পদার্থ বিজ্ঞানের জনক কে
পদার্থবিজ্ঞানের জনক হিসেবে সাধারণত স্যার আইজ্যাক নিউটনকে (Sir Isaac Newton) বিবেচনা করা হয়।
কেন তাকে পদার্থবিজ্ঞানের জনক বলা হয়?
নিউটন ছিলেন একজন ইংরেজ গণিতবিদ, পদার্থবিজ্ঞানী, জ্যোতির্বিজ্ঞানী, এবং ধর্মতত্ত্ববিদ। তার যুগান্তকারী কাজ 'ফিলোসোফিয়া ন্যাচারালিস প্রিন্সিপিয়া ম্যাথমেটিকা' (Philosophiæ Naturalis Principia Mathematica), যা ১৬৮৭ সালে প্রকাশিত হয়, আধুনিক বিজ্ঞানের ইতিহাসে একটি মাইলফলক।
এই বইটিতে তিনি যে মৌলিক বিষয়গুলো উপস্থাপন করেন, তা হলো:
গতির তিনটি সূত্র (Three Laws of Motion): এই সূত্রগুলো বস্তুর গতিবিধি ব্যাখ্যা করে। নিউটনের এই সূত্রগুলো আজও পদার্থবিজ্ঞানের ভিত্তি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
মহাকর্ষ সূত্র (Law of Universal Gravitation): তিনি এই সূত্রের মাধ্যমে দেখান যে, মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তু একে অপরকে আকর্ষণ করে। এই সূত্রটি সৌরজগতের গ্রহ-নক্ষত্রের গতিবিধি ব্যাখ্যা করতে সক্ষম হয়।
নিউটন তার কাজের মাধ্যমে পদার্থবিজ্ঞানের একটি সুসংহত কাঠামো তৈরি করেন, যা পরবর্তী প্রায় ২০০ বছর ধরে বিজ্ঞানীদের গবেষণার পথ খুলে দেয়। এই কারণে তাকে চিরায়ত পদার্থবিজ্ঞানের জনক বলা হয়।
আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের জনক
যদি আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের কথা বলা হয়, তবে সেই উপাধিটি দেওয়া হয় আলবার্ট আইনস্টাইনকে (Albert Einstein)। তার আপেক্ষিকতার তত্ত্ব (Theory of Relativity) এবং কোয়ান্টাম বলবিদ্যার বিকাশে তার অবদান স্থান, কাল, শক্তি এবং ভর সম্পর্কে আমাদের চিরায়ত ধারণাগুলোকে আমূল পরিবর্তন করে দেয়।
পদার্থবিজ্ঞানের জনক হিসেবে সাধারণত স্যার আইজ্যাক নিউটনকে (Sir Isaac Newton) বিবেচনা করা হয়।
কেন তাকে পদার্থবিজ্ঞানের জনক বলা হয়?
স্যার আইজ্যাক নিউটন ছিলেন একজন ইংরেজ গণিতবিদ, পদার্থবিজ্ঞানী, জ্যোতির্বিজ্ঞানী, এবং ধর্মতত্ত্ববিদ। তার ১৬৮৭ সালে প্রকাশিত "ফিলোসফিয়া ন্যাচারালিস প্রিন্সিপিয়া ম্যাথমেটিকা" (Philosophiæ Naturalis Principia Mathematica) বইটি পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন আনে।
এই বইয়ে তিনি কিছু মৌলিক সূত্র ও ধারণা তুলে ধরেন যা চিরায়ত পদার্থবিজ্ঞানের ভিত্তি স্থাপন করে:
গতির তিনটি সূত্র (Three Laws of Motion): এই সূত্রগুলো বস্তুর গতিবিধি ব্যাখ্যা করে। নিউটনের প্রথম সূত্রটি হলো জড়তার সূত্র (Law of Inertia), দ্বিতীয়টি হলো বলের সূত্র (), এবং তৃতীয়টি হলো প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে।
মহাকর্ষ সূত্র (Law of Universal Gravitation): তিনি এই সূত্র দ্বারা ব্যাখ্যা করেন যে কীভাবে মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তু একে অপরকে আকর্ষণ করে। এই সূত্রটি ব্যবহার করে গ্রহ-নক্ষত্রের গতিবিধি নির্ভুলভাবে গণনা করা সম্ভব হয়।
নিউটন তার কাজগুলোর মাধ্যমে পদার্থবিজ্ঞানকে একটি সুসংগঠিত এবং পরীক্ষামূলক বিজ্ঞানে পরিণত করেন, যা পরবর্তী কয়েক শতাব্দী ধরে পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণাকে প্রভাবিত করেছে। তাই তাকে চিরায়ত পদার্থবিজ্ঞানের জনক বলা হয়।
আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের জনক
তবে, বিংশ শতাব্দীতে এসে পদার্থবিজ্ঞানের ধারণাগুলো পরিবর্তিত হয়। তাই আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের জনক হিসেবে আলবার্ট আইনস্টাইনকে (Albert Einstein) বিবেচনা করা হয়। তার আপেক্ষিকতার তত্ত্ব (Theory of Relativity) এবং কোয়ান্টাম বলবিদ্যার (Quantum Mechanics) বিকাশে তার অবদান পদার্থবিজ্ঞানের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন