চিকিৎসা শাস্ত্রের জনক কে
চিকিৎসা শাস্ত্রের জনক হিসেবে **হিপোক্রেটিস (Hippocrates)**-কে গণ্য করা হয়। তিনি একজন প্রাচীন গ্রিক চিকিৎসক ছিলেন। --- ### তার অবদানের মূল দিকগুলো: * **বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির সূচনা:** হিপোক্রেটিসই প্রথম চিকিৎসাশাস্ত্রকে কুসংস্কার ও জাদুবিদ্যা থেকে মুক্ত করে একটি বিজ্ঞানসম্মত ভিত্তি দেন। তিনি রোগের কারণ অনুসন্ধানের জন্য যুক্তিসঙ্গত পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ পদ্ধতির ওপর জোর দেন। * **হিপোক্রেটিক ওথ:** চিকিৎসা পেশার নৈতিক মানদণ্ড নির্ধারণের জন্য তার নামে যে শপথ (Hippocratic Oath) প্রচলিত আছে, তা আজও চিকিৎসকদের জন্য একটি আদর্শ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই শপথের মূল বিষয় হলো রোগীর কল্যাণের প্রতি অঙ্গীকার এবং রোগীর গোপনীয়তা রক্ষা করা। * **রোগের শ্রেণিবিন্যাস:** তিনি বিভিন্ন রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন, যা আধুনিক রোগ নির্ণয়ের প্রাথমিক ভিত্তি স্থাপন করে। এ কারণে, তাকে শুধু চিকিৎসা শাস্ত্রের জনকই নয়, আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানেরও অন্যতম পথিকৃৎ হিসেবে সম্মান জানানো হয়।
চিকিৎসাশাস্ত্রের জনক হিসেবে হিপোক্রেটিস (Hippocrates)-কে গণ্য করা হয়। তিনি একজন প্রাচীন গ্রিক চিকিৎসক ছিলেন।
হিপোক্রেটিস কেন চিকিৎসা শাস্ত্রের জনক
চিকিৎসাকে বিজ্ঞান হিসেবে প্রতিষ্ঠা: হিপোক্রেটিসের আগে রোগকে প্রায়শই অতিপ্রাকৃত বা দৈব কারণে সৃষ্ট বলে মনে করা হতো। তিনি প্রথম রোগকে যুক্তিসঙ্গত ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করেন।
হিপোক্রেটিক শপথ (Hippocratic Oath): চিকিৎসকদের জন্য তিনি একটি নৈতিক শপথ প্রণয়ন করেন, যা আজও চিকিৎসাবিজ্ঞানে নৈতিকতার ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত। এই শপথে রোগীর গোপনীয়তা রক্ষা, রোগীর প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং কোনো ক্ষতি না করার মতো গুরুত্বপূর্ণ নীতিগুলো অন্তর্ভুক্ত।
চিকিৎসা পদ্ধতি: তিনি পর্যবেক্ষণ, রোগ নির্ণয়, এবং রোগীর স্বাস্থ্যবিধি ও খাদ্যাভ্যাসের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে শরীর নিজেই নিজেকে নিরাময় করতে পারে এবং চিকিৎসকের কাজ হলো শরীরকে সেই প্রক্রিয়ায় সহায়তা করা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন