রেডিয়ামের আবিষ্কারক কে

 রেডিয়ামের আবিষ্কারক কে

রেডিয়াম আবিষ্কার করেন মেরি কুরি এবং তার স্বামী পিয়েরে কুরি

১৮৯৮ সালে এই দম্পতি পোলানিয়াম আবিষ্কারের পর পিসব্লেণ্ড খনিজ পদার্থ নিয়ে গবেষণা করার সময় দেখতে পান যে, এতে এমন একটি নতুন মৌল আছে যা ইউরেনিয়ামের চেয়েও অনেক বেশি তেজস্ক্রিয়। ব্যাপক পরিশ্রমের পর তারা এই নতুন মৌলটিকে আলাদা করতে সক্ষম হন এবং এর নাম দেন রেডিয়াম, যা লাতিন শব্দ 'radius' (যার অর্থ রশ্মি) থেকে এসেছে।

তাদের এই যুগান্তকারী আবিষ্কারের জন্য ১৯০৩ সালে তারা হেনরি বেকারেলের সাথে যৌথভাবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। পরে ১৯১১ সালে, মেরি কুরি বিশুদ্ধ রেডিয়ামকে পৃথক করার জন্য রসায়নে এককভাবে নোবেল পুরস্কার পান। তিনি দুটি ভিন্ন বিজ্ঞানের শাখায় নোবেল পুরস্কার অর্জনকারী প্রথম এবং একমাত্র নারী।


রেডিয়ামের আবিষ্কারক হলেন পদার্থবিজ্ঞানী মারি কুরি (Marie Curie) এবং তার স্বামী পিয়ের কুরি (Pierre Curie)

১৮৯৮ সালে এই দম্পতি যৌথভাবে তেজস্ক্রিয় পদার্থ পোলোনিয়াম এবং রেডিয়াম আবিষ্কার করেন। এই আবিষ্কারটি ছিল বিজ্ঞানের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ঘটনা।

তারা একটি ইউরেনিয়াম আকরিক "পিচব্লেন্ড" (Pitchblende) নিয়ে কাজ করছিলেন। তারা দেখতে পান যে পিচব্লেন্ড থেকে যে তেজস্ক্রিয়তা নির্গত হয়, তা শুধু ইউরেনিয়ামের কারণে নয়। এর মধ্যে অবশ্যই অন্য কোনো অজানা এবং অত্যন্ত তেজস্ক্রিয় পদার্থ লুকানো আছে। এই ধারণা থেকে তারা দীর্ঘ এবং কঠোর পরিশ্রমের পর পিচব্লেন্ড থেকে অত্যন্ত ক্ষুদ্র পরিমাণে দুটি নতুন মৌলকে আলাদা করতে সক্ষম হন। এর মধ্যে একটির নাম তারা মারি কুরির জন্মভূমি পোল্যান্ডের নামে পোলোনিয়াম রাখেন এবং অন্যটির নাম তার বিকিরণ ক্ষমতার জন্য লাতিন শব্দ "রেডিয়াস" থেকে রেডিয়াম রাখেন।

এই যুগান্তকারী আবিষ্কারের জন্য মারি এবং পিয়ের কুরিকে ১৯০৩ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়। পরে মারি কুরি ১৯১১ সালে বিশুদ্ধ রেডিয়াম পৃথকীকরণের জন্য রসায়নে আরও একটি নোবেল পুরস্কার পান। তিনি প্রথম ব্যক্তি এবং একমাত্র নারী যিনি দুটি ভিন্ন বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন