দার্শনিকের জনক কে

 দার্শনিকের জনক কে


দাবার জনক হিসেবে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো একজন ব্যক্তির নাম বলা কঠিন। এর কারণ হলো, দাবা খেলাটি বিভিন্ন সময়ে এবং স্থানে বিবর্তিত হয়েছে। তবে, এর উৎপত্তিস্থল হিসেবে সাধারণত ভারতকে ধরা হয়।

প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, ৬ষ্ঠ শতকে ভারতে গুপ্ত সাম্রাজ্যের সময়ে 'চতুরঙ্গ' নামে একটি খেলা থেকে দাবার উৎপত্তি। চতুরঙ্গ নামটি এসেছে সেনাবাহিনীর চারটি বিভাগ থেকে: পদাতিক, অশ্বারোহী, রথ এবং হস্তী। এই চারটি বিভাগই ছিল বর্তমান দাবার গুটির পূর্বসূরি।

চতুরঙ্গ খেলাটি ভারত থেকে প্রথমে পারস্যে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে এর নাম হয় 'শতরঞ্জ'। শতরঞ্জ পরবর্তীতে মুসলিম বিশ্বের মধ্য দিয়ে ইউরোপে প্রবেশ করে এবং সেখানে আধুনিক দাবার রূপ নেয়।

সুতরাং, দাবার জনক হিসেবে কোনো একজন ব্যক্তিকে চিহ্নিত না করে, বলা যায় যে এর জন্ম প্রাচীন ভারতে।


দাবার জনক কে, তা সুনির্দিষ্টভাবে বলা কঠিন। তবে, অধিকাংশ ঐতিহাসিক ও গবেষকের মতে, দাবার উৎপত্তি প্রাচীন ভারতে এবং এর আদি রূপটি হলো চতুরঙ্গ

চতুরঙ্গ খেলাটি সম্ভবত ৬ষ্ঠ শতকে ভারতে উদ্ভাবিত হয়েছিল এবং এটি ছিল দাবার পূর্বপুরুষ। চতুরঙ্গ নামটি এসেছে দুটি সংস্কৃত শব্দ থেকে: 'চতুর্' (চার) এবং 'অঙ্গ' (অংশ), যা চারটি প্রধান সামরিক বিভাগের প্রতীক ছিল: পদাতিক (infantry), অশ্বারোহী (cavalry), হস্তী (elephants) এবং রথ (chariots)।

চতুরঙ্গ থেকে দাবা মধ্যপ্রাচ্যে, বিশেষ করে পারস্যে, ছড়িয়ে পড়ে এবং এর নাম হয় 'শতরঞ্জ' (Shatranj)। পরবর্তীতে এটি ইউরোপে প্রবেশ করে এবং বর্তমান দাবার রূপে বিবর্তিত হয়।

সুতরাং, যদিও কোনো একজন ব্যক্তিকে দাবার জনক বলা যায় না, এর উৎপত্তির মূল কৃতিত্ব প্রাচীন ভারতীয়দের।


দাবার ইতিহাসে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

  • প্রাচীন ভারত: ৬ষ্ঠ শতকে চতুরঙ্গ নামের একটি খেলা থেকে দাবার উৎপত্তি হয়।

  • পারস্য: মুসলিম বিজয়ের পর পারস্যে এর জনপ্রিয়তা বাড়ে এবং এটি 'শতরঞ্জ' নামে পরিচিত হয়।

  • ইউরোপ: শতরঞ্জ স্পেনে প্রবেশ করে এবং ধীরে ধীরে ইউরোপের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে। এখানে এর নিয়মগুলো পরিবর্তিত হয়, যেমন 'রাণী'র (Queen) ক্ষমতার বৃদ্ধি।

  • আধুনিক দাবা: ১৯শ শতকে দাবার আধুনিক নিয়মগুলো সুনির্দিষ্ট হয় এবং বিশ্বব্যাপী এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়।

এভাবে, ভারতীয় চতুরঙ্গ থেকে শুরু করে আধুনিক দাবা পর্যন্ত এর বিবর্তনে বিভিন্ন সংস্কৃতির অবদান রয়েছে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন