ন্যানো প্রযুক্তির জনক কে

 ন্যানো প্রযুক্তির জনক কে

ন্যানো প্রযুক্তির জনক হলেন রিচার্ড ফাইনম্যান (Richard Feynman)।

১৯৫৯ সালে তিনি ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে একটি বিখ্যাত বক্তৃতা দেন, যার শিরোনাম ছিল "There's Plenty of Room at the Bottom"। এই বক্তৃতায় তিনি পরমাণু এবং অণুকে ব্যবহার করে ক্ষুদ্রতম পর্যায়ে বস্তু তৈরি করার ধারণাটি তুলে ধরেন। যদিও তিনি এই প্রযুক্তির ব্যবহারিক দিক নিয়ে সরাসরি কাজ করেননি, তার এই দূরদর্শী চিন্তাভাবনাই ন্যানো প্রযুক্তির ভিত্তি স্থাপন করে।


কেন তাকে জনক বলা হয়?

ফাইনম্যানের এই বক্তৃতাটি ছিল ন্যানো প্রযুক্তির প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবনা। তিনি সেই সময়ে কল্পনা করেছিলেন যে ভবিষ্যতে আমরা এমন যন্ত্র তৈরি করতে পারব, যা দিয়ে পরমাণুগুলোকে ইচ্ছামতো সাজিয়ে নতুন পদার্থ তৈরি করা সম্ভব হবে। তার এই বৈপ্লবিক ধারণাটিই পরবর্তীকালে বিজ্ঞানীরা ব্যবহারিক রূপ দেন। তাই, তাকেই ন্যানো প্রযুক্তির তাত্ত্বিক জনক হিসেবে গণ্য করা হয়।



ন্যানো প্রযুক্তির জনক হলেন রিচার্ড ফাইনম্যান (Richard Feynman)।

১৯৫৯ সালে তিনি ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে 'দেয়ারস প্লেন্টি অফ রুম অ্যাট দ্য বটম' (There's Plenty of Room at the Bottom) নামে একটি বিখ্যাত বক্তৃতা দেন। এই বক্তৃতায় তিনি প্রথমবারের মতো পরমাণু ও অণু পর্যায়ে পদার্থকে ম্যানিপুলেট করার ধারণার কথা তুলে ধরেন। তিনি প্রস্তাব করেন যে, যদি আমরা ক্ষুদ্রতম স্তরে পদার্থকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, তবে সম্পূর্ণ নতুন ধরনের প্রযুক্তি তৈরি করা সম্ভব হবে।

যদিও ফাইনম্যান এই ধারণার প্রবক্তা ছিলেন, তবে এর ব্যবহারিক প্রয়োগ এবং 'ন্যানোটেকনোলজি' (Nanotechnology) শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন জাপানি পদার্থবিজ্ঞানী নোরিও তানিগুচি (Norio Taniguchi) ১৯৭৪ সালে। তাই, অনেকে তাকেও ন্যানো প্রযুক্তির অন্যতম পথিকৃৎ হিসেবে গণ্য করেন।

তবে, ধারণার দিক থেকে রিচার্ড ফাইনম্যানকেই ন্যানো প্রযুক্তির জনক বলা হয়।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন