গতিতত্ত্বের জনক কেগতিতত্ত্বের একক কোনো জনক নেই, তবে এর বিকাশে একাধিক বিজ্ঞানীর অবদান রয়েছে। প্রধানত, ড্যানিয়েল বার্নোলি (Daniel Bernoulli)-কে গতিতত্ত্বের প্রথম প্রবক্তা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
গতিতত্ত্বের একক কোনো জনক নেই, তবে এর বিকাশে একাধিক বিজ্ঞানীর অবদান রয়েছে। প্রধানত, ড্যানিয়েল বার্নোলি (Daniel Bernoulli)-কে গতিতত্ত্বের প্রথম প্রবক্তা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
ড্যানিয়েল বার্নোলি
১৭৩৮ সালে প্রকাশিত তার বই Hydrodynamica-তে বার্নোলি একটি গ্যাসকে অসংখ্য ক্ষুদ্র কণার সমষ্টি হিসেবে বর্ণনা করেন যা প্রতিনিয়ত গতিশীল। তিনি দেখান যে, এই কণাগুলোর গতি ও সংঘর্ষের কারণে গ্যাসের চাপ সৃষ্টি হয় এবং এর তাপমাত্রা এই কণাগুলোর গড় গতিশক্তির সমানুপাতিক। এই ধারণাটিই আধুনিক গতিতত্ত্বের মূল ভিত্তি।
১৭৩৮ সালে প্রকাশিত তার বই Hydrodynamica-তে বার্নোলি একটি গ্যাসকে অসংখ্য ক্ষুদ্র কণার সমষ্টি হিসেবে বর্ণনা করেন যা প্রতিনিয়ত গতিশীল। তিনি দেখান যে, এই কণাগুলোর গতি ও সংঘর্ষের কারণে গ্যাসের চাপ সৃষ্টি হয় এবং এর তাপমাত্রা এই কণাগুলোর গড় গতিশক্তির সমানুপাতিক। এই ধারণাটিই আধুনিক গতিতত্ত্বের মূল ভিত্তি।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অবদানকারী
রুডলফ ক্লসিয়াস (Rudolf Clausius): উনিশ শতকে ক্লসিয়াস গ্যাসের গতিতত্ত্বকে আরও সুসংহত রূপ দেন। তিনি "গ্যাসের অণু" (molecules of gas) ধারণাটি প্রথম ব্যবহার করেন এবং গ্যাসের গড় মুক্ত পথ (mean free path) গণনা করেন।
লুডভিগ বোলৎসমান (Ludwig Boltzmann): বোলৎসমান গতিতত্ত্বকে পরিসংখ্যানগত বলবিজ্ঞানের (statistical mechanics) সাথে যুক্ত করেন। তিনি দেখান যে, তাপগতিবিদ্যার সূত্রগুলো অসংখ্য কণার গতির গড় আচরণের ফলাফল। বোলৎসমান ধ্রুবক (kB) তার এই কাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
সুতরাং, যদিও ড্যানিয়েল বার্নোলিকে গতিতত্ত্বের আদি প্রবক্তা বলা হয়, এর আধুনিক ও সম্পূর্ণ রূপটি ক্লসিয়াস এবং বোলৎসমানসহ আরও অনেক বিজ্ঞানীর অবদানের ফল।
গতিতত্ত্বের (Kinetic Theory) একক কোনো জনক নেই, তবে এর বিকাশে প্রধান অবদানকারী হিসেবে দুইজনকে ধরা হয়: রুডলফ ক্লসিয়াস (Rudolf Clausius) এবং লুডভিগ বোলৎজম্যান (Ludwig Boltzmann)।
রুডলফ ক্লসিয়াস: তিনি তাপগতিবিদ্যার দ্বিতীয় সূত্র প্রণয়ন করেন এবং প্রথম বিজ্ঞানী হিসেবে ১৮৫৭ সালে গ্যাসের অণুগুলোর গতি সম্পর্কে একটি সুসংহত তত্ত্ব দেন। তিনি দেখান যে, গ্যাসের চাপ তার অণুগুলোর গতিশক্তির ওপর নির্ভরশীল। এই কারণে তাকে গতিতত্ত্বের একজন অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে ধরা হয়।
লুডভিগ বোলৎজম্যান: তিনি গতিতত্ত্বকে একটি পূর্ণাঙ্গ বৈজ্ঞানিক রূপ দেন। তিনি গ্যাসের অণুগুলোর গতি ও শক্তি বন্টন নিয়ে কাজ করেন এবং দেখান যে, গ্যাসের বৈশিষ্ট্যগুলো আসলে অসংখ্য অণুর গতির পরিসংখ্যানগত গড়। তার কাজ গতিতত্ত্বকে একটি মজবুত গাণিতিক ভিত্তির ওপর দাঁড় করায়।
এছাড়াও, জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল গ্যাসের অণুর গতিবেগের বণ্টন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র প্রদান করেন, যা গতিতত্ত্বকে আরও সমৃদ্ধ করে। তাই গতিতত্ত্বের মূল ভিত্তি ক্লসিয়াস ও বোলৎজম্যানের হাত ধরেই স্থাপিত হয়েছিল, যেখানে ম্যাক্সওয়েলের কাজ তা আরও শক্তিশালী করেছে।
রুডলফ ক্লসিয়াস (Rudolf Clausius): উনিশ শতকে ক্লসিয়াস গ্যাসের গতিতত্ত্বকে আরও সুসংহত রূপ দেন। তিনি "গ্যাসের অণু" (molecules of gas) ধারণাটি প্রথম ব্যবহার করেন এবং গ্যাসের গড় মুক্ত পথ (mean free path) গণনা করেন।
লুডভিগ বোলৎসমান (Ludwig Boltzmann): বোলৎসমান গতিতত্ত্বকে পরিসংখ্যানগত বলবিজ্ঞানের (statistical mechanics) সাথে যুক্ত করেন। তিনি দেখান যে, তাপগতিবিদ্যার সূত্রগুলো অসংখ্য কণার গতির গড় আচরণের ফলাফল। বোলৎসমান ধ্রুবক (kB) তার এই কাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
সুতরাং, যদিও ড্যানিয়েল বার্নোলিকে গতিতত্ত্বের আদি প্রবক্তা বলা হয়, এর আধুনিক ও সম্পূর্ণ রূপটি ক্লসিয়াস এবং বোলৎসমানসহ আরও অনেক বিজ্ঞানীর অবদানের ফল।
গতিতত্ত্বের (Kinetic Theory) একক কোনো জনক নেই, তবে এর বিকাশে প্রধান অবদানকারী হিসেবে দুইজনকে ধরা হয়: রুডলফ ক্লসিয়াস (Rudolf Clausius) এবং লুডভিগ বোলৎজম্যান (Ludwig Boltzmann)।
রুডলফ ক্লসিয়াস: তিনি তাপগতিবিদ্যার দ্বিতীয় সূত্র প্রণয়ন করেন এবং প্রথম বিজ্ঞানী হিসেবে ১৮৫৭ সালে গ্যাসের অণুগুলোর গতি সম্পর্কে একটি সুসংহত তত্ত্ব দেন। তিনি দেখান যে, গ্যাসের চাপ তার অণুগুলোর গতিশক্তির ওপর নির্ভরশীল। এই কারণে তাকে গতিতত্ত্বের একজন অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে ধরা হয়।
লুডভিগ বোলৎজম্যান: তিনি গতিতত্ত্বকে একটি পূর্ণাঙ্গ বৈজ্ঞানিক রূপ দেন। তিনি গ্যাসের অণুগুলোর গতি ও শক্তি বন্টন নিয়ে কাজ করেন এবং দেখান যে, গ্যাসের বৈশিষ্ট্যগুলো আসলে অসংখ্য অণুর গতির পরিসংখ্যানগত গড়। তার কাজ গতিতত্ত্বকে একটি মজবুত গাণিতিক ভিত্তির ওপর দাঁড় করায়।
এছাড়াও, জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল গ্যাসের অণুর গতিবেগের বণ্টন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র প্রদান করেন, যা গতিতত্ত্বকে আরও সমৃদ্ধ করে। তাই গতিতত্ত্বের মূল ভিত্তি ক্লসিয়াস ও বোলৎজম্যানের হাত ধরেই স্থাপিত হয়েছিল, যেখানে ম্যাক্সওয়েলের কাজ তা আরও শক্তিশালী করেছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন