আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে

 আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে

আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক হিসেবে নিকোলো ম্যাকিয়াভেলিকে (Niccolò Machiavelli) বিবেচনা করা হয়।


কেন তাকে এই উপাধি দেওয়া হয়?

ম্যাকিয়াভেলি ছিলেন একজন ইতালীয় কূটনীতিক, দার্শনিক এবং লেখক। তার সবচেয়ে বিখ্যাত বই, "দ্য প্রিন্স" (The Prince), ১৫৩২ সালে প্রকাশিত হয়। এই বইয়ের মাধ্যমে তিনি রাষ্ট্রনীতি এবং ক্ষমতার বাস্তব প্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করেন।

ম্যাকিয়াভেলিকে আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক বলার কারণগুলো হলো:

  • ধর্ম থেকে রাজনীতির পৃথকীকরণ: তার আগে রাজনীতিকে সাধারণত ধর্মীয় বা নৈতিকতার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হতো। ম্যাকিয়াভেলিই প্রথম ব্যক্তি যিনি রাজনীতিকে ধর্ম এবং নৈতিকতা থেকে পৃথক করে একটি স্বাধীন বিজ্ঞান হিসেবে বিশ্লেষণ করেন। তিনি যুক্তি দেন যে, রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য একজন শাসককে বাস্তববাদী হতে হবে, এবং প্রয়োজনে নিষ্ঠুরতা বা ছলনার আশ্রয় নিতে হতে পারে, যদি তা রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য প্রয়োজন হয়।

  • ক্ষমতার বাস্তববাদী বিশ্লেষণ: ম্যাকিয়াভেলি ক্ষমতা কীভাবে অর্জিত হয়, বজায় রাখা হয় এবং ব্যবহার করা হয়, সে সম্পর্কে একটি বাস্তববাদী দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে, মানব চরিত্র মূলত স্বার্থপর এবং রাষ্ট্রকে অবশ্যই এই বাস্তবতা মেনে নিয়ে শাসন করতে হবে। তার এই বিশ্লেষণ রাজনীতিকে একটি নতুন দিকে চালিত করে।

  • সেকুলার রাষ্ট্রচিন্তা: ম্যাকিয়াভেলির কাজ আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তার ভিত্তি স্থাপন করে, যেখানে রাষ্ট্রের ক্ষমতা এবং লক্ষ্য থাকে জনগণের কল্যাণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, কোনো ধর্মীয় বা আধ্যাত্মিক লক্ষ্য নয়।

ম্যাকিয়াভেলির এই বিশ্লেষণ এবং বাস্তববাদী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তাকে আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক বলা হয়।


আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক হিসেবে **নিকোলো ম্যাকিয়াভেলিকে** (Niccolò Machiavelli) বিবেচনা করা হয়। 


---

### কেন তাকে এই উপাধি দেওয়া হয়?


ম্যাকিয়াভেলি ছিলেন একজন ইতালীয় কূটনীতিক, দার্শনিক এবং লেখক। তার সবচেয়ে বিখ্যাত বই, **"দ্য প্রিন্স" (The Prince)**, ১৫৩২ সালে প্রকাশিত হয়। এই বইটির মাধ্যমে তিনি রাষ্ট্র এবং ক্ষমতা সম্পর্কে তৎকালীন প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানান এবং একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেন।


ম্যাকিয়াভেলিকে আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক বলার কারণগুলো হলো:


* **ধর্ম থেকে রাজনীতির বিচ্ছেদ:** ম্যাকিয়াভেলি প্রথম পশ্চিমা চিন্তাবিদদের মধ্যে একজন যিনি ধর্মীয় বা নৈতিকতার দৃষ্টিকোণ থেকে রাজনীতিকে আলাদা করে বিশ্লেষণ করেন। তার মতে, একজন শাসকের সাফল্য নির্ভর করে বাস্তববাদী কৌশল এবং ক্ষমতা ধরে রাখার দক্ষতার ওপর, ধর্মীয় নীতি বা নৈতিকতার ওপর নয়।

* **বাস্তববাদী দৃষ্টিভঙ্গি:** ম্যাকিয়াভেলি তার লেখায় একটি আদর্শ রাষ্ট্র কেমন হওয়া উচিত তার বদলে, একটি রাষ্ট্রকে কীভাবে বাস্তবিকভাবে পরিচালনা করা হয় এবং ক্ষমতা কীভাবে টিকে থাকে, তার ওপর জোর দেন। তিনি দেখান যে ক্ষমতা, শক্তি এবং কৌশল রাজনীতির মূল উপাদান।

* **রাষ্ট্রের স্বায়ত্তশাসন:** তিনি প্রথম রাষ্ট্রকে একটি স্বায়ত্তশাসিত সত্তা হিসেবে তুলে ধরেন, যার নিজস্ব নিয়ম ও উদ্দেশ্য রয়েছে। তার এই ধারণা আধুনিক রাষ্ট্র গঠনের ভিত্তি স্থাপন করে।


ম্যাকিয়াভেলি তার বিতর্কিত এবং বাস্তববাদী চিন্তাভাবনার কারণে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যয়নে একটি নতুন ধারা তৈরি করেন। এই কারণে তাকে আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক বলা হয়।আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক হিসেবে **নিকোলো ম্যাকিয়াভেলিকে** (Niccolò Machiavelli) বিবেচনা করা হয়। 


---

### কেন তাকে এই উপাধি দেওয়া হয়?


ম্যাকিয়াভেলি ছিলেন একজন ইতালীয় কূটনীতিক, দার্শনিক এবং লেখক। তার সবচেয়ে বিখ্যাত বই, **"দ্য প্রিন্স" (The Prince)**, ১৫৩২ সালে প্রকাশিত হয়। এই বইটির মাধ্যমে তিনি রাষ্ট্র এবং ক্ষমতা সম্পর্কে তৎকালীন প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানান এবং একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেন।


ম্যাকিয়াভেলিকে আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক বলার কারণগুলো হলো:


* **ধর্ম থেকে রাজনীতির বিচ্ছেদ:** ম্যাকিয়াভেলি প্রথম পশ্চিমা চিন্তাবিদদের মধ্যে একজন যিনি ধর্মীয় বা নৈতিকতার দৃষ্টিকোণ থেকে রাজনীতিকে আলাদা করে বিশ্লেষণ করেন। তার মতে, একজন শাসকের সাফল্য নির্ভর করে বাস্তববাদী কৌশল এবং ক্ষমতা ধরে রাখার দক্ষতার ওপর, ধর্মীয় নীতি বা নৈতিকতার ওপর নয়।

* **বাস্তববাদী দৃষ্টিভঙ্গি:** ম্যাকিয়াভেলি তার লেখায় একটি আদর্শ রাষ্ট্র কেমন হওয়া উচিত তার বদলে, একটি রাষ্ট্রকে কীভাবে বাস্তবিকভাবে পরিচালনা করা হয় এবং ক্ষমতা কীভাবে টিকে থাকে, তার ওপর জোর দেন। তিনি দেখান যে ক্ষমতা, শক্তি এবং কৌশল রাজনীতির মূল উপাদান।

* **রাষ্ট্রের স্বায়ত্তশাসন:** তিনি প্রথম রাষ্ট্রকে একটি স্বায়ত্তশাসিত সত্তা হিসেবে তুলে ধরেন, যার নিজস্ব নিয়ম ও উদ্দেশ্য রয়েছে। তার এই ধারণা আধুনিক রাষ্ট্র গঠনের ভিত্তি স্থাপন করে।


ম্যাকিয়াভেলি তার বিতর্কিত এবং বাস্তববাদী চিন্তাভাবনার কারণে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যয়নে একটি নতুন ধারা তৈরি করেন। এই কারণে তাকে আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক বলা হয়।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন