বাইক কিনতে কি কি কাগজ লাগে



 বাইক কিনতে সাধারণত বিক্রেতা এবং ক্রেতা উভয়েরই কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়। নিচে বাইক কেনার সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো উল্লেখ করা হলো:

বিক্রেতার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

  • রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট (RC): এটি বাইকের মালিকানা প্রমাণ করে। বাইকের রেজিস্ট্রেশন নম্বর, ইঞ্জিন ও চেসিস নম্বর এবং মালিকের নাম এতে উল্লেখ থাকে।

  • বীমা (Insurance): বাইকের বৈধ বীমাপত্র থাকা আবশ্যক।

  • বিক্রয় রশিদ (Sales Receipt/Invoice): বাইকটি যখন প্রথম কেনা হয়েছিল, তখন ডিলারের কাছ থেকে পাওয়া রসিদ।

  • দূষণ নিয়ন্ত্রণ সার্টিফিকেট (PUC): বর্তমানে বাইকের দূষণ নিয়ন্ত্রণের একটি বৈধ সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়।

  • পরিচয়পত্র ও ঠিকানার প্রমাণ: বিক্রেতার নিজের পরিচয় (যেমন: আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স) এবং ঠিকানার প্রমাণপত্র।

ক্রেতার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

  • পরিচয়পত্র: ক্রেতার বৈধ পরিচয়পত্র যেমন: আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স।

  • ঠিকানার প্রমাণ: স্থায়ী ঠিকানা প্রমাণের জন্য বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল বা ব্যাংক পাসবুক।

  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি: সাধারণত ২-৪ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি প্রয়োজন হয়।

  • প্যান কার্ড (PAN Card): অনেক ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেন এবং বাইকের মালিকানা পরিবর্তনের জন্য প্যান কার্ডের প্রয়োজন হতে পারে।

মালিকানা পরিবর্তনের (Transfer of Ownership) জন্য অতিরিক্ত কাগজপত্র:

পুরোনো বাইক কিনলে মালিকানা পরিবর্তনের জন্য কিছু ফর্ম পূরণ করতে হয়। এর মধ্যে প্রধান হলো:

  • ফর্ম ২৯ (Form 29) এবং ফর্ম ৩০ (Form 30): এই দুটি ফর্ম আরটিও (RTO) বা বিআরটিএ (BRTA) অফিসে জমা দিতে হয় মালিকানা পরিবর্তনের জন্য।

  • এনওসি (NOC) বা অনাপত্তি সনদ: যদি বিক্রেতার বাইকটি অন্য রাজ্য বা জেলায় রেজিস্ট্রেশন করা থাকে, তাহলে সেই আরটিও বা বিআরটিএ থেকে একটি অনাপত্তি সনদ (No Objection Certificate) নিতে হয়।

নতুন বাইক কেনার ক্ষেত্রে সাধারণত ডিলারই বেশিরভাগ কাগজপত্র তৈরির ব্যবস্থা করে। তবে পুরোনো বাইক কেনার সময় বিক্রেতা এবং ক্রেতা উভয়েরই এই কাগজপত্রগুলো ঠিক আছে কিনা তা ভালোভাবে দেখে নেওয়া উচিত।


বাইক কিনতে সাধারণত বিক্রেতা এবং ক্রেতা উভয়ের জন্যই কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। নিচে এর একটি তালিকা দেওয়া হলো:

বিক্রেতার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

  • রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট (RC): গাড়ির মালিকানার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ। এটি অবশ্যই আসল হতে হবে।

  • বিমা (Insurance): গাড়ির বৈধ বিমা কাগজপত্র, যা অবশ্যই মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া উচিত নয়।

  • ট্যাক্স টোকেন (Tax Token): গাড়ির রোড ট্যাক্স পরিশোধের প্রমাণ।

  • ফিটনেস সার্টিফিকেট: সাধারণত ব্যক্তিগত গাড়ির ক্ষেত্রে এটি লাগে না, তবে বাণিজ্যিক বাইকের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হতে পারে।

  • জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) বা পাসপোর্ট: বিক্রেতার পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য এই কাগজ প্রয়োজন হয়।

  • বিক্রয় চুক্তি (Deed of Agreement): এটি এমন একটি লিখিত চুক্তি, যেখানে বিক্রেতা ও ক্রেতার মধ্যে গাড়ির মূল্য, শর্ত এবং অন্যান্য বিবরণ উল্লেখ থাকে।

ক্রেতার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

  • জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) বা পাসপোর্ট: ক্রেতার পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য এই কাগজ প্রয়োজন।

  • ড্রাইভিং লাইসেন্স: কিছু ক্ষেত্রে এটি প্রয়োজন হতে পারে, তবে বাইক রেজিস্ট্রেশনের জন্য এটি আবশ্যক।

  • টাকা বা ব্যাংক ড্রাফট: বাইকের মূল্য পরিশোধের জন্য।

সব কাগজপত্র যাচাই করে নেওয়ার পরেই বাইক কেনা উচিত। কোনো ভুল বা ত্রুটি থাকলে পরবর্তীতে আইনি জটিলতা তৈরি হতে পারে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন