আধুনিক ইতিহাসের জনক কে

আধুনিক ইতিহাসের জনক কে

আধুনিক ইতিহাসের একক কোনো জনক নেই, তবে এই ক্ষেত্রকে একটি স্বতন্ত্র ও বিজ্ঞানসম্মত শাখা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রভাবশালী হিসেবে যাকে ধরা হয়, তিনি হলেন লিওপোল্ড ভন রাঙ্কে (Leopold von Ranke)।


কেন তাকে আধুনিক ইতিহাসের জনক বলা হয়?

লিওপোল্ড ভন রাঙ্কে (১৭৯৫–১৮৮৬) ছিলেন একজন জার্মান ঐতিহাসিক। তার কাজের মূল ভিত্তি ছিল বস্তুনিষ্ঠতা এবং নিরপেক্ষতা।

  • প্রাথমিক উৎসের ওপর জোর: রাঙ্কে বিশ্বাস করতেন যে ইতিহাসবিদদের উচিত কেবল অতীতের ঘটনা বর্ণনা করা নয়, বরং সেই ঘটনাগুলোর পেছনের মূল কারণ ও উদ্দেশ্য খুঁজে বের করা। এই কাজটি করার জন্য তিনি সরকারি দলিল, চিঠিপত্র এবং অন্যান্য সমসাময়িক লিখিত তথ্যের মতো প্রাথমিক উৎস (primary sources) ব্যবহার করার ওপর জোর দিয়েছিলেন।

  • নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি: তিনি রাজনৈতিক বা ধর্মীয় পক্ষপাত থেকে মুক্ত হয়ে ইতিহাস লেখার পক্ষে ছিলেন। তার বিখ্যাত উক্তি ছিল, "ইতিহাসকে কেবল যেমনটি ঘটেছে, তেমনই বর্ণনা করতে হবে" (to show what actually happened)। এই দৃষ্টিভঙ্গিটিই আধুনিক ঐতিহাসিক গবেষণার ভিত্তি তৈরি করেছে।

রাঙ্কের এই পদ্ধতিগত দৃষ্টিভঙ্গিই ইতিহাসকে নিছক গল্প বলার পরিবর্তে একটি সুসংবদ্ধ এবং বিজ্ঞানসম্মত শিক্ষণীয় বিষয়ে পরিণত করেছে। এই কারণে তাকে আধুনিক ইতিহাসের জনক বলা হয়।


আধুনিক ইতিহাসের একক কোনো জনক নেই, তবে এই ক্ষেত্রকে একটি বিজ্ঞানসম্মত শৃঙ্খলায় রূপান্তরের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রভাবশালী হিসেবে লিওপোল্ড ফন রাঙ্কেকে (Leopold von Ranke) বিবেচনা করা হয়।


কেন তাকে আধুনিক ইতিহাসের জনক বলা হয়?

লিওপোল্ড ফন রাঙ্কে ছিলেন একজন জার্মান ইতিহাসবিদ, যিনি ১৯ শতকে তার কাজের জন্য সুপরিচিত। তিনি ইতিহাসে নৈর্ব্যক্তিকতা (objectivity) এবং মৌলিক উৎস (primary sources) ব্যবহারের উপর জোর দেন।

তার মূল অবদানগুলো ছিল:

  • বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি: রাঙ্কে বিশ্বাস করতেন যে ইতিহাসকে যতটা সম্ভব বস্তুনিষ্ঠভাবে এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির মাধ্যমে অধ্যয়ন করা উচিত। তিনি ইতিহাসবিদদের ব্যক্তিগত মতামত এবং পক্ষপাত বাদ দিয়ে, শুধুমাত্র ঐতিহাসিক দলিল ও তথ্যের উপর নির্ভর করে গবেষণা করার জন্য উৎসাহিত করেন।

  • মৌলিক উৎস ব্যবহার: তিনি প্রথম ইতিহাসবিদদের মধ্যে একজন, যিনি ব্যাপকভাবে সরকারি নথি, চিঠি, ডায়েরি এবং অন্যান্য মৌলিক ঐতিহাসিক দলিল ব্যবহার করে ইতিহাস রচনা করেন। তার বিখ্যাত উক্তি, "Wie es eigentlich gewesen ist" (যেমনটি আসলে ছিল), তার এই দৃষ্টিভঙ্গির সারমর্ম।

  • ইতিহাসকে একটি পেশাদার শৃঙ্খলায় পরিণত করা: রাঙ্কের পদ্ধতি এবং তার অধীনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা ইতিহাসের অধ্যয়নকে একটি পেশাদার শিক্ষাক্ষেত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করে। তিনি বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহাসিক সেমিনার চালু করেন, যা আধুনিক ইতিহাস বিভাগের ভিত্তি তৈরি করে।

রাঙ্কের এই পদ্ধতিগত ও বস্তুনিষ্ঠ দৃষ্টিভঙ্গিই আধুনিক ইতিহাস রচনার ভিত্তি স্থাপন করে। তাই, তাকে আধুনিক ইতিহাসের জনক বলা হয়।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন