ি থেকে ফেরার সময় শাশুড়ি এবং অন্যান্য গুরুজনদের জন্য অবশ্যই কিছু উপহার বা মিষ্টি নিয়ে যেতে হয়।

জামাই ষষ্ঠী মূলত একটি পারিবারিক উৎসব, যা আত্মীয়তার বন্ধনকে দৃঢ় করার এবং জামাতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর একটি সুন্দর উপলক্ষ।



জামাই ষষ্ঠী একটি জনপ্রিয় বাঙালি হিন্দু আচার, যা সাধারণত জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে পালিত হয়। এই দিনে জামাতাকে (মেয়ের স্বামীকে) শ্বশুরবাড়িতে আদর-আপ্যায়ন করা হয় এবং তার দীর্ঘায়ু ও মঙ্গল কামনা করা হয়।

জামাই ষষ্ঠীর মূল নিয়ম ও আচারগুলি নিচে দেওয়া হলো:


👨‍👩‍👧 জামাই ষষ্ঠীর মূল নিয়ম ও আচার

১. তিথি ও প্রস্তুতি

  • তিথি: জামাই ষষ্ঠী জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে অনুষ্ঠিত হয়।

  • ষষ্ঠীর ব্রত: এই দিনে শাশুড়ি বা বাড়ির অন্য নারীরা (যিনি ব্রত পালন করেন) 'মা ষষ্ঠী' বা 'অরণ্য ষষ্ঠী'-র ব্রত পালন করেন। এই ব্রত পালনের উদ্দেশ্য হলো জামাতার মঙ্গল এবং সন্তানের মঙ্গল কামনা করা।

  • সাজসজ্জা: এই দিনে জামাতা তার স্ত্রীসহ শ্বশুরবাড়িতে যান। জামাতাকে সাধারণত নতুন পোশাক দেওয়া হয়।

২. পূজার আয়োজন

ষষ্ঠী পূজা মূলত শাশুড়িরাই করেন।

  • পূজার উপকরণ:

    • একটি থালায় নতুন পৈতে বা হলুদ সুতো (যেটি মা ষষ্ঠীর প্রতীক)।

    • দই, দুধ, কলা, আম, লিচু ইত্যাদি মরসুমি ফল।

    • সাধারণত ১৩টি ফল বা মিষ্টি দেওয়ার নিয়ম থাকে।

    • পান, সুপারি, ধানের শীষ ও দূর্বা ঘাস

    • আমের পল্লব (আম ডাল) এবং কুলো।

  • পূজা পদ্ধতি: শাশুড়ি একটি আসনে বা ঘটে মা ষষ্ঠীর প্রতীকী পূজা করেন। তিনি ধান, দূর্বা, এবং পৈতে/সুতো দিয়ে পূজার কাজটি সম্পন্ন করেন। এই সুতোটিকে 'ষষ্ঠীর সুতো' বলা হয়।

৩. জামাতাকে আশীর্বাদ ও ষষ্ঠীর সুতো বাঁধা

এটিই জামাই ষষ্ঠীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আচার।

  • আশীর্বাদ: পূজা শেষে শাশুড়ি জামাতাকে সামনে বসান। তিনি তার কপালে দই ও হলুদ বা চন্দনের ফোঁটা দেন।

  • ষষ্ঠীর সুতো বাঁধা: শাশুড়ি হাতে হলুদ দিয়ে মাখানো একটি ষষ্ঠীর সুতো জামাতার ডান হাতের কব্জিতে বেঁধে দেন। এটি জামাতার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে বাঁধা হয়। কিছু অঞ্চলে সুতোতে পাঁচটি বা সাতটি গিঁট দেওয়ার নিয়ম আছে।

  • উপহার: আশীর্বাদের পর জামাতাকে নতুন পোশাক, ফল এবং অন্যান্য উপহার দেওয়া হয়।

৪. ভোজ ও আপ্যায়ন

জামাই ষষ্ঠী মানেই জমকালো ভোজ।

  • পাঁচ পদ: ঐতিহ্যগতভাবে জামাইকে অন্তত পাঁচটি পদ দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়, তবে আধুনিক সময়ে এর সংখ্যা অনেক বেশি হয়।

  • মেন্যু: মেনুতে ইলিশ বা চিংড়ি মাছ, মাংস, নানা ধরনের ভাজা, ডাল, চাটনি এবং মরসুমি ফল ও মিষ্টি (বিশেষত আম) থাকা আবশ্যিক।

  • আদর-আপ্যায়ন: দিনের মূল উদ্দেশ্য হলো জামাই এবং মেয়েকে একসঙ্গে কাছে পাওয়া ও তাদের যত্ন করে খাওয়ানো।

৫. জামাইয়ের কর্তব্য

  • জামাইকে শ্বশুরবাড়ি থেকে ফেরার সময় শাশুড়ি এবং অন্যান্য গুরুজনদের জন্য অবশ্যই কিছু উপহার বা মিষ্টি নিয়ে যেতে হয়।

জামাই ষষ্ঠী মূলত একটি পারিবারিক উৎসব, যা আত্মীয়তার বন্ধনকে দৃঢ় করার এবং জামাতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর একটি সুন্দর উপলক্ষ।

জামাই ষষ্ঠী একটি জনপ্রিয় বাঙালি হিন্দু আচার, যা সাধারণত জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে পালিত হয়। এই দিনে জামাতাকে (মেয়ের স্বামীকে) শ্বশুরবাড়িতে আদর-আপ্যায়ন করা হয় এবং তার দীর্ঘায়ু ও মঙ্গল কামনা করা হয়।

জামাই ষষ্ঠীর মূল নিয়ম ও আচারগুলি নিচে দেওয়া হলো:


👨‍👩‍👧 জামাই ষষ্ঠীর মূল নিয়ম ও আচার

১. তিথি ও প্রস্তুতি

  • তিথি: জামাই ষষ্ঠী জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে অনুষ্ঠিত হয়।

  • ষষ্ঠীর ব্রত: এই দিনে শাশুড়ি বা বাড়ির অন্য নারীরা (যিনি ব্রত পালন করেন) 'মা ষষ্ঠী' বা 'অরণ্য ষষ্ঠী'-র ব্রত পালন করেন। এই ব্রত পালনের উদ্দেশ্য হলো জামাতার মঙ্গল এবং সন্তানের মঙ্গল কামনা করা।

  • সাজসজ্জা: এই দিনে জামাতা তার স্ত্রীসহ শ্বশুরবাড়িতে যান। জামাতাকে সাধারণত নতুন পোশাক দেওয়া হয়।

২. পূজার আয়োজন

ষষ্ঠী পূজা মূলত শাশুড়িরাই করেন।

  • পূজার উপকরণ:

    • একটি থালায় নতুন পৈতে বা হলুদ সুতো (যেটি মা ষষ্ঠীর প্রতীক)।

    • দই, দুধ, কলা, আম, লিচু ইত্যাদি মরসুমি ফল।

    • সাধারণত ১৩টি ফল বা মিষ্টি দেওয়ার নিয়ম থাকে।

    • পান, সুপারি, ধানের শীষ ও দূর্বা ঘাস

    • আমের পল্লব (আম ডাল) এবং কুলো।

  • পূজা পদ্ধতি: শাশুড়ি একটি আসনে বা ঘটে মা ষষ্ঠীর প্রতীকী পূজা করেন। তিনি ধান, দূর্বা, এবং পৈতে/সুতো দিয়ে পূজার কাজটি সম্পন্ন করেন। এই সুতোটিকে 'ষষ্ঠীর সুতো' বলা হয়।

৩. জামাতাকে আশীর্বাদ ও ষষ্ঠীর সুতো বাঁধা

এটিই জামাই ষষ্ঠীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আচার।

  • আশীর্বাদ: পূজা শেষে শাশুড়ি জামাতাকে সামনে বসান। তিনি তার কপালে দই ও হলুদ বা চন্দনের ফোঁটা দেন।

  • ষষ্ঠীর সুতো বাঁধা: শাশুড়ি হাতে হলুদ দিয়ে মাখানো একটি ষষ্ঠীর সুতো জামাতার ডান হাতের কব্জিতে বেঁধে দেন। এটি জামাতার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে বাঁধা হয়। কিছু অঞ্চলে সুতোতে পাঁচটি বা সাতটি গিঁট দেওয়ার নিয়ম আছে।

  • উপহার: আশীর্বাদের পর জামাতাকে নতুন পোশাক, ফল এবং অন্যান্য উপহার দেওয়া হয়।

৪. ভোজ ও আপ্যায়ন

জামাই ষষ্ঠী মানেই জমকালো ভোজ।

  • পাঁচ পদ: ঐতিহ্যগতভাবে জামাইকে অন্তত পাঁচটি পদ দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়, তবে আধুনিক সময়ে এর সংখ্যা অনেক বেশি হয়।

  • মেন্যু: মেনুতে ইলিশ বা চিংড়ি মাছ, মাংস, নানা ধরনের ভাজা, ডাল, চাটনি এবং মরসুমি ফল ও মিষ্টি (বিশেষত আম) থাকা আবশ্যিক।

  • আদর-আপ্যায়ন: দিনের মূল উদ্দেশ্য হলো জামাই এবং মেয়েকে একসঙ্গে কাছে পাওয়া ও তাদের যত্ন করে খাওয়ানো।

৫. জামাইয়ের কর্তব্য

  • জামাইকে শ্বশুরবাড়ি থেকে ফেরার সময় শাশুড়ি এবং অন্যান্য গুরুজনদের জন্য অবশ্যই কিছু উপহার বা মিষ্টি নিয়ে যেতে হয়।

জামাই ষষ্ঠী মূলত একটি পারিবারিক উৎসব, যা আত্মীয়তার বন্ধনকে দৃঢ় করার এবং জামাতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর একটি সুন্দর উপলক্ষ।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন