গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা কে

 গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা কে


গণতন্ত্রের একক কোনো প্রতিষ্ঠাতা নেই। এটি এমন একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা যা সময়ের সাথে সাথে বিভিন্ন সংস্কৃতি এবং সভ্যতার মধ্যে বিকশিত হয়েছে। তবে, প্রাচীন গ্রীস, বিশেষ করে এথেন্সকে প্রায়শই আধুনিক গণতন্ত্রের সূচনালগ্ন হিসাবে ধরা হয়।

খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতাব্দীতে এথেন্সে যে ব্যবস্থা চালু ছিল, তাকে প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র বলা হয়। এই ব্যবস্থায় শহরের সকল যোগ্য নাগরিক সরাসরি নীতি নির্ধারণ এবং আইন প্রণয়নে অংশ নিতে পারতেন।

এথেনীয় গণতন্ত্রের বিকাশে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বের নাম প্রায়শই উল্লেখ করা হয়, যেমন:

  • সোলোন: তিনি খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতাব্দীতে এমন কিছু সংস্কার করেছিলেন যা রাজনৈতিক ক্ষমতাকে অভিজাতদের একচেটিয়া অধিকার থেকে বের করে আনে।

  • ক্লাইস্থেনিস: তাকে 'এথেনীয় গণতন্ত্রের জনক' বলা হয়। খ্রিস্টপূর্ব ৫১০ সালে তিনি এমন কিছু রাজনৈতিক সংস্কার করেন যা এথেন্সে প্রকৃত গণতন্ত্রের ভিত্তি স্থাপন করে।

  • পেরিক্লিস: তার নেতৃত্বে এথেন্সে গণতন্ত্র তার স্বর্ণযুগে পৌঁছেছিল। তিনি খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতাব্দীতে গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী ও জনপ্রিয় করে তোলেন।

সুতরাং, যদিও এথেন্সকে গণতন্ত্রের জন্মস্থান বলা হয় এবং ক্লাইস্থেনিসকে এর জনক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়, এটি একক কোনো ব্যক্তির আবিষ্কার নয়, বরং একটি দীর্ঘ ঐতিহাসিক বিবর্তনের ফসল।


গণতন্ত্রের একক কোনো প্রতিষ্ঠাতা নেই। এটি বহু শতক ধরে বিভিন্ন সংস্কৃতি ও সমাজে ধীরে ধীরে বিকশিত হয়েছে।

তবে, গণতন্ত্রের মূল ধারণাটি প্রথম প্রাচীন গ্রিসে, বিশেষ করে অ্যাথেন্সে, প্রায় খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতকে প্রচলিত হয়েছিল। এই কারণে, অ্যাথেন্সকে প্রায়ই গণতন্ত্রের সূচনাস্থল হিসেবে গণ্য করা হয়। সেখানে, নাগরিকেরা সরাসরি আইন প্রণয়ন এবং শাসনকার্যে অংশ নিতে পারতেন।

গণতন্ত্রের বিকাশে অবদান রেখেছেন এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হলেন:

  • সোলন (Solon): খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে তিনি অ্যাথেন্সের আইন সংস্কার করেন, যা নাগরিকদের রাজনৈতিক অধিকার বাড়াতে সাহায্য করেছিল।

  • ক্লাইস্থেনিস (Cleisthenes): তাকে প্রায়ই "অ্যাথেনিয়ান গণতন্ত্রের জনক" বলা হয়। খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের শেষে তিনি এমন একটি শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেন, যা নাগরিকদের মধ্যে ক্ষমতা আরও সমতার সঙ্গে বণ্টন করেছিল।

এছাড়াও, আধুনিক গণতন্ত্রের বিকাশে বহু দার্শনিক ও চিন্তাবিদদের অবদান রয়েছে, যেমন: জন লক (John Locke), জঁ-জাক রুশো (Jean-Jacques Rousseau) এবং চার্লস মন্টেস্কিউ (Charles Montesquieu)। তাদের তত্ত্বগুলো পরবর্তীকালে বিভিন্ন দেশে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় প্রভাব ফেলেছিল।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন