অর্থনীতির জনক কে উত্তর

 অর্থনীতির জনক কে উত্তর


অর্থনীতির জনক হলেন **অ্যাডাম স্মিথ** (Adam Smith)। ### কেন অ্যাডাম স্মিথকে অর্থনীতির জনক বলা হয়? অ্যাডাম স্মিথ ছিলেন একজন স্কটিশ দার্শনিক এবং অর্থনীতিবিদ। ১৭৭৬ সালে তার লেখা বিখ্যাত বই **"দ্য ওয়েলথ অফ নেশনস" (The Wealth of Nations)** প্রকাশিত হয়। এই বইটি অর্থনীতির একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আসে, যা আধুনিক অর্থনীতির ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়। এই বইয়ে তিনি কিছু মৌলিক ধারণা তুলে ধরেন: * **মুক্ত বাজার:** স্মিথ মুক্ত বাজার ব্যবস্থার পক্ষে যুক্তি দেন, যেখানে ব্যক্তিরা তাদের নিজস্ব অর্থনৈতিক স্বার্থে কাজ করবে এবং সরকারের হস্তক্ষেপ ন্যূনতম হবে। * **অদৃশ্য হাত (Invisible Hand):** তিনি এই ধারণার প্রবর্তন করেন যে, যখন প্রতিটি ব্যক্তি নিজের স্বার্থ পূরণের জন্য কাজ করে, তখন একটি অদৃশ্য শক্তি বা "অদৃশ্য হাত" বাজারের চাহিদা ও যোগানকে এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করে যে তা সমাজের সামগ্রিক কল্যাণেও অবদান রাখে। * **শ্রম বিভাজন (Division of Labor):** তিনি দেখান যে একটি কাজকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে দিলে উৎপাদনশীলতা অনেক বেড়ে যায়। স্মিথের এই ধারণাগুলো পরবর্তীতে ক্লাসিক্যাল অর্থনীতির ভিত্তি স্থাপন করে এবং পুঁজিবাদী অর্থনীতির মূল নীতি হিসেবে বিবেচিত হয়। এই কারণেই তাকে আধুনিক অর্থনীতির জনক বলা হয়।

অর্থনীতির জনক হলেন অ্যাডাম স্মিথ (Adam Smith)।


কেন অ্যাডাম স্মিথকে অর্থনীতির জনক বলা হয়?

অ্যাডাম স্মিথ ১৭২৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৭৯০ সালে মারা যান। তিনি স্কটিশ অর্থনীতিবিদ এবং দার্শনিক ছিলেন। তার সবচেয়ে বিখ্যাত গ্রন্থ হলো 'দ্য ওয়েলথ অফ নেশনস' (The Wealth of Nations), যা ১৭৭৬ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।

এই বইটিতে তিনি অর্থনীতির একটি নতুন ও সুসংগঠিত দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন, যা আধুনিক অর্থনীতির ভিত্তি স্থাপন করে। তার গুরুত্বপূর্ণ কিছু ধারণা হলো:

  • মুক্ত বাজার অর্থনীতি: স্মিথ বিশ্বাস করতেন যে কোনো ধরনের সরকারি হস্তক্ষেপ ছাড়া একটি মুক্ত ও প্রতিযোগিতামূলক বাজার ব্যবস্থা সমাজের জন্য সবচেয়ে বেশি কার্যকর। তিনি বলেন যে, যখন ব্যক্তিরা নিজেদের অর্থনৈতিক স্বার্থের জন্য কাজ করে, তখন তারা অজান্তেই সমাজের সামগ্রিক কল্যাণে অবদান রাখে। এই ধারণাটি তিনি 'অদৃশ্য হাত' (invisible hand) উপমার মাধ্যমে ব্যাখ্যা করেন।

  • শ্রম বিভাজন: স্মিথ দেখান যে একটি নির্দিষ্ট কাজকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে দিলে প্রতিটি ধাপের দক্ষতা ও সামগ্রিক উৎপাদনশীলতা অনেক বেড়ে যায়। তিনি একটি পিন কারখানার উদাহরণ দিয়ে এই তত্ত্বটি ব্যাখ্যা করেন।

  • পুঁজিবাদের ভিত্তি: অ্যাডাম স্মিথের এই ধারণাগুলো পরবর্তীতে ক্লাসিক্যাল অর্থনীতির মূল নীতি হিসেবে বিবেচিত হয় এবং আধুনিক পুঁজিবাদী অর্থনীতির ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

এই কারণে, অ্যাডাম স্মিথকে আধুনিক অর্থনীতির জনক হিসেবে ব্যাপকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন