দশন জনক কে
আপনি সম্ভবত "দশন" বলতে "দর্শন" বোঝাতে চেয়েছেন। যদি তাই হয়, তাহলে দর্শনের জনক হিসেবে থেলিসকে (Thales) গণ্য করা হয়। তিনি একজন প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক, গণিতজ্ঞ এবং জ্যোতির্বিদ ছিলেন। খ্রিস্টপূর্ব ৬২৪ থেকে ৫৪৬ অব্দের মধ্যে তার জীবনকাল ছিল।
থেলিসকে দর্শনের জনক বলার কয়েকটি কারণ নিচে দেওয়া হলো:
প্রকৃতির যৌক্তিক ব্যাখ্যা: থেলিসই প্রথম ব্যক্তি যিনি প্রচলিত পৌরাণিক বা ধর্মীয় বিশ্বাসের পরিবর্তে যুক্তি এবং পর্যবেক্ষণ ব্যবহার করে জগতের উৎপত্তি ও প্রকৃতি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেন। তিনি মনে করতেন, সবকিছুর মূল উপাদান হলো 'পানি' (Water)। এই ধারণাটি দার্শনিক দিক থেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ এটি প্রচলিত অন্ধবিশ্বাসকে চ্যালেঞ্জ করে যৌক্তিক অনুসন্ধানের পথ খুলে দেয়।
কারণ-অনুসন্ধান: থেলিসের আগে মানুষ কোনো প্রাকৃতিক ঘটনার কারণ হিসেবে দেবতাদের বা অতিপ্রাকৃত শক্তিকে দায়ী করত। থেলিসই প্রথম এর পরিবর্তে প্রাকৃতিক কারণ অনুসন্ধান শুরু করেন। এটি ছিল বৈজ্ঞানিক ও দার্শনিক চিন্তাভাবনার এক নতুন দিগন্ত।
প্রশ্ন উত্থাপন: তিনি শুধু একটি তত্ত্বই দেননি, বরং বিশ্বজগতের মূল সত্তা নিয়ে মৌলিক প্রশ্নগুলো উত্থাপন করেছিলেন। তার এই প্রশ্নগুলোই পরবর্তীকালের অনেক দার্শনিক যেমন: সক্রেটিস, প্লেটো এবং অ্যারিস্টটলকে আরও গভীরভাবে চিন্তা করতে অনুপ্রাণিত করেছিল।
এই কারণে, থেলিসকে কেবল দর্শনের জনকই নয়, বরং 'বিজ্ঞানের জনক' হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।
অনেক সময় সক্রেটিসকেও (Socrates) পাশ্চাত্য দর্শনের জনক বলা হয়। এর কারণ হলো, তিনি দর্শনের বিষয়বস্তুকে মহাবিশ্বের উৎপত্তি সংক্রান্ত আলোচনা থেকে সরিয়ে মানবজীবন এবং নৈতিকতার দিকে নিয়ে আসেন। সক্রেটিসের দর্শন ছিল মূলত নৈতিকতা, ন্যায়বিচার এবং জ্ঞানের অনুসন্ধান নিয়ে।
নীতি-নৈতিকতার ওপর জোর: সক্রেটিসই প্রথম দার্শনিক যিনি মানুষের জীবন, মূল্যবোধ এবং নৈতিকতা নিয়ে গভীর প্রশ্ন করেন। তার বিখ্যাত উক্তি, "একটি পরীক্ষাবিহীন জীবন যাপনের যোগ্য নয়" ("An unexamined life is not worth living"), মানব জীবনের নৈতিক দিকটির ওপর জোর দেয়।
সক্রেটিক পদ্ধতি (Socratic Method): তিনি প্রশ্ন ও উত্তরের মাধ্যমে জ্ঞানের গভীরে পৌঁছানোর একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন, যা আজও শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই পদ্ধতি মানুষকে নিজেদের ধারণাকে প্রশ্ন করতে এবং যৌক্তিক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে উৎসাহিত করে।
সুতরাং, থেলিসকে প্রথম দার্শনিক হিসেবে গণ্য করা হলেও, মানবতাবাদী এবং নীতিগত দর্শনের ক্ষেত্রে সক্রেটিসকে এক নতুন ধারার জনক বলা হয়।
আপনি সম্ভবত "দর্শনের জনক" বলতে চাইছেন। যদি তাই হয়, তাহলে দর্শনের জনক হলেন থেলিস।
থেলিস একজন প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক, গণিতবিদ এবং জ্যোতির্বিদ ছিলেন। খ্রিস্টপূর্ব ৬২৪ থেকে ৫৪৬ অব্দের মধ্যে তিনি জীবিত ছিলেন।
থেলিসকে দর্শনের জনক বলার কারণ হলো:
যৌক্তিক ব্যাখ্যা: তিনি প্রথম ব্যক্তি যিনি প্রচলিত ধর্মীয় বা পৌরাণিক কাহিনীর পরিবর্তে যুক্তি ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে মহাবিশ্ব ও এর সৃষ্টির ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেন।
মূল উপাদানের ধারণা: তিনি মনে করতেন যে, সবকিছুর মূল উপাদান হলো 'পানি'। এই ধারণাটি ছিল দর্শনের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়, কারণ এটি প্রথমবারের মতো প্রাকৃতিক উপাদানের ওপর ভিত্তি করে একটি যৌক্তিক তত্ত্বের জন্ম দেয়।
প্রশ্ন উত্থাপন: থেলিস এমন কিছু মৌলিক প্রশ্ন উত্থাপন করেছিলেন, যা পরবর্তীকালের দার্শনিকদের চিন্তাভাবনাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে।
যদিও প্রাচীন ভারতীয়, চীনা এবং অন্যান্য সভ্যতায়ও দার্শনিক চিন্তাভাবনার প্রচলন ছিল, কিন্তু পাশ্চাত্য দর্শনের ধারায় থেলিসকেই প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ধরা হয় যিনি বিজ্ঞান ও দর্শনের মধ্যে একটি সুস্পষ্ট সম্পর্ক স্থাপন করেন।
অনেক সময় সক্রেটিসকেও (Socrates) পাশ্চাত্য দর্শনের জনক বলা হয়, তবে থেলিস হলেন সেই প্রথম ব্যক্তি যিনি দার্শনিক চিন্তাধারার সূচনা করেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন