নৃবিজ্ঞানের জনক কে
নৃবিজ্ঞানের জনক হলেন ফ্রানজ বোয়াস (Franz Boas)।
তাকে আধুনিক নৃবিজ্ঞানের জনক বলা হয় কারণ তিনি এই বিষয়টিকে একটি সুশৃঙ্খল বৈজ্ঞানিক শৃঙ্খলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি সংস্কৃতি ও মানবজাতির অধ্যয়নে ঐতিহাসিক ও আপেক্ষিক পদ্ধতি প্রবর্তন করেন, যা পূর্ববর্তী জাতিগত বিভাজনমূলক তত্ত্বগুলোকে বাতিল করে দেয়। তাঁর গবেষণায় প্রমাণিত হয় যে, সংস্কৃতি মানুষের আচরণকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে এবং কোনো একটি সংস্কৃতি অন্যটির চেয়ে শ্রেষ্ঠ নয়।
নিল বার্নার্ড ম্যাক্স (Neil Barnard Max) এবং এমিলে ডুরখেইম (Émile Durkheim)-এর মতো আরও কিছু নৃবিজ্ঞানীও এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। কিন্তু, সাংস্কৃতিক আপেক্ষিকতা (Cultural Relativism) এবং হলিজম (Holism) ধারণার জন্য ফ্রানজ বোয়াসকে নৃবিজ্ঞানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে ধরা হয়।
নৃবিজ্ঞানের জনক হলেন ফ্রানজ বোয়াস (Franz Boas)।
তাকে আধুনিক আমেরিকান নৃবিজ্ঞানের জনক হিসেবে ধরা হয়। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে তিনি নৃবিজ্ঞানের চারটি প্রধান ক্ষেত্রকে একীভূত করেন: সাংস্কৃতিক নৃবিজ্ঞান, ভাষাতাত্ত্বিক নৃবিজ্ঞান, প্রত্নতত্ত্ব এবং শারীরিক নৃবিজ্ঞান।
কেন তাকে জনক বলা হয়?
সাংস্কৃতিক আপেক্ষিকতাবাদ (Cultural Relativism): তিনি এই ধারণাটির প্রবক্তা। এই ধারণা অনুসারে, কোনো সংস্কৃতিকে তার নিজস্ব প্রেক্ষাপট থেকে বোঝা উচিত, অন্য কোনো সংস্কৃতির মানদণ্ড দিয়ে বিচার করা ঠিক নয়।
ঐতিহাসিক বিশেষত্ববাদ (Historical Particularism): তিনি মনে করতেন, প্রতিটি সংস্কৃতির নিজস্ব ইতিহাস আছে এবং তার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যগুলো কেবল সেই ইতিহাসের মাধ্যমেই বোঝা সম্ভব। তিনি জাতি বা গোত্রের ধারণা প্রত্যাখ্যান করে প্রতিটি সমাজের স্বতন্ত্রতা তুলে ধরেন।
চার ক্ষেত্রের নৃবিজ্ঞান: তিনি প্রথম ব্যক্তি যিনি নৃবিজ্ঞানকে চারটি স্বতন্ত্র কিন্তু আন্তঃসম্পর্কিত শাখায় বিভক্ত করেন, যা আজও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অনুসরণ করা হয়।
ক্ষেত্রে কাজ (Fieldwork): তিনি তত্ত্বের পাশাপাশি বাস্তবে মানুষের সঙ্গে কাজ করাকে গুরুত্ব দেন, যা নৃবিজ্ঞানে গবেষণার একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করে।
তাঁর এই অবদানগুলো নৃবিজ্ঞানকে একটি সুসংগঠিত একাডেমিক ডিসিপ্লিনে পরিণত করে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন