রসায়নের জনক কে

 রসায়নের জনক কে


রসায়নের জনক হলেন জাবির ইবনে হাইয়ান (Jabir ibn Hayyan), যিনি 'গেবার' (Geber) নামেও পরিচিত। তিনি একজন মুসলিম আলকেমিবিদ, রসায়নবিদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী, এবং চিকিৎসক ছিলেন।

কেন তিনি রসায়নের জনক?

  • পরীক্ষামূলক পদ্ধতি: তিনিই প্রথম পরীক্ষাগারে বিজ্ঞানসম্মতভাবে রসায়নের চর্চা শুরু করেন এবং আলকেমিকে (Alchemy) একটি বিজ্ঞানসম্মত শাখায় রূপান্তর করেন।

  • নতুন প্রক্রিয়া আবিষ্কার: তিনি পাতন (distillation), স্ফটিকীকরণ (crystallization), পরিস্রাবণ (filtration) এবং বাষ্পীভবন (evaporation) এর মতো গুরুত্বপূর্ণ রাসায়নিক প্রক্রিয়াগুলো উন্নত ও উদ্ভাবন করেন। এই পদ্ধতিগুলো আজও রসায়নের গবেষণাগারে ব্যবহৃত হয়।

  • অ্যাসিড ও অন্যান্য পদার্থ আবিষ্কার: তিনি সালফিউরিক অ্যাসিড (H2SO4), নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO3) এবং হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (HCl) তৈরি করেন। তিনি বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থের শ্রেণিবিন্যাসও করেছিলেন।

জাবিরের এই পরীক্ষামূলক ও পদ্ধতিগত দৃষ্টিভঙ্গিই আধুনিক রসায়নের ভিত্তি স্থাপন করে।


রসায়নের একক কোনো জনক নেই, কারণ এটি বহু শতাব্দী ধরে বিভিন্ন সভ্যতার হাত ধরে বিকশিত হয়েছে। তবে, দুজন ব্যক্তিকে রসায়নের জনক হিসেবে ধরা হয়, তাঁদের আলাদা আলাদা অবদানের জন্য:

  • জাবির ইবনে হাইয়ান (Jabir ibn Hayyan): তিনি হলেন ইসলামী রসায়নের জনক। ৮ম শতাব্দীতে তিনি পরীক্ষামূলক পদ্ধতি এবং সঠিক পরিমাপের মাধ্যমে রসায়নকে আলকেমি থেকে আলাদা করার চেষ্টা করেন। তিনি সালফিউরিক অ্যাসিড, নাইট্রিক অ্যাসিডের মতো কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাসায়নিক তৈরি করেন এবং পাতন, স্ফটিকীকরণ ইত্যাদি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। তাঁর কাজের পদ্ধতি মধ্যযুগীয় রসায়নের ভিত্তি স্থাপন করে।

  • অ্যান্টনি ল্যাভয়সিয়ে (Antoine Lavoisier): তিনি হলেন আধুনিক রসায়নের জনক। ১৭০০-এর দশকে তিনি ভরের সংরক্ষণ সূত্র দেন এবং দহনের সঠিক ব্যাখ্যা দেন, যা রসায়নের চিরায়ত ধারণাগুলোকে ভেঙে দেয়। ল্যাভয়সিয়ের কাজ রসায়নকে একটি পরিমাণগত বিজ্ঞান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে এবং তিনি আধুনিক রাসায়নিক নামকরণের ভিত্তিও স্থাপন করেন।

সুতরাং, জাবির ইবনে হাইয়ানকে ইসলামী রসায়নের জনক এবং অ্যান্টনি ল্যাভয়সিয়েকে আধুনিক রসায়নের জনক বলা হয়।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন