যতি চিহ্নের আবিষ্কারক কে

 যতি চিহ্নের আবিষ্কারক কে

বাংলা সাহিত্যে যতিচিহ্নের জনক বা প্রবর্তক হিসেবে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে গণ্য করা হয়।

বাংলায় যতিচিহ্নের ব্যবহার

বাংলা গদ্য সাহিত্যের বিকাশে যতিচিহ্নের প্রচলন ছিল একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এর আগে বাংলা লেখায় শুধুমাত্র দাঁড়ি (।) এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে দুটি দাঁড়ি (॥) ব্যবহার করা হতো। এতে লেখার ভাব ও অর্থ সঠিকভাবে বোঝা যেত না।

  • প্রবর্তন: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর তাঁর রচিত 'বেতাল পঞ্চবিংশতি' (১৮৪৭) নামক গ্রন্থে প্রথম ইংরেজি ভাষার অনুকরণে কমা (,), সেমিকোলন (;), প্রশ্নবোধক চিহ্ন (?) এবং বিস্ময়বোধক চিহ্ন (!) সহ অন্যান্য যতিচিহ্নের সফল ব্যবহার করেন।

  • উদ্দেশ্য: তিনি লক্ষ্য করেন যে, এই চিহ্নগুলো ব্যবহার করলে লেখার অর্থ সুস্পষ্ট হয়, বাক্যের বিভিন্ন অংশ আলাদা করা যায় এবং পাঠক সহজেই বিরতি নিয়ে পড়তে পারে। তার এই পদক্ষেপ বাংলা গদ্যকে আরও সহজবোধ্য ও সাবলীল করে তোলে।

যদিও যতিচিহ্নের ধারণাটি প্রাচীন গ্রিক ও রোমান সভ্যতায় ছিল এবং পরে ইউরোপীয় মুদ্রণ ব্যবস্থায় বিকশিত হয়, বাংলা ভাষায় এর নিয়মবদ্ধ প্রয়োগের জন্য ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান অনস্বীকার্য।

এই ভিডিওটি বাংলা ভাষায় যতিচিহ্নের ব্যবহার এবং এর গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করে।



Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন