দাবার জনক কে
দাবার উৎপত্তি ভারতে এবং এর প্রাচীনতম রূপটির নাম ছিল চতুরঙ্গ। এই কারণে, অনেকেই দাবার জনক হিসেবে কোনো একক ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট না করে প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতাকে এর কৃতিত্ব দেন।
তবে কিংবদন্তী অনুসারে, দাবার আবিষ্কারক হিসেবে দুইজন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়:
১. শিষা ইবনে দাহির: প্রচলিত একটি গল্প অনুসারে, ভারতের রাজা বালাহিত্য যখন বিষণ্ণতায় ভুগছিলেন, তখন তার সমস্যা সমাধানের জন্য গণিতজ্ঞ শিশা ইবনে দাহির একটি খেলা তৈরি করেন, যা পরবর্তীকালে দাবা নামে পরিচিতি লাভ করে।
২. রাবন: হিন্দু পুরাণে রাবনের নামও দাবার উদ্ভাবক হিসেবে উল্লেখ আছে। কথিত আছে, রাবন তার স্ত্রী মন্দোদরীকে সন্তুষ্ট করার জন্য এই খেলাটি তৈরি করেছিলেন।
ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে, দাবার আদি রূপ 'চতুরঙ্গ' খ্রিস্টীয় ৬ষ্ঠ শতাব্দীর দিকে ভারতে উদ্ভাবিত হয়েছিল, যা পরবর্তীতে পারস্যে 'শতরঞ্জ' এবং তারপর ইউরোপে 'শ্যাত্রেজ' হিসেবে ছড়িয়ে পড়ে। তাই কোনো একক ব্যক্তিকে দাবার জনক বলা কঠিন, তবে ভারতীয়রাই যে এই খেলার মূল স্রষ্টা, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
দাবার জনক হিসেবে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো একজন ব্যক্তির নাম বলা কঠিন। এর কারণ হলো, দাবা খেলাটি বিভিন্ন সময়ে এবং স্থানে বিবর্তিত হয়েছে। তবে, এর উৎপত্তিস্থল হিসেবে সাধারণত ভারতকে ধরা হয়।
প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, ৬ষ্ঠ শতকে ভারতে গুপ্ত সাম্রাজ্যের সময়ে 'চতুরঙ্গ' নামে একটি খেলা থেকে দাবার উৎপত্তি। চতুরঙ্গ নামটি এসেছে সেনাবাহিনীর চারটি বিভাগ থেকে: পদাতিক, অশ্বারোহী, রথ এবং হস্তী। এই চারটি বিভাগই ছিল বর্তমান দাবার গুটির পূর্বসূরি।
চতুরঙ্গ খেলাটি ভারত থেকে প্রথমে পারস্যে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে এর নাম হয় 'শতরঞ্জ'। শতরঞ্জ পরবর্তীতে মুসলিম বিশ্বের মধ্য দিয়ে ইউরোপে প্রবেশ করে এবং সেখানে আধুনিক দাবার রূপ নেয়।
সুতরাং, দাবার জনক হিসেবে কোনো একজন ব্যক্তিকে চিহ্নিত না করে, বলা যায় যে এর জন্ম প্রাচীন ভারতে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন